Skip to main content

Posts

Showing posts with the label ফিচার

পিরোজপুর এর আলতাফের সখ থেকে সাফল্য

    লিখেছেন:জি,এম-আদল   সহ-উদ্যোক্তা:amarpirojpur.com নার্সারী করে সাফল্য পেয়েছেন বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার মোঃ আলতাফ হোসেন। বৃক্ষরোপন ও পরিচর্যা তার শখ। এরই জের হিসেবে ২০১০ সালের দিকে মাত্র ২৫০ টাকা দিয়ে চারটি ছোট ক্যাকটাস কিনে শুরু করেন ক্যাকটাসের ব্যক্তিগত কালেকশন। বর্তমানে তার বাগানে রয়েছে দেশী-বিদেশী প্রায় ১৫০ প্রজাতির ক্যাকটাস, ১০০ প্রজাতির অর্কিড, রয়েছে আরও ৭০-৮০ প্রজাতির ইনডোরের গাছ। একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর পাশাপাশি শোভাবর্ধন গাছ বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় করছেন প্রতিমাসে ১৫-২০ হাজার টাকা। এ প্রসংগে তিনি বলেন- "গাছ বিক্রি করে আয় করা যায়, আগে কখনো ভাবিনি। শুধুমাত্র শখের বসে শুরুটা করেছিলাম। পরে গাছ সংগ্রহের একটা নেশা হয়ে গেল। যেখানেই যাই নজর থাকে গাছের দিকে। কিন্তু বাংলাদেশে ক্যাকটাস, সাকুলেন্টস, অর্কিডের বাণিজ্যিক কোন প্রতিষ্ঠান না থাকায় বা সীমিত আকারে হওয়ায় এ জাতীয় গাছ কালেকশন করা খুব কঠিন ও ব্যয়বহুল হয়ে পরে। অনেক সময় নতুন নতুন গাছের সঠিক পরিচর্যার না জানার কারনে পঁচেও যায়। তবুও মনোবল না হারিয়ে আবারও নতুন গাছ দেখলেই সংগ্রহ করতে থাকি। চলতে থাকে ধৈর্যের পরীক্ষা

অগ্নিসেনা মারুফ এর করোনা জয়ের গল্প : পিরোজপুর

মো: মারুফ হোসেন। পেশায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ফায়ারম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন।কিছুদিন আগেও করোনায় আক্রান্ত ছিলেন মারুফ ।ইতিমধ্যে করোনা থেকে পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন তিনও।সেই সুস্থ্য হয় ওঠার গল্প মারুফ নিজেই পিরোজপুর জেলা ব্রান্ডি ওয়েবসাইট amarpirojpur.com কে লিখে পাঠিয়েছে যাতে মানুষ করোনায় ভীত না হয়ে অনুপ্রেরণা পায়।করোনা আক্রান্ত হলেই মানুষ যে মারা যাবে এমন ভাবনা টা ঠিক নয়,সঠিক মত পরিচর্যায় থাকলে করোনা থেকে সুস্থ্য হয়ে ওঠা সম্ভব। মারুফ তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে amarpirojpur.com কে লেখেন- "প্রথমে আমার জ্বর আসে ২৮-০৬-২০২০ তাং এ। এর পড়ে আমি ছুটিতে বাড়ি চলে আসি। প্রাথমিক ভাবে ডাক্তার দেখাই এবং ডাক্তারের পরামর্শে ৩০-০৬-২০২০ তাং করোনা টেষ্ট দেই, হঠাৎ ০৫/০৭/২০২০ তাং  রাত ১১ টায় মোবাইলে একটা কল আসে,  যেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না ফোনের  ওপাশ থেকে বলছে  আপনার কোভিড-১৯ পজিটিভ, তখন নিজেকে খুব একটা অসহায় মনে হচ্ছিলো। এর পরে ০৬/ ০৭/২০ তাং থেকে আইসোলেশনে থাকা শুরু করি,   পুরো পরিবার থেকে আলাদা হয়ে গেলাম এবং এই একাকিত্বের যুদ্ধটা নিজেকে খুব একা একা মনে হচ্ছিলো,  ত

