Skip to main content

Posts

Showing posts with the label লেখা লেখি

নারীর বাড়ি কোথায়?

লিখেছেন: মৃদুল মিত্র পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে সৃষ্টিকর্তা মানুষকে দুটা ভাবে সৃষ্টি করছেন। এদের মধ্যে কেউ হয়েছেন নারী কেউ হয়েছেন নর। নারী কে খুঁজে পাওয়া যায় নানান চরিত্রে। নারী যখন সন্তান জন্ম দেয় তখন হয়ে যায় মা, আবার নারী যখন কাউকে ভালোবাসে তখন হয়ে যায় প্রেমিকা, নারী যখন কারও সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তখন হয়ে যায় স্ত্রী। আবার এই নারী যখন শারীরিক গড়নের সাথে মানানসই ড্রেস পরে রাস্তায় হাঁটে তখন নরের কাছে হয়ে যায় মাল। আবার এই একই নারী যখন টাকার অভাবে পতিতা বৃত্তি বেছে নেয় তখন হয় বেশ্যা। আবার নারী যখন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে খদ্দের খোঁজে তখন হয়ে যায় কলগার্ল। এই সকল নাম কিন্তু আমাদের পুরুষ জাতির দেওয়া।তবে নারীকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন নারীরা তো মায়ের জাতি এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু যুগ যুগ ধরে এই নারীদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলে আসছে। দুঃখের বিষয় একটা মেয়ের আসলে নিজের কোন বাড়ি থাকে না। একটা বয়স পর্যন্ত নারী তার বাবার বাড়িতে মুক্ত পাখির মত ছুটে চলে। কিন্তু যখন মেয়েটার বিয়ে হয় তখনই তার হাতে পায়ে অদৃশ্য শিকল বেঁধে দেওয়া হয় তার শ্বশুর বাড়ি থেকে। তার যে স

গল্প: স্বপ্নচূড়া

লিখেছেন: আশিক মাহমুদ রিয়াদ ১. টুনি তার দাদির কাছে শুনেছে এই মস্ত বড় পুকুরটি নাকি পরীরা তৈরী করেছে। দাদী অবশ্যি শুনেছে তার দাদীর কাছে।সেই দাদীর দাদী আবার কোন দাদীর কাছ থেকে জেনেছে তা জানা নেই। কোন এক পূর্নিমা রাতে পরিরা নাকি এসেছিলো এই সুদেবপুর গ্রামে। তাদের নাকে বড্ড মন খারাপ ছিলো সে সময়ে। পরিদের একজন বলে উঠলো,'ইসস! এখানে কোথাও পানি নেই, পুকুর নেই। সবুজ পরি ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে বলে পুকুর নেই তো কি হয়েছে বুবু? চল আমরা পুকুর খুড়ি!  সেই রাতে পুকুর খোড়া হলো, মাটির তলদেশ থেকে জল ভরতে লাগলো ধীরে ধীরে৷ পুকুরে ঘাট বানানো হলো, তারপর পরিরা নাকি জলখেলায় মেতে উঠেছিলো। জলভরা টলমলে পুকুরটিকে কেন্দ্র করেই তৈরী হয়েছে সুদেবপুর গ্রামটি। টুনির বয়স পনেরো কি ষোল। তার বাবা কাশেম মিয়া পেশায় কৃষক। বাড়ির উত্তরদিকে তাদের ধানীজমি আছে সেখানে প্রতিবছর ধান চাষ করেন তিনি। ধান চাষ শেষ হলে সেই জমিতে চাষ করেন ডাল,মরিচ।  টুনিরা পাঁচ ভাইবোন। সবার মধ্যে টুনিই বড়। টুনিদের বাড়িতে মোট ছ'খানা ঘর। টুনির বড় চাচা আব্বাস মিয়া আর ছোট চাচা রহমত মিয়ার দু খানা ঘর আছে এ বাড়িতে। বাড়ির উঠনের কোনে আছে একটি হাসনাহেনা ফুল। রাত বাড়ল

বর্ষণ

লিখেছেন: হুমায়রা বিনতে শাহরিয়ার  রৌদ্রোজ্জ্বল সকালবেলাকে দেখতে কোনো হিংস্র পশুর ক্রোধের ন্যায়। হঠাৎ বর্ষণ, সেই ক্রোধে জল দিয়ে ঠান্ডা করার মতন। বর্ষনের পাশাপাশি যে হালকা হাওয়া ছোটে, হৃদয়ের মাঝে ঝর তুলে যায়। আস্তে করে বলে ভালোবাসার ডালা নিয়ে এসেছি! হায়! ক্ষমা চাই! ভালোবাসা চাই না।

শ্রাবণের প্রেম

লিখেছেন: হুমায়রা বিনতে শাহরিয়ার  শ্রাবণের সারাটা দিন মেঘ-বৃষ্টিতে ঝরোঝরো নীল আকাশে হঠাৎ করে কালো মেঘের আগমন। ঝরো শীতল হাওয়া এক ভালোবাসার আভাস ছুঁয়ে দিয়ে যায়। টিপটিপ বৃষ্টির ফোঁটায়  মন উতলা হয়ে রবিঠাকুরের  গানে মাতোয়ারা হয়ে যায়।  চারিদিকে প্রেমের সমাগম ছড়িয়ে মেঘ কেটে গিয়ে এক পশলা রৌদ্দুর চলে আসে। সে যে এক মেঘবৃষ্টির  অপরূপ প্রেমময় দৃশ্য।

পাখি হতাম

লিখেছেন: সজিব কুমার  কেউ কেউ আকাশের মত দূরত্বে রয়, দূর হতেই ভালোবেসে তাদের পেতে হয়, মাটির সঙ্গে বসবাস করা মানুষ গুলো দূর হতেই আকাশ ভালোবাসে আর বৃষ্টি চেয়ে নেয়। দূর হতেই গভীর প্রেমে পরে! মানুষগুলো বোকা, তারা জানেনা যে আকাশ বেদনার চাষ করে, দুঃখ বাড়ায়। কেউ কেউ মেঘ হতে চায়,আকাশ জুড়ে ভাসতে চায়। তারাও কি বুঝতে পারে?  মেঘ যে সবসময় তার বুকে বৃষ্টি বয়ে বেড়ায়। আচ্ছা,  তারা তো পাখি হলেও পারতো, দুই ডানা মেলে আকাশটা কাছ হতে ভালোবাসতো আর ভেসে থাকতো বুকজুড়ে, আমি পাখি হলেই বুঝি ভালো হতো, তোর আকাশটা জুড়ে বসে থাকতাম আর তোর শহর জুড়ে উড়ে বেড়াতাম। আসলে আমি পাখি হতেই ভালোবাসি।

প্রিয় শিক্ষক রিপন স্যার

লিখেছেন: নূর-ই হাফসা মুন  শিক্ষা যদি আমাদের জীবনের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে থাকে তবে শিক্ষকরা  সব চাইতে মূল্যবান সম্পদ। জীবনে চলার পথে শিক্ষক নামে পরিচিত বিভিন্ন মানুষের সাথে আমরা পরিচিত হই যারা আমাদের কাছে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষা দেয় পুথিগত শিক্ষা যে বিষয় পাল্টালে শিক্ষকও বদলে যায়।কিন্তু আমাদের প্রতিটি মানুষের জীবনেই হয়ত একবার না একবার শিক্ষক রূপে এমন মানুষ আসে যে জীবনের শিক্ষা দেয়। যা আমরা চলার পথে বয়ে নিয়ে চলি।  আমার জীবনের সেই মূল্যবান ব্যক্তিত্ব আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ আমার রিপন স্যার। আমার গনিতের শিক্ষক। তিনি যতটাই স্যার ততোটাই আমাদের পিতা, ততোটাই আমাদের বন্ধু। যার কাছে যেকোনো সমস্যা হোক গনিতের অথবা জীবনের আমরা সবাই অনায়েসে বলে ফেলতাম। আর যতটা না সহজে আমরা বলতাম তা থেকে অনেক সহজে সে সবাধান দিয়ে দিত। আমাদের মত কিছুটা দূর্বল  ছাত্র-ছাত্রী যারা তাদেরকে  অন্য স্যাররা যেখানে ৩৩ দিয়ে বিদ্রুপ করে বলতো তোমরা "বোদে খাটো"। সেই ৩৩ পাওয়া একই ছাত্র-ছাত্রীর অনেককেই তার কাছ থেকে শিক্ষা-দীক্ষা নিয়ে এ, এ প্লাস  এমনকি গোল্ডেন পযন্ত পেয়েছে। কারন রিপন স্যারের কাছে যেখানে পড়তে যেতাম ওট

ঈদ

লিখেছেন: আরিফুল ইসলাম  আকাশে খুশির চাঁদ উঠছে, দেখ রে সবাই চেয়ে!  বছর ঘুরে ও ভাই আবার  ঈদ আসছে ঐ ধেয়ে।  আয় রে তোরা জলদি করে  হাত রাঙাবো রঙে,  নতুন পোশাক পরবো সবাই  সাজবো নতুন সঙে।  ঈদ গাহেতে নামায পড়বো  করবো কোলাকুলি,  হিংসা -বিদ্বেষ ভুলবো সবাই  বলবো প্রীতির বুলি । ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক,  বলবো সবাই মুখে,  ফিরনি,পায়েস, পোলাও খাবো  দিন কাটাবো সুখে।

প্রাণ নাশের ভয়

লিখেছেন: আরিফুল ইসলাম  বছর ঘুরে আসছে আবার  আসছে খুশির ঈদ,  তবুও ভাই কারো মনে  নেই তো খুশির গীত।  কারো মনে আগের মতো  নেইতো খুশি আর ; পৃথিবী জুড়ে চলছে দেখো  করোনার জয়কার।  সবার মনে শংকা আর ভয়  কখন জানি কি হয়ে যায়!  কখন জানি প্রাণ পাখিটা  ফুড়ুৎ করে উড়ে চলে যায়! যাচ্ছে যারা শপিংমলে কেনাকাটা করবে বলে,  তাদেরও তো নিস্তার নাই  যদি হয় তার দুর্ভাগ্য ভাই।  কখন জানি কার জন্য  হবে ভূবণ পর,  কখন জানি কফিন হয়ে  ছাড়তে হবে ঘর!

রম্য : ভাইয়া

লিখেছেন :আরিফুল সজীব বাসরঘরে ঢুকতেই বউ আমাকে সালাম করে জিজ্ঞেস করল,  " কেমন আছেন ভাইয়া? " ভাইয়া শব্দটা শুনে অবাক না হয়ে পারলাম না, ইচ্ছে করছিল দেয়ালে মাথা ঠুকে সুইসাইড খাই। বিয়েটা করেছি পারিবারিকভাবে। বর্তমান যুগে বিয়ে করতে গেলে সবাই অল্পবয়সী মেয়ে খুঁজে, আমার বেলায়ও অন্যটা হয়নি। পারিবারিক মতামতে বিয়ে করলাম ক্লাস নাইনে পড়ুয়া এক সুন্দরী মেয়েকে। বাসর রাতে বউ আমাকে ভাই বলাতে একদম থ হয়ে গেলাম৷ প্রশ্ন করলাম,  " আমাকে ভাই বলছো কেন? " সে স্বাভাবিকভাবে উত্তর দিল,  " আপনার আম্মু আমাকে বলেছে, আজ থেকে উনাকে 'মা' বলে ডাকতে। " " হ্যাঁ, এটাই তো স্বাভাবিক। মা'ই তো ডাকবে! " বউ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,  " তো আপনার মা যদি আমারও মা হয়, তাহলে তো আমরা ভাই-বোন তাইনা? " বউয়ের যুক্তি দেখে দু-চোখ থেকে আবেগে আধা ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল৷ অধিক শোকে পাথর হয়ে খাটের এক কোণে বসে রইলাম।  " এই যে ভাইয়া, শোনেন! " 'ভাইয়া' ডাকটা শুনে দুঃখে আমার কলিজা ফেটে কিডনিতে গিয়ে লাগল। জন্ম থেকে এই পর্যন্ত যতটা মেয়ের প্রতি ক্রাশ খেয়েছি, সবগুলো মেয়েই আমাকে 'ভাই

ইতি তোমার রাধা

লিখেছেন:রিজওয়ান খান ১৩ই কার্ত্তিক ছিল তারিখ, রবি বার। যেদিন প্রথম তুমি এই বাড়িতে আমায় নিয়ে এলে, ভীষণ কেদেছিলাম মনে আছে তোমার? প্রতিদিন ই প্রায়, একাকার করতাম, কাজল আর চোখের জলে। ভাবতে ভাল্লাগে ওদিন গুলোর কথা জানো? আর কতটুক ই বা সৃতি আছে তোমার আমার? সবটুকুই তো আধার আর তোমার স্মৃতি মাখানো। কাজ ছেড়ে আমার কাছে আসবে কবে আবার? আমি এখন দেয়াল গুলোর সাথে কথা কই রাত দিন, আর দেয়ালের প্রতিটা ইট খেয়াল করে শোনে আমার কথন। শুধু তোমার কথাই কয়ে যাই বিরামহীন, ইট গুলো মুচকি হাসে, আমি বলে যাই আমার মতন। বড্ড একা লাগে গো আমার, তোমার , তোমার চিঠির আশাটাই বাঁচিয়ে রাখে আমায়, — কবে সময় হবে তোমার? কবে আবার পাশে পাব তোমায়? আসবে তুমি খুব, আমরা যে আগুন দিয়ে বাঁধা উত্তর দিও। ইতি, -তোমার রাধা।

বিদায় বেলা

   লিখেছেন: মোঃ সোহেল রানা রাসেল  চলে যাবার সে যাবেই চলে           আটকাতে পারি কিসের ছলে? অবশিষ্ট থাকে না সম্পর্ক আস্বাদন            নিজেকে করে যে অদল বদল। ভালোবাসা, অভিনয় আর কত,            আমার আমিত্বকেও করি নত! যতই দেই বিশ্বাসের প্রতিশ্রুতি            তাহার চোখে মিথ্যের বেসাতি।  চলার পথে কত মিতালী মধুরম্            সে পারেনি হতে সঙ্গী আমরন, গভীর হয়নি অবিচ্ছেদ সম্পর্ক            আসলে চিরসত্য ছিল না অর্ঘ্য।  আমি যাকে খুঁজে ফিরি অহর্নিশ             সে হারিয়ে যায় রেখে কিছু বিষ, হারাতে দেখি বিশ্বাসের সে হাত            আসলে ছিল তার অচেনা সিরাত। জীবনে আসে সংকটময় বাঁক            সে ধোয়াশায় অন্তর করে তাঁক, রাত শেষে ফুরায় আনন্দের ছটা            বুঝতে হয় দেরি প্রনয়নের ঘটা! সবিশেষ উপস্থিত বিষাদ অবসাদ            নিরস জীবন ভুলে সুখ আহ্লাদ, তবু স্বপ্ন সাজে রঙিন করতে ভুবন            হাসির আড়ালে কষ্ট করে আপন। অসুখের ভিড়ে মেলে সুখের দেখা            একাকিত্ব ঘুচাতে মিলে যায় রেখা, আবর্তন হয় দুঃখ সুখের খেলাঘরে           জীবন তার নানান রূপ মঞ্চস্থ করে। হারাতে চায় না যে জন, তবু হারায়            অমোঘ বিধানে

প্রিয় হাই স্যার ও ঝাল চকলেট

লিখেছেন : মোঃ সোহেল রানা রাসেল  প্রাইমারী পার করে হাইস্কুলে উঠেছি। প্রাইমারীর গন্ধ ক্লাস এইট পর্যন্ত থাকে। আমরা সবেমাত্র ক্লাস সিক্সের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শেষ করলাম। "আমি এখন ক্লাস সিক্সে, রুখবে আমায় কে" সরকারের মেয়েদের স্কুলগামী করতে প্রণোদনার স্লোগানটির মতো আমাদের দূরন্ত অবস্থা।  টিফিন শেষ, ঘন্টা পরে গেছে। টিফিনের পরে আমাদের প্রথম পিরিয়ড শুরু হয় আর্মি ব্যারাকে থাকা সৈন্যদের মতো। কারণ, নিয়ম-নীতি আর শৃঙ্খলা পালনে আঃ হাই স্যার জাঁদরেল আর্মি অফিসারদের মতোই। শুধু তার উচ্চতার কারণে তাকে আর্মি অফিসার মনে হয় না। স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা টিফিন শেষ হওয়ায় পাঁচ মিনিট আগেই ক্লাসে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু পুরো ক্লাস জুড়ে হৈ হুল্লোড়। টিফিন টাইমের একটু পরেই মুষল ধারে বৃষ্টি হয়ে গেছে। এখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে তার রেশ রয়ে গেছে। আমরা অনেকেই ছাতা না থাকায় টিফিন খেতে বাহিরে যাইনি। কেউ কেউ ছাতা আনার পরেও বৃষ্টিতে ভিজে টিফিন খেয়ে এসেছে। বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে। তার পরে ভিজে অবস্থায় ক্লাস করাও অসম্ভব। হেডস্যার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগে দুই তিন দিন ক্লাস ছুটি করে দিয়েছিলেন। টিফিনে

