Skip to main content

পিরোজপুর এর তরুন সাংবাদিক কবির হোসাইনের সাংবাদিক হয়ে ওঠার গল্প

 

লিখেছেন: সিরাজুম মুনিরা
 
সব মানুষের মধ্যে স্বপ্ন থাকে,থাকে লক্ষ্য জয়ের আকাঙ্ক্ষা।এই স্বপ্ন পূরণের পথে থাকে নানা প্রতিবন্ধকতা। যে মানুষ শত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্যেও সামনের দিকে এগিয়ে চলে তারাই লক্ষ্যে পৌছতে পারে।
পাড়াগাঁয়ের শান্ত নদীর মত বেড়ে ওঠা পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার এক তরুন বলছিলাম পিরোজপুরের তরুন সাংবাদিক কবির হোসাইনের জন্ম ও বেড়ে ওঠার কথা।বাবা মায়ের ছয় সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়  সন্তান কবির হোসাইন। তিনি ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন যথাক্রমে সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি পি.সি কলেজ থেকে।পাশাপাশি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পূর্ণ করেছন কামিল ডিগ্রী। কবির হোসাইনের শিক্ষাবৃত্তান্ত লক্ষ্য করলে বোঝা যায় তিনি একজন বিদ্যানুরাগী মানুষ। সাংবাদিকতার হাতেখড়ি হয় ছাত্র জীবনেই।তবে এর পেছনে আছে একটা গল্প।সময়টা ২০০৭ সাল,প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝড় সিডরের কিছু পরের কথা এলাকার ত্রান বিতরণ কর্মসূচিতে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলেন।দুর্গতদের সেবা করাই ছিল ধ্যান -জ্ঞান।বিভিন্ন সংস্থার ত্রান বিভিন্ন রকম।এই ত্রান বৈচিত্র্য নিয়ে জনমনে অসন্তোষ তৈরি হয়।এরই জেড় ধরে একটি স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় রিপোর্ট হয় তাদের পুরো ত্রান কমিটির নামে।সেই দিনের সেই বিভ্রান্তিকর রিপোর্টেরর স্বীকার হওয়ার পর থেকেই তার মনে সাংবাদিক হওয়ার বাসনা কাজ করে।উদ্দেশ্য একটাই আপামর জনসাধারণেরর কাছে সঠিক তথ্যটি পৌছানো।সেই স্বপ্নে পালক লাগে ২০০৮ সালে স্নাতক পরার উদ্দেশ্যে সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভর্তি হওয়ার পর।কবির হোসাইন আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী ও সহপাঠী জিয়াউল হক জিয়ার সহযোগিতায় শুরু করেন সাংবাদিকতা ।তিনি (জিয়াউল হক জিয়া)আগে থাকেই যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতার সাথে।কবির হোসাইন এক দশকের বেশি সময় পার করেছেন এই সাংবাদিকতার সাথে।শুরু করেছিলেন মোল্লা নিউজ(একটি নিউজ এজেন্সি)এর প্রতিনিধি হিসেবে।এরপরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।কাজ করেছেন বিডি হেডলাইন নামক অনলাইন টিভিতে,এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি হিসেবে,বর্তমানে কর্মরত আছেন দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি হিসেবে ও আইটিভি নামক একটি অনলাইন টিভির জেলা প্রতিনিধি হিসেবে।কবির হোসাইন দৈনিক সংবাদ প্রতিক্ষন,দৈনিক দিনের আলো, পিরোজপুরের কন্ঠসহ বেশ  কিছু সুনামধন্য দৈনিক পত্রিকায় কাজ করেছেন।এই দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে অংশগ্রহন করেছেন সাংবাদিকতা বিষয়ক নানা প্রশিক্ষন কর্মকান্ডে ।ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অব মাস্ কমিউনিকেশন, প্রেস ইনিস্টিটিউট অব বাংলাদেশ এবং সুশিলন উল্লেখযোগ্য।প্রিয় শখ বলতে একটাই সত্য ও সচ্ছ সংবাদ খুজে বের করে জনগনের কাছে পৌছানো।তার সাংবাদিকতা জীবনে অনুকরণীয় দুজন ব্যক্তি।একজন  রশীদ আল মুনান সুজন (জেলা প্রতিনিধি এনটিভি)এবং অন্যজন সেই সাংবাদিক বন্ধু জিয়াউল হক জিয়া(জেলা প্রতিনিধি সময় টিভি),।কবির হোসাইন ভবিষ্যতে নিজেকে আরও দক্ষ সাংবাদিক হিসেবে দেখতে চান।তার কাছে সাংবাদিকতা একটা সাধনা ও ভালোবাসার জায়গা। আমৃত্যু মানুষের তরে এমনিভাবেই কাজ করে যেতে চান পিরোজপুরের এই তরুন সাংবাদিক।


Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে