Skip to main content

Posts

Showing posts with the label লেখা লেখি

শূন্যতার অন্ধকার:একশ শব্দের গল্প

লিখেছেন : মোঃ সোহেল রানা রাসেল   জানালা থেকে বৃষ্টির ফোঁটা এসে গায়ে লাগতেই দুপুরের শখের ঘুম ভেঙে গেল। নাহ্ এমন রোমান্টিক আবহাওয়ায় ঘুম! বেরসিকতা ছাড়া আর কি? জানালাটা লাগিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াতেই আলোর ঝলকানি। বিদ্যুৎ চমকানোর শব্দে অবন্তী আমাকে জড়িয়ে নিলো ওর সাথে। যদি পারে বুকের ভিতরে লুকিয়ে পড়ে। এমন একটি মুহূর্ত কতবার চেয়েছি! ওর ভয় পাওয়া আমার আকাঙ্খার পূর্ণতা দিল। ওকে সাহস দিয়ে বললাম, ভয় পেওনা। এই বুক তোমার জন্য নিরাপদ আশ্রয়। আজীবন শুধু তোমার জন্য সিলগালা থাকবে।  ভয়ে ভরকে যাওয়া অবন্তী আজ আশ্বস্ত সেনানী স্বামীর বুকে। সেখানেই তার আশ্রয়, বুক ভরা উষ্ণ নিঃশ্বাস। আর আমার বেকার জীবনের সিলগালা বুকে শুধু শূন্যতার ঘুটঘুটে অন্ধকার ।

শেষ মানবী : সায়েন্স ফিকশন

লিখেছেন : এম.হাসান ১.মায়া ওয়েটিং রুমে বসে আছে ।তার সামনে একটি DXii মডেলের  রোবট এসে দাঁড়ায় ।রোবটটি অবিরাম বলতে লাগলো "মায়া, তোমায় স্বাগতম । তুমি মহামান্য আ্যলেক্স এর সাথে দেখা করার অনুমতি পেয়েছো ।তিনি তোমার জন্য অপেক্ষা করছে ।তুমি আমায় অনুসরন করো ,আমি তোমাকে তার কাছে নিয়ে যাব ।"কথাগুলো বিশ্বাস হচ্ছে না তার ।সাধারন মানুষের পক্ষে আ্যলেক্স এর মহান বিজ্ঞানীর সাথে দেখা করা প্রায় অসম্ভব । মায়াকে তার বাবা ছোট বেলায় এক ধরনের পুতুল কিনে দিয়েছিলো ,যেটা ব্যাটারির সাহায্যে চলোতো এবং কথাও বলতো ।এই রোবটটার কথা বলার ধরন অনেকটা সেই পুতুলটার মত ।"মায়া, তোমায় স্বাগতম । তুমি মহামান্য আ্যলেক্স এর সাথে ............" রোবটটি যেনো থামার নামই নিচ্ছে না । অবশেষে মায়া উঠে দাঁড়ায় ।রোবোটটা হাটা শুরু করে ।মায়া তাকে অনুসরন করতে থাকে । এই DXii মডেলের  রোবটগুলোর মুখশ্রী খুবই বাজে ।কিছুটা দৈত্য দৈত্য ভাব ।তাছাড়া এই রোবটদের তৈরী করা হয়েছে শুধু নির্দেশ পালন করার জন্য ।কোনো ধরনের প্রটোকল ভাঙার ক্ষমতা এদের নেই । শুধুমাত্র AT96 মডেলের রোবটদের এই ক্ষমতা আছে ।AT96 মডেলের রোবটগুলো মানুষের অনুরুপ ।এদের

রমজান এলো

লিখেছেন :আরিফুল ইসলাম আকাশে আজ মেঘ করেছে ভারী, বৃষ্টি হয়ে নামলো ধরায় ভাঙলো তারই আড়ি। মেঘের আড়াল ছিন্ন করে উঠলো রে চাঁদ আলো, রহমতের এই আলোতে দূর হবে সব কালো । বছর ঘুরে ও ভাই আবার রমজান এলো, পাপ গুলো সব মোচন করো পূণ্যের প্রদীপ জ্বালো। রোযা রাখো, নামায পড়ো রোজ মোনাজাত দু'হাত তুলো মহান আল্লাহর দিদার পেয়ে পূণ্যময় জীবন গড়ো।