প্রিয় মিজানুর রহমান ভুঁইয়া স্যার

লিখেছেন :আরিফ জামান স্যার মিজানুর রহমান ভুঁইয়া ঘটনার সময়ঃ ১৯৯৫ খ্রিঃ,  স্থানঃ নটরডেম কলেজ, ঢাকা। প্রেক্ষাপটঃ নটরডেম কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ভাইভা,,, ভাইভা বোর্ডে শিক্ষক ও ছাত্রের কথোপকথন,,,,,, শিক্ষক- জীবনে কোন জিনিসটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ? ছাত্র- (আমতা আমতা করতে থাকলো) শিক্ষক- আচ্ছা, কোনটি বেশী জরুরী? প্রতিষ্ঠিত হওয়া না, ভালো মানুষ হওয়া?? ছাত্র- (এবারো আমতা আমতা করতে থাকে) শিক্ষক- কয়েকটি Certificate দিয়ে কিছুই হবেনা, যদিনা আমরা মানুষ হতে না পারি।। হ্যাঁ, এই স্মরণীয় উক্তিটি করেছিলেন যিনি, তিনি প্রত্যেক নটরডেমিয়ানের আদর্শ, স্যার মিজানুর রহমান ভুঁইয়া, প্রাক্তন Department Head, বায়োলজি ডিপার্টমেন্ট, নটরডেম কলেজ, ঢাকা।। তিনিই আমার প্রিয় শিক্ষকদের একজন।। "প্রাক্তন" কথাটা লিখতে অনেক কষ্ট হচ্ছে, কারণ, এই রকম স্যার হৃদয় থেকে কখনো প্রাক্তন হয় না।। এবং সেই ছাত্রটি ছিলাম আমি, এক নটরডেমিয়ান।। তিনি ছাত্রদের কাছে বোমা মিজান স্যার নামেই বেশি পরিচিত।। প্রচলিত তথ্যমতে, এই নামটি মুক্তিযুদ্ধের সময় উনার বাহিনীর ছেলেদের দাওয়া, কারণ উনি খুব ভাল বোমা ছুড়তে পারতেন।। তিনি একাধারে বোটানিস্ট, ফটোগ্রাফ

শ্রমিক

  লিখেছেন : আরিফুল ইসলাম  শ্রমিক,  তুমি রোদে পুড়ো, বৃষ্টিতে ভিজো, করো হাড়ভাঙা কষ্টের পরিশ্রম।  তারপরেও পাওনা তুমি শ্রমের সঠিক দাম । শ্রমিক,  তুমি তারপরেও করোনা শোষনের প্রতিবাদ। তাই তো এতো শোষণকারী করে রাজত্বের বুনিয়াদ । শ্রমিক,  তুমি মাথার ঘাম পায়ে ফেলো,  করো দিনভর কাজ,  এরপরেও দিন কাটাও কষ্ট নিয়ে আজ।  শ্রমিক , তুমি এবার তো জেগে ওঠো!  হও একটু স্বার্থপর,  একটু নিজের কথা ভাবো।  দাবানলের মতো রুখে দাঁড়াও ওদের বিরুদ্ধে।  আছে যত শোষণকারী, অত্যাচারীর দল, ভেঙে ফেলো ওদের সব দাম্ভিকতা,  ক্ষমতার মনোবল।  ওদের অত্যাচারের দাও মূখ্য জবাব।