সাহসী ফায়ারম্যান আশিক : পিরোজপুর

লিখেছেন: জি,এম-আদল  শুনেছি জেনে শুনে নাকি কেউ আগুনে ঝাপ দেয় না কিন্তু কথাটি ভুল।জেনে শুনে কেউ কেউ আগুনে ঝাপ দেয়।বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ম্যানরা প্রায়ই জেনে শুনে মানুষকে বাঁচাতে আগুনে ঝাপ দেয়।তেমনি একজন ফায়ারম্যান আশিক আহম্মেদ। আশিক ২০১৪ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিতে যোগদানের কিছু দিনের মধ্যেই সাহসী অনেক আপারেশনে যোগদানের সুযোগ পায় আশিক।পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার তুষখালীর সন্তান আশিকের কাছে এ সকল অভিজ্ঞতার জানতে চাইলে জেলা ব্রান্ডিং ওয়েবসাইট amarpirojpur.com কে আশিক জানান,"শুরুতেই অধিদপ্তর থেকে দেশের সেবা করার সুযোগ হয়। ২০১৫ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন  নির্বাচনের কিছুদিন পূর্বে খিলগাঁও ঝিলের মাঝখানে দ্বোতলা টিনসেট ঘড়ের একতলা পানির নিচে ডুবে যায় এমন সংবাদ পেয়ে আমরা উদ্ধারকাজে ছুটে যাই সেখানে, দ্বিতীয় তলার হাটু পর্যন্ত পানির নিচে তলানো ছিলো অনেক গুলো ছোট ছোট রুম তার মধ্যে আবার হাটু পর্যন্ত পানি, প্রতিটা রুমের পাটাতন কেটে কেটে উদ্ধার কাজ করা হয়। একে একে অনেক গুলো লাশ পানির নিচ থেকে উঠানো হয়, তাদের শরীর তখনো গরম ছিলো মনে হচ্ছিল তারা বেচে আছে, চোখের পানি ধরে রাখা কোন ভাবে সম্

পিরোজপুর এর তরুন সাংবাদিক কবির হোসাইনের সাংবাদিক হয়ে ওঠার গল্প

  লিখেছেন: সিরাজুম মুনিরা   সব মানুষের মধ্যে স্বপ্ন থাকে,থাকে লক্ষ্য জয়ের আকাঙ্ক্ষা।এই স্বপ্ন পূরণের পথে থাকে নানা প্রতিবন্ধকতা। যে মানুষ শত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্যেও সামনের দিকে এগিয়ে চলে তারাই লক্ষ্যে পৌছতে পারে। পাড়াগাঁয়ের শান্ত নদীর মত বেড়ে ওঠা পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার এক তরুন বলছিলাম পিরোজপুরের তরুন সাংবাদিক কবির হোসাইনের জন্ম ও বেড়ে ওঠার কথা।বাবা মায়ের ছয় সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়  সন্তান কবির হোসাইন। তিনি ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন যথাক্রমে সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি পি.সি কলেজ থেকে।পাশাপাশি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পূর্ণ করেছন কামিল ডিগ্রী। কবির হোসাইনের শিক্ষাবৃত্তান্ত লক্ষ্য করলে বোঝা যায় তিনি একজন বিদ্যানুরাগী মানুষ। সাংবাদিকতার হাতেখড়ি হয় ছাত্র জীবনেই।তবে এর পেছনে আছে একটা গল্প।সময়টা ২০০৭ সাল,প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝড় সিডরের কিছু পরের কথা এলাকার ত্রান বিতরণ কর্মসূচিতে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলেন।দুর্গতদের সেবা করাই ছিল ধ্যান -জ্ঞান।বিভিন্ন সংস্থার ত্রান বিভিন্ন রকম।এই ত্রান বৈচিত্র্য নিয়ে জনমনে অসন্তোষ তৈরি হয়।এরই জেড় ধরে একটি স

গ্রাফিক্সের ছোঁয়ায় ছবি আঁকে পিরোজপুর এরশোভন

লিখেছেন: জি,এম-আদল রঙ তুলির আঁচড়ে ক্যানভাস রাঙানোই চিত্রশিল্পীর কাজ। সাধারণত এ ক্ষেত্রে শিল্পী  কলম, পেন্সিল, চক এবং বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করে থাকেন। তবে সময় বদলেছে, বদলেছে ছবি আঁকার ধরন।এখন অনকেই কাগজে না একে কম্পিউটারে আঁকেন। এমনি এক প্রযুক্তি নির্ভর চিত্রশিল্পীর নাম শোভন আহমেদ শুভ। শোভন আহমেদ শুভ পেশায় তিনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার।গ্রাফিক্সের মাধ্যমে দারুন ছবি ও পোট্রের্ট আঁকেন শোভন।সৃজনশীল উপায়ে কোনো কাজকে ভিজুয়াল এলিমেন্ট যেমন ছবি, রং, রেখা ও ফর্মের সমন্বয়ে সুষম বিন্যাসের মাধ্যমে কোনো ক্রিয়েটিভ আইডিয়াকে দর্শনীয়ভাবে উপস্থাপন করাই হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন।  আঁকাআঁকির বিষয়টি প্রাথমিক দিকে শখ থাকলেও সেটিকেই বর্তমান  সময়ে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে এই তরুন। এরই মাঝে হয়ে উঠেছেন একজন সফল গ্রাফিক্স  ডিজাইনার। জন্ম ঢাকায় হলেও শোভন বেড়ে উঠেছেন পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়াতে। ভান্ডারিয়া বিহারী পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি,  আমানুল্লাহ মহা বিদ্যালয় থেকে  বিজ্ঞান বিভাগে এইস.এস.সি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে  ঢাকার মোহাম্মাদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশুনা করছেন।

পিরোজপুর তরুণ চিত্রশিল্পী শোভন

লিখেছেন: জি,এম-আদল শোভন মন্ডল পেশায় হবু ইঞ্জিনিয়ার হলেও ছবি আঁকায় দারুণ প্রতিভা তার।যার কথা বলছি তিনি  শোভন মন্ডল।জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পিরোজপুরেই।পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় দিয়ে এস. এস সি, ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ থেকে এইস.এস.সি এবং বর্তমানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ছে শোভন। শোভনের চিত্র কর্ম  ছোট বেলায় স্কুলে থাকতেই ছবি আকার প্রতি আগ্রহ ছিল তার। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তার প্রিয় শিক্ষক উদয় স্যার এর কাছে আর্ট শিখেছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে অনেক পুরুষ্কারও অর্জন করেছেন। ছবি আঁকতে গিয়ে ভাল লাগা বা  খারাপ লাগা স্মৃতির কথা জনাতে চাইলে শোভন জানান,"সব গুলা চিত্রই আমার খুবই প্রিয় তাই প্রতিটা মূহুর্ত আমার ভালো লাগে।তবে ইদানিং এর মধ্যে কিছু খারাপ লাগা স্মৃতি আছে।চিত্রকলার কোনো অশ্লীলতা হয় না।অশ্লীল হয় মানুষের মন।প্রতিটি চিত্রের মধ্যেই শিল্পীর অনেক গভীর চিন্তা ভাবনা ও ভাব এর প্রকাশ পায় কিন্তু কিছু মানুষ এটা না বুঝে তারা আমার অঙ্কিত কিছু ছবি দেখে উল্টা পাল্টা মন্তব্য করে। শোভনের চিত্রকর্ম   ছবি আঁকায় তাকে সবাই কম-বেশি অনুপ্রেরণ

পিরোজপুরের গানের রাজা টারজান

লিখেছেন :জি,এম-আদল তিনি কোন কাল্পনিক বনের রাজা বা সিনেমার কাল্পনিক নায়ক নয়।পিরোজপুর জেলা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে গান গেয়ে যে মানুষটি  মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন তার নাম ইমরান হোসাইন টারজান।যিনি সকলের কাছে টারজান নামেই পরিচিত। গাইতে গাইতে গায়েন- এই তত্ত্ব টারজানের জীবনে দারুণভাবে সত্য হয়েছে।  পড়াশোনা, বেড়েওঠা পিরোজপুরেই।ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা ও অভিনয়ের প্রতি বেশ ঝোক ছিল টারজানের।সেই সুত্র ধরে মঞ্চ নাটকের নেপথ্যেই গান করতে  আসা মূলত তার। ২০১১ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে গণসংগীতে তিনি প্রথম ও দেশ ব্যাপী ২য় হয়েছিলেন।তবে সংগীত শিল্পী হিসেবে মানুষের অফুরন্ত ভালবাসাই তার কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। ফোক, সুফি গান এবং ব্যান্ডের গান গাইতে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি।তার প্রিয় সংগীত শিল্পী বারী সিদ্দিকী, কুমার বিশ্বজিৎ,শুভ্র দেব,আইয়ুব বাচ্চু,পুলক অধিকারী।টারজান স্বপ্ন দেখেন একদিন তিনি সিনেমায় প্লেব্যাক করবেন।সংগীত নিয়ে স্বপ্নদেখা  এই তরুনের স্বপ্ন একদিন নিশ্চয়ই তাঁর জানালায় এসে ধরা দেবে।ভবিষৎতে গানের মাধ্যমে নিজের অবস্থান দৃঢ় করার পরিকল্পনা আছে। গানের মাধ্যমেই মানুষের মনে স্থান করে নিত

পিরোজপুর এর তরুন উদ্যোক্তা মাসউদের "জামান ইলেকট্রনিক্স”

লিখেছেন:জি,এম-আদল ব্যবসা করতে চাই উদ্যোম আর সাহস।এমনি এক উদ্যোমি তরুনের নাম আব্দুল্লাহ আল মাসউদ।বন্ধু মহলে যিনি হাজরা মাসউদ বিন জামান নামেই পরিচিত। মাসুদ এখন বি.এস.এস  তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মাসউদ এর জন্ম তার নানা বাড়ী পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার রাধানগর গ্রামে।বাবা মারা গেছে  ২০০০ সালে তাই নানাবাড়ীতেই বড় হওয়া। মাফছার উল উলুম আলিম মাদরাসা থেকে ২০১২ সালে দাখিল এবং আমানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ২০১৪ সালে এইচ এস সি শেষ করে। ২০১৫ সালে দেশসেরা ইলেকট্রনিক্স কোম্পানী ওয়ালটনে কাজ করার সুযোগ পায় মাসউদ। ২০১৭ সালে নিজে ছোট একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করে।সেখান থেকে শুরু করে এখন তিনি একটি ওয়ালটন শোরুমের মালিক।শোরুমটি মূলত নাজিরপুর উপজেলার বাবুরহাট বাজারে"জামান ইলেকট্রনিক্স”নামে পরিচিত । ছোট বেলা থেকেই ব্যবসায় ঝোক ছিল এই তরুন উদ্যোক্তার।ব্যবসার প্রতি ঝোক কিভাবে জানতে চাইলে মাসউদ জানান,"ছোট বেলা খেলতে গিয়েও আমি দোকানদারের ভুমিকা পালন করতাম।আর আমাদের দেশের কোম্পানীগুলোর খবর  তো জানেন,পরিশ্রম করাবে ১২ ঘন্টা আর বেতন দিবে ৬ ঘন্টার।তাই চিন্তা করলাম এই পরিশ্রম আমার নিজের প্রতিস্ঠানে দিল

পিরোজপুরের স্কুটি কন্যা চন্দ্রিকা

লিখেছেন:জি,এম-আদল   চন্দ্রিকা মন্ডল প্রবাদ আছে --'যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে'। স্কুটি কন্যা চন্দ্রিকার ক্ষেত্রে  নতুন ভাবে বলা যেতেই পারে--যে রাঁধে সে স্কুটিও চালায়। নারী আজ আবদ্ধ খাঁচা ভাঙতে শিখেছেন। সমাজের প্রচলিত ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে স্বাধীনভাবে পথ চলছেন। নারীর পরাধীনতার চার দেয়াল ভেঙে  দিয়েছে তার অসীম আত্মবিশ্বাস। নারীর পথচলায় গতি ফেরাতে অনুকরণীয় হয়েছেন অনেকই। কেউ নৃত্যে মঞ্চ মাতাচ্ছেন, কেউ বা গবেষণাগারে মহামারির ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করছেন,কেউবা মহাকাশে পাড়ি জমাচ্ছেন আবার কেউবা স্কুটি চালিয়ে রাজপথ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই দৃশ্যমান পথচলায় আসে অনেক বাধা, শুনতে হয় অনেকের কথা। চন্দ্রিকার মতে,  "অধিকার কেউ দিয়ে দেয় না, নিজের অধিকার নিজেকেই আদায় করে নিতে হয়।" কথাগুলো বলছিলেন বহুগুনে গুনান্বিত পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের মেয়ে চন্দ্রিকা মন্ডল।  ২০১২ সালে নাজিরপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে  এস.এস.সি এবং ২০১৪ সালে নাজিরপুর শহীদ জিয়া কলেজ থেকে  এইচ.এস.সি পাস করে বর্তমানে  পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী  কলেজে বাংলা বিভাগে  অনার্স  শেষ বর্ষে  পড়ছেন। বিভিন্ন ভাবে মেলে ধরেছেন নিজের প্রতিভা

স্বাধীনের স্বাধীন উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

লিখেছেন:জি,এম-আদল মো:স্বাধীন  মৃধা স্কুুল কলেজের সার্টিফিকেটে নাম রবিউল হলেও ডাক নাম স্বাধীন ।এলাকায় স্বাধীন নামেই সবাই চেনে। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই একজন সফল উদ্যোক্তা। গড়ে তুলেছেন ‘স্বাধীন কম্পিউটার ট্রনিং সেন্টার ও টেলিকম’। তুষখালীর জানখালিতে  ব‌্যবসায় সফল তরুণদের এগিয়ে যাওয়ার তালিকায় স্বাধীন এক উজ্জ্বল তরুনের নাম।স্বাধীন মাধ্যমিক,  উচ্চ মাধ্যমিক এবং বি.এ  পড়াশুনা শেষ করে এখন মাস্টার্স এ ভর্তির অপেক্ষায়।  মাত্র ২৩ বছর বয়সে কীভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হলেন জানতে চাইলে স্বাধীন বলেন, ‘খুব ছোট থেকেই নতুন কিছু করার প্রবল আগ্রহ ছিল। যার প্রতিফলন আজকের এই 'স্বাধীন কম্পিউটার ট্রনিং সেন্টার এ্যান্ড টেলিকম’। কিন্তু কালক্রমে সেটি যে আমাকে একজন সফল উদ্যোক্তা করে তুলবে তা কখনো ভাবতেই পারিনি।’ ব্যাবসার শুরুর গল্প বলতে গিয়ে এই তরুন উদ্যোক্তা জানান,  নিজের  দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। আর উৎসাহ দিয়েছেন তার বড় ভাই।২০১৮ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ‘স্বাধীন  কম্পিউটার এ্যান্ড টেলিকম'।  তরুন এই উদ্যোক্তা আরো বলেন, "প্রথমে পিরোজপুর  সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ  ইংরেজি ডিপ

ফটোগ্রাফী নেশা থেকে পেশা পিরোজপুরের কৌশিকের

লিখেছেন :জি,এম-আদল কৌশিক হাজরা একটি ফটোগ্রাফ দর্শকের মগজে একটা গল্প তৈরি করে দেয় । একটা সময়ের গল্প, একটা মুহূর্তের গল্প, কখনও একটা জীবনের গল্প । আর ক্যামেরার কৌশলে যারা এই সৃজনশীল শৈল্পিক কাজটি করে থাকেন তাদেরকে বলা হয় ফটোগ্রাফার।তেমনি এক শৈল্পিক ফটোগ্রাফারের নাম কৌশিক হাজরা। কালারস সট ফটোগ্রাফি টিম আদম্য ইচ্ছা ও পরিশ্রমই যে মানুষকে সফল করে তুলতে পারে তা যে মানুষটি  দেখলে সহজে ই বোঝা যায় তিনি আর কেউ নয় আমাদের পিরোজপুরের  বহুল পরিচিত মুখ, তরুণ ফটোগ্রাফার,  "কালারস সট ফটোগ্রাফি"র স্বত্বাধিকারী ও এটির চীফ ফটোগ্রাফার কৌশিক হাজরা। ফটোগ্রাফি যার নেশা ও পেশা।ফেসবুকে অনেকেই যাকে আমরা জন কুশ নামেই চিনি।বয়সে তরুন এই ফটোগ্রাফারের জন্ম, বেড়েওঠা পিরোজপুরের মাছিমপুরে।পড়াশুনাও পিরোজপুরেই। ২০১৩ সালে তার প্রথম যাত্রা এই ফটোগ্রাফি জগতে। শুরুটা হয় একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে সেখানে কৌশিককে নিমন্ত্রন জানানো হয়েছিল কিন্তু সেখানে  তার কাছের বড় ভাইয়ের  একটা এস এল আর ক্যামেরা ছিল,ডি এস এল আর তখন অতোটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি সবার মাঝে৷  তার ঐ কাছের বড় ভাই তাকে উপেক্ষা করে তাকে ক্যামেরাটি দে

পিরোজপুরের তারুণ্যের সংগঠন এক টাকার খাবার

লিখেছেন : জি,এম-আদল মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।মুখে অনেকেই অসহায় মানুষের ক্ষুধা মেটানোর আশ্বাস দিতে পারে, খুব কম মানুষই সেটা তার কর্মে  দেখাতে পারে।তবে পিরোজপুর শহরের "এক টাকার খাবার নামের" একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের একদল তরুন সেটা করে দেখিয়েছে। মূল উদ্যোক্তা নাজমুল ইসলাম শুভ   মাত্র এক টাকায় খাবার! পিরোজপুরের  পথে পথে এই খাবার বিতরন করা হয় আশ্রয়হীন অসহায় শিশু থেকে শুরু করে যেকোন অসহায় মানুষের জন্য।এক টাকায় এক প্যাকেট খাবার পেয়ে এই অসহায় মানুষগুলো খুশিতে হয় আত্মহারা আর এই সংগঠনের তরুনরা পায় অভুক্তকে খাওয়ানোর আত্মতৃপ্তি। সবার জন্য  সুষম খাদ্য নিশ্চিতকরনকে উদ্দেশ্য করে একদল তরুন  স্বেচ্ছ্বাসেবীদের উদ্যোগে পিরোজপুরে গড়ে উঠেছে এই অসাধারণ সেচ্ছাসেবী সংগঠনটি।সংগঠনটির এমন উদ্যোগের কারনে পিরোজপুরের   দরিদ্র শিশু ও বৃদ্ধরা সপ্তাহে একদিন একবেলা এক টাকায় পেট ভরে ভাল মানের খাবার খেতে পারছে। শায়েস্তা খাঁর আমলে ১ টাকায় আট মণ চাল মিলত। এক টাকা এখন নেহাত মূল্যহীন। সেই এক টাকার বিনিময়ে পিরোজপুরের  সুবিধাবঞ্চিত মানুষের  জন্য খাবার বিতরণ করছে এই  স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি । ব

আমাদের শেফ হাবিব : পিরোজপুর

শেফ আহসান হাবিব আহসান হাবিব পিরোজপুর জেলারই সন্তান। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শেফ হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি শেফদের সংগঠন "বাংলাদেশ শেফ অ্যাসোসিয়েশন" এর প্রতিস্ঠাতা এবং বর্তমান  সভাপতি। অনেক পথ পেরিয়ে হাবিবের শেফ হিসেবে আজকের অবস্থান। এ সুদীর্ঘ পথচলায় রয়েছে নানা অভিজ্ঞতা।জেলা ওয়েবসাইট amarpirojpur.com এর মূল উদ্যোক্তা এবং  সহ-প্রতিষ্ঠাতা  জি,এম-আদল এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে শেফ হাবিব জানান তার শেফ হয়ে ওঠার  গল্প,তার হাতে গড়া সংগঠন "বাংলাদেশ শেফ এসোসিয়েশন" নিয়ে নানা স্বপ্নের কথা। শেফ আহসান হাবিব ও তার সহকর্মীগন জি,এম-আদল: আপনার শৈশব জীবন সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন? আহসান হাবিব: আমি পিরোজপুরের সন্তান।এই পিরোজপুরের আলো বাতাসেই আমার বেড়ে ওঠা।পিরোজপুরের টাউন স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছি।শৈশব কৈশোরের অনেক স্মৃতিই পিরোজপুরে রয়েছে। জি,এম-আদল: শেফ পেশার প্রতি আগ্রহ কিভাবে? আহসান হাবিব: মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার এই পেশায় আসা কোন পূর্ব পরিকল্পনা  থেকে হয়নি। আমার এক বন্ধুর

পিরোজপুরের গুণী নৃত্য গুরু তানিয়া

একাধারে একজন নৃত্যশিল্পী, একজন সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট, আবার একজন নৃত্যগুরু। নাচই তার ধ্যান-জ্ঞান। তার যাপিতজীবন শুধু নাচকে ঘিরেই। তিনি পিরোজপুরের সর্বজন প্রিয় নৃত্যশিল্পী, নৃত্য সংগঠক  ফেরদৌসী রহমান (তানিয়া)।সবাই যাকে তানিয়া নামেই বেশি চেনে। পিরোজপুরের শিল্পকলার একজন গুণী নৃত্য শিক্ষকও তিনি। ফেরদৌসী রহমান (তানিয়া) কথা হয় নৃত্য অন্তঃপ্রাণ এই মানুষটির সঙ্গে। amarpirojpur.com এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুম মুনিরা'র সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান তার নৃত্যগুরু হয়ে ওঠার গল্প, নৃত্য নিয়ে আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা। সিরাজুম মুনিরা: বেড়ে ওঠা এবং লেখাপড়া জীবন সম্পর্কে কিছু বলুন? ফেরদৌসী রহমান (তানিয়া): জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পিরোজপুরেই।পড়াশুনার হাতেখড়ি মোরশেদ স্মৃতি শিশু নিকেতন,মাধ্যমিক পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং এম.এ শেষ করেছি খুলনা বি.এল কলেজ থেকে। সিরাজুম মুনিরা: কবে থেকে নাচ শেখা শুরু করলেন? ফেরদৌসী রহমান (তানিয়া): স্কুল এ ভর্তি হওয়ার আগেই নাচ শেখা শুরু করি  শখ বসত। নাচ টা আম্মুর খুব পছন্দের ছিলো তার জন্যই নাচ শেখা শুরু হয় আমার তবে,আব্বু পছন্দ করত না বলে লুকিয়ে লুকিয়ে ন

পিরোজপুরের জনপ্রিয় বাইক স্টান্ট রাইডার আকিব

লিখেছেন:জি,এম-আদল  বাইকে করে ঘোরাঘুরি,বাইক স্টান্ট এ সবই যেন আকিবের নেশা।মোটরবাইক নিয়ে স্টান্ট মানেই প্রতি মুহূর্তে ঝুঁকি। জীবনও চলে যেতে পারে।তবু কেন এতো ‘স্টান্টবাজি?’। কথায় আছে "নো রিস্ক নো গেইন”।আর তারুণ্যের নেশাই হচ্ছে সাফল্যের লক্ষ্যে ঝুঁকি নেয়া।ঝুঁকি ছাড়া সাফল্য অধরাই থেকে যায়। বাহন হিসেবে বাইক আমাদের কাছে যতটা জনপ্রিয় ততটা বিপজ্জনকও বটে। বাইক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকের অঙ্গহানি এমনকী মৃত্যুর ঘটনাও প্রায়ই ঘটে থাকে। আবার এই বাইকটাকে অনেকে এমনভাবে কব্জা করেছেন, তাদের স্টান্ট দেখলে চোখ কপালে ওঠে! বুকের ভেতর দুরুম দুরুম শব্দ হতে থাকে, এই বুঝি বাইক থেকে ছিটকে গেল রাইডার। কারো কারো বাইক স্টান্ট দেখলে জাদুশিল্পীদের জাদুর মায়াজালে মোহিত হওয়ার মতো অবস্থা হবে আপনার ।তেমনি এক বাইক স্টান্টারের নাম আকিব। ২১ বছরের এই তরুনের পুরো নাম আকিবুর রহমান। জন্ম, বেড়ে ওঠা পিরোজপুরেই।পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে বর্তমানে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ এ ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতক পড়ছে। ছোট বেলা থেকেই সাইকেলের