রাতের মায়া

 লিখেছেন:  হাফসা মুন রাত যত গভীর হয়, প্রকৃতি ততো নিরব হয়, পুরানো ক্ষত তাজা হয়, বস্তাপচা স্মৃতিগুলো, নতুন করে কষ্ট  দেয়। রাত যত গভীর হয়, মুখোশ গুলো হালকা হয়, সুশীল সমাজ রূপ দেখায়, নিষিদ্ধ সে নিরব গলি, রাত বাড়লেই বাজার হয়। রাত যত গভীর হয়, আধার যত ঘন হয়, পৃথিবী যখন ঘুমিয়ে যায়, রাতের মায়া বৃদ্ধি পায়, যে মায়াতে মুখোশধারী, মুখোশখুলে রুপ দেখায়।

ওঠো আবার জেগে

আরিফুল ইসলাম ভোর না হতেই ছুটে চলে কাজে শ্রমিক ভাই, পারিশ্রমিক পেলেই তবে দুঃখ ঘুচবে তাই। কল-কারখানা, খেত-খামারে, সারা দিন-রাত খাটে, তার পরেও সুখ দেখে না শ্রমিক ভাই ঘটে। শোষণকারী শোষণ করে দেয় না সঠিক মূল্য, তাদের কাছে শ্রমিক যেন দাসত্বের সমতুল্য। ওঠো সব শ্রমিক ভাই ওঠো আবার জেগে, আছে যত মালিকরূপী শোষণকারীর দল, ভাঙো ওদের পাঁজরের হাড়, ভাঙো ওদের  বল। আর একটিবার কর সবে শ্রমিক আন্দোলন, ন্যাজ্য পাওনা পেয়ে সবার সুখে কাটুক জীবন।

ব্যর্থ প্রেমিক

লিখেছেন: মলয় কুমার মৈত্র আবেগহীন মরুর বুকে ব্যাস্ত হেটে চলা ইট পাথরের এই শহরে প্রেমিকের মৌনতা। রিক্ত হৃদয় মনের দুয়ারে বার বার ছুটে যাওয়া শূণ্য হাতে ব্যর্থ প্রেমিক দিন শেষে ঘরে ফেরা। কেউ শুনে না এই শহরে  প্রেমিকের আহাজারি, কংক্রিটের রাস্তা জানে কত ঘাম গেলো গড়াগড়ি। তবুও প্রেমিক হাল ছাড়ে না ভাবে আপন মনে, কেউ তার মূল্য না দিলেও সে ভালোবেসে যাবে নির্জনে।

ওরা বস্তিবাসী

 লিখেছেন: মৃদুল মিত্র ঝড় আসে ঝড় যায় কাদামাটি গলে যায়, তবু আলো আসে না তাহাদের বারান্দায়। দিন আসে দিন যায় সময় দৌড়ায় পাগলা ঘোড়ার বেশে তাহাদের সুদিন নাইবা ফিরে আসে। দিনের অগ্রভাগে সূর্য যে হাসে মাঝে মাঝে উঁকি দেয় জানালার ওপাশে ভাগ্য তো কভু হাসে না কারণ কেউ ওদের ভালোবাসে না। পায়ের নিচে যে জায়গাটা আছে সেটা ও মাঝে মাঝে নিলামে আসে কেউ বলে ওখানে করবে কারখানা কেউ কেউ রাতের আঁধারে দেয় হানা। দুমুঠো খাবার জোটে না প্রায়ই মুখ বুঝে সহ্য করে অত্যাচার রোজই। কেন এতো সহ্য করো প্রশ্ন জিজ্ঞাসে ? "মাথা গুঁজার ঠাই তো আছে এটা কম কিসে?" "দুই দিন হয়তো না খেয়েই থাকবো কিন্তু মাথার উপরের ছাউনি চলে গেলে! মাথা গুলো কোথায় গুঁজবো?"