স্যার আমার পশ্চাতদেশে শপাং শপাং দুইটা বেত মারলেন

লিখেছেন : সাইফুল লিমন  প্রিয় শিক্ষকদের তালিকা বয়সের সাথে সাথে যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে,  তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে আফসোসও, কেননা যখন স্কুল ছেড়ে কলেজে গিয়েছি তখন দুঃখবোধ হয়েছে,ইস্ স্কুলের শিক্ষকদের সাথে আর আগের মতো দেখা হবে না, যাদের কাছেই শিখেছি যে, চোখ  দৃষ্টি সীমার বাইরেও কিছু দেখতে পারে, শিখেছি জীবন মানে অসাধারণ কিছু, যেটা একটা পুরস্কার।   যখন কলেজ ছেড়ে ইউনিভার্সিটিতে গেলাম তখন মনে হল, ইস্ কলেজের শিক্ষদের আর দেখতে পারবো না! আবার যখন ইউনিভার্সিটি ছেড়েছি তখন মনে হয়েছে ইস্ এই অসাধারণ মানুষ গুলোর আর আগের মতো সান্নিধ্য পাবো না। যারা শিখিয়েছে বর্তমান পৃথিবী দেখতে, যাদের কাছে শিখেছি ব্যক্তিত্ব গঠন, মুক্তচিন্তা।  তবে যখন প্রিয় শিক্ষকদের সাথে ঘটা ঘটনার কথা বলা হয় তখন আরো কনফিউজড লাগে কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি। তবে আজকে আমার হাইস্কুল জীবনের সবচেয়ে হাস্যকর (এখন হাস্যকর লাগলেও তখন ব্যাপারটা মোটেই হাস্যকর ছিলো না)। আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র, প্রাইমারি ছেড়ে হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছি, বাচ্চামির ব্যাপারটা তখনো মনে খুব যত্নে লালন করি। স্কুলের সবচেয়ে ভয়ংকর শিক্ষক মনে হতো নুর-হোসেন স্যারকে, ইংরেজি পড়াতেন, উচ্চতা ৫ ফিট ৫&

করোনা ভাবনা

লিখেছেন : এইচ এম আকরামুল ইসলাম  করোনা আসছে ধেয়ে আমাদের সহজ পেয়ে। চলি ফিরি আমরা, নাই কোন ভাবনা? যে যেমন পারি তেমন করে ঘুরি ভয় আমাদের নেই রক্ষার করবে সে। বারবার বলার কি দরকার? আমরা সব জান্তা। বাজারে না গেলে আমরা পাই না কোন পন্থা? তাই তো আমরা সকালে বিকেলে যাই হেথা, করোনা বলে আস হেথা দিব নতুন আশা। ঘরের কোনে বন্দী করে দিব  যন্ত্রনা খাসা। নারীরা বেধে মুখ ভাবে পাবে না তাদের দুঃখ তাই তো তারা বাজারে আসতে পায় সূখ। অবহেলা না করে ফিরি সবাই আপন ঘরে বদ্ধ থাকি যতটুকু পারি নিজ আঙ্গিনা তরে। করোনার ভয়কে করি জয় সাহস রাখি মনে না যেন করতে পারে আমাদের পরাজয় রণে।

আমার প্রিয় শিক্ষকগণ : আরিফুল ইসলাম

লিখেছেন :আরিফুল ইসলাম  জীবনের গল্পে  শিক্ষক হলেন উজ্জ্বল তারকা। হে আমার শিক্ষা গুরু;হে আমার পথ প্রদর্শক; তোমরাতো মানুষ গড়ার কারিগর,  তোমাদের এ  ঋণ,শোধ হবে না কোনদিন,  যতই করি গুণগান, সারাটি জীবনভর। গরিব ঘরে জন্ম নেয়া ছেলে-মেয়েদের সাধারণত বেশিদূর পড়াশোনা করা চলে না,কোনমতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত হলেই হলো।এরপর বেড়িয়ে পড়তে হয় কর্মসংস্থানে। যাকে বলা হয় "শিশু শ্রম "। আমাদের মতো গরিব ছেলে-মেয়েদের  এটাই ভবিষ্যৎ। তবে এর থেকে যে বেঁচে যায়,এগিয়ে যায় পড়াশোনা নিয়ে,তার পেছনে থাকে তার শতভাগ চেষ্টা এবং কিছু মহান ব্যক্তিদের অবদান।আমার জীবনেও ঘটেছে এমনই ঘটনা। আমি এখন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কিন্তু  আমার এ পর্যন্ত আসার পেছনে রয়েছে আমার তীব্র ইচ্ছে এবং কিছু মহান ব্যক্তিদের অবদান। আমার সুখে-দুঃখে যিনি সব সময় পাশে ছিলেন,তিনি হলেন আমার জন্মদাত্রী জননী। অতঃপর যারা আমাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করছেন, তাঁরা হলেন প্রিয় শিক্ষকগণ।যাদের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় আজ আমি এতটা পথ আসতে পেরেছি, সেই সব মহান শিক্ষকগণ হলেন,রফিকুল ইসলাম, আব্দুল রাজ্জাক তালুকদার, আশিস কুমার বিশ্বাস, কাঞ্চন কুমার মজুমদার, মোঃ মুজিবুর