গ্রামে বসেই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কান্ট্রি হেড শুভ

লিখেছেন :জি,এম-আদল নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বয়স যে কোনও বাধা নয় তা শুভকে দেখলেই বোঝা যায়। মাত্র ২৩ বছর বয়সে শুভ একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড। এই তরুনের পূর্ণ নাম ফাহাদ বিন হুসনে আলী । বন্ধু এবং পরিবারে  তাকে শুভ বলেই ডাকে।  বাংলা নববর্ষের শুভ দিনে তার জন্ম হওয়ায় মা বাবা তার নাম রেখেছিল শুভ। বাবার চাকরি সুত্রে জন্ম ভোলায়। ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়ালেখা মাদারীপুরে। মাধ্যমিকে পড়াশুনা করেছে মঠবাড়িয়ায়, পরবর্তীতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করেছে খুলনায়। ছেলেটি প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার  ঘোর বিরোধী। তার মতে গোটা দুনিয়ার লেখাপড়া ব্যাবস্থা হল শিক্ষার্থীর স্মৃতিশক্তি পরীক্ষা করা যেখানে  ব্যাবস্থাটা হওয়া উচিত ছিল কে কতটুকু  বুদ্ধিমান সেই আঙ্গিকে।তাই  ব্যাকডেটেড এডুেকশন মেথডকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বর্তমানে সে অনলাইনেই পড়াশুনা করছে ব্লকচেইন ও ডাটা ম্যানেঞ্জমেনট নিয়ে । বর্তমানে শুভ নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক কো-ওয়ারকিং কোম্পানি  seats2meet এর বাংলাদেশ এর কান্ট্রি হেড।seats2meet এর কাজ হল সারা বিশ্বের ছোট ছোট উদ্যক্তাদের জন্য মিনি অফিস, মিটিং স্পেস করে দেয়া। এর বাইরেও হসপিটালিটি ভিত্তিক ল

পিরোজপুরের বাঁশিওয়ালা ইমন

লিখেছেন :জি,এম-আদল পেশায় ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র হলেও ক্যাম্পাস থেকে নিজ এলাকায় পরিচিতিটা বাঁশিওয়ালা হিসেবেই। এ পরিচয়ে তিনিও বেশ সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।যার কথা বলছি তিনি পিরোজপুর জেলার এক প্রতিভাবান তরুন।এই বংশীবাদকের নাম কামরুল ইসলাম ইমন।এই তরুন বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যায়নরত।  তাঁর বেড়ে ওঠা পিরোজপুরেই। পিরোজুরের নিজ গ্রাম নামাজপুরেই শৈশব কৈশর কাটিয়েছেন। এই হাওয়া বাতাসেই বেড়ে উঠেছেন ইমন। মাধ্যমিক পড়েছেন পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এরপরে খুলনাতে ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করেন। বাঁশিওয়ালা হয়ে ওঠার গল্প বলছিলেন ইমন,"বাঁশির সুর সব সময়ই আমাকে মুগ্ধ করত।ছোট বেলা থেকেই আমার গান-বাজনার উপর প্রচুর ঝোক ছিল।সেই কারনে ২০০৬ সালে পিরোজপুর শিল্পকলাতে ভর্তি হয়েছিলাম।সেখান থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করি।যখন মনে হল যে আমার আরো উন্নতি করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে খুলনাতে গেলে মা আমার মামাকে বলে একটা একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দেয়।ওখানে আমি গানের তালিম নেয়া শুরু করি। আমার গুরুজি নিখিল কৃষ্ণ মজুমদারের অনুপ্রেরণায় অনেক কিছু শিখতে