প্রয়োজন

লিখেছেন: হাফসা মুন  কলম ছেড়ে কোদাল হাতে নেয়া, বা রোদে পুরে দিন মজুরি করা,  এটা কারও পেশা নয় প্রয়োজন,  যা তাকে তার স্বপ্ন গুলোকে মাটি চাপা দিতে বাধ্য করেছে। মাটি যেথায় শত্রু দিয়ে ঘেরা, ফেরার বেলা কাঠের বাক্সে ফেরা,  প্রয়োজন ছাড়া আর কি! কখনও নিজের, কখনও বা দেশের,  কিন্তু এটা প্রয়োজন। কেউ পড়াশোনা ছেড়ে কাজে নেমে পড়ে, কেউ চেনা পথ ছেড়ে অচেনার পথ ধরে, কেউ নিজেকে ঠকায় অন্যকে বাঁচাতে,  তো কেউ, অন্যকে ঠকায় নিজেকে বাঁচাতে। যেটা যার প্রয়োজন। প্রয়োজন শব্দটাই এমন- যার সামনে হেরে যায় পৃথিবী,  ছেরে যায় প্রিয়জন,  ভেঙে যায় শত মন। কারন দিন শেষে সবাই সবার,  কোন না কোন প্রয়োজন।

মাগো

লিখেছেন: আরিফুল ইসলাম  মাগো দশ মাস দশ দিন পেটে ধরে জন্ম দিলে মোরে। শত কষ্ট সইলে তুমি নিলে বাহুডোরে। আদর-সোহাগে ভরিয়ে দিলে আমার সারা দেহ, তোমার মতন এমন আপন পৃথিবীতে নাই কেহ। মাগো তুমি আমার  মমতাময়ী  আমার জগৎ আলো, তোমায় ছাড়া এই পৃথিবীর  লাগে না কিছু ভালো।  মাগো তুমি আমার রাতের আকাশ,  রাতের উজ্জ্বল তারা, তুমি আমার এই ধরণীর আলোর ঝর্ণাধারা। মাগো তুমি আমার ভালোবাসা, আমার আপনজন, পৃথিবীর সেরা সবচেয়ে দামী, সাত রাজারই ধন। মাগো তোমার চরণ তলে আমায় দাও গো একটু ঠাঁই,  তোমার চরণতলে যেন জান্নাত খুঁজে পাই।

মায়ের কাছে আছে যত ঋণ

লিখেছেন :   আশিক মাহমুদ রিয়াদ মা-ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এই শব্দের পরিধি কিংবা বিস্তৃতি কি বিশাল। সৃষ্টি শুরু থেকে এই শব্দটি শুধু মধুর নয়,ভালোবাসার,আবাগের,ক্ষমতার কিংবা তার চেয়েও বেশি। মায়ের অনুগ্রহ ছাড়া পৃথিবীর কোন প্রানীরই প্রাণ ধারণ করা সম্ভব নয়। তিনি আমাদের মা,আমাদের গর্ভধারিনী। আমাদের জনক,আমাদের জননী।  'মা' শুধু এই একটি শব্দ পৃথিবীতে কত মধুর। সন্তানের কাছে মা মানে গোটা পৃথিবী। শুধু পৃথিবী বললে ভুল হবে মায়ের কাছে আছে পরকালেরও ঋণ। তাইতো বলে, "মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। ' মা মানে জীবন।  একজন সন্তানের কাছে মায়ের থেকে মধুর শব্দ আর কি ই বা আছে? একজন নারী যখন জানতে পারেন তার গর্ভে সন্তান এসেছে তখন তিনি পৃথিবীর সব চেয়ে খুশি হন।দশ মাস দশ দিন, শুধু প্রতিক্ষা কবে আসবে সেই শিশু? সেই থেকে শুরু, যত্ন আর ভালোবাসা আর মমতায় টইটম্বুর। পৃথিবীর সব থেকে কষ্ট সন্তান জন্মদানে। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে কত মা তাদের জীবনকে বিসর্জন দিয়েছেন। ফুটফুটে শিশুটি যখন হাসপাতালে প্রথম ক্রদণ সুরে মত্ত, তখন মায়ের চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ে। এ জল আনন্দের, মমতায় মাখা।  ছোট্ট শিশুটি যখন চোখ পিটপিট করে তাকা