নিথর হব

লিখেছেন: শাফিউল মিল্লাত একদিন যেতে হবে চলে যাব সকলের সাথে পা মিলিয়ে তবে এভাবে নয়, নির্ঘুম চোখে একাকিত্বের দহনে পুরতে চাই না মনে রাখবে আমায় পারবে আমায় মনে রাখতে! থাকব আমার বইয়ের পাতায় একদিন নিথর হব! দেহের উষ্ণতা হারিয়ে যাবে দ্রুত শীতল হবে আমার দেহ কিছু দিনের কান্না শেষে তুমি মাতবে আপন আলয়ে স্বার্থ চিন্তা তোমাদের কাবু করবে বুঝে নিবে খুজে নিবে যা ছিল আমার। যদি বল মনে রাখবে, তবে আমি থাকব আমার বইয়ের পাতায় সেদিন হয়তো ফিরে আসব আবার যেদিন করবে মনে খুজবে আমায় খুজো তবে আমায় বইয়ের পাতায় হয়তো ফিরবো কোন এক ভোরে।

মধ্যবিত্ত

লিখেছেন: হাফসা মুন আমি অভাবে বেড়ে ওঠা দরিদ্র নই, আবার নামাঙ্কিত ধনীও নই, আমি মধ্যবিত্ত। যার জন্ম মাটির ঘরেও নয় আবার দালান কোঠায়ও নয়, সাদামাটা একটি ঘড়ে যা আমাকে ধনী আর দরিদ্র হতে আলাদা করে। আমি অভাবে কারও সামনে নত হতে পারি না আবার স্বভাবে কারও ভাতও মারতে পারি না, আমি তো পারি নিরবে চোখের জল ফেলতে আর অপেক্ষা করতে সময় পাল্টাবার। ঝুম বর্ষায় যারা কাদায় গড়াগড়ি খেয়ে আনন্দ নেয় তারা নাকি গরীব, আর যারা নিজের বাড়ির ছাদে গিয়ে ভিজে আনন্দ নেয় তারা ধনী, আর আমি ঘরের ফুটো চাল বেয়ে পড়া পানিতে হাড়ি পাততে ব্যস্ত। জীবনের প্রতিটি পদে আমি অনুভব করি  আমি মধ্যবিত্ত। কষ্ট গুলোকে নির্মল হাসির খোলসে ঢেকে স্রোতের টানে বয়ে চলা এক মধ্যবিত্ত, যাদের ভরসা শুধু প্রিয়জনদের ভালবাসা। আমাদের অনেক স্বাধ থাকে কিন্তু  পূরন করার সাধ্য থাকে না, দ্বায়িত্ব আর সামাজিকতার আড়ালে হারিয়ে যায় অতল গভীরে, কারন আমরা নামাঙ্কিত মধ্যবিত্ত।

মঠবাড়িয়া সাহিত্য পরিষদের ঈদ সংখ্যার জন্য লেখা আহবান

amarpirojpur.com ডেস্কঃ আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে একটি বিশেষ সাহিত্য সংকলন। সাহিত্য পরিষদের বিশেষ সংখ্যা হিসেবে অনলাইনে পিডিএফ আকারে এটি প্রকাশিত হবে। এতে সাহিত্যমান সমৃদ্ধ যেকোনো স্বরচিত লেখা পাঠাতে পারবেন। রমজানের ২০ তারিখের মধ্যে সাহিত্য পরিষদের প্রদত্ত ই-মেইলের মাধ্যমে লেখা গ্রহন করা হবে। ঈদ নিয়ে যেকোনো লেখা বিশেষ গুরুত্ব পাবে। জানা যায়, গত বছররের ৩১শে অক্টোবর মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি ও পাঠাগার আন্দোলনের কবি মেহেদী হাসানকে সমন্বয়ক করে উপস্থিত সকল সাহিত্যিককে এ পরিষদের সদস্য করা হয়। সে সময় সাহিত্য সংগঠনটি মঠবাড়িয়ার শিল্প সাহিত্যের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ঈদ সংখ্যায় লেখা পাঠাবার ঠিকানাঃ mpathagarsahityo@gmail.com সামাজিক মাধ্যমে যেকোনো তথ্য পেতে ও সাহিত্য পরিষদের সাথে যুক্ত হতেঃ https://m.facebook.com/MPathagarSahityo

আবারো স্বপ্ন দেখি

লিখেছেন: আরিফুল ইসলাম আমি আবারো স্বপ্ন দেখি, একটি নতুন স্বচ্ছ পৃথিবীর। যে পৃথিবীর বুকে রয়েছে একটি সুবিশাল আকাশ, যে আকাশে নেই মেঘের আস্তরণ, নেই বজ্রপাত, বজ্রনাদ। মেঘমুক্ত একটি স্বচ্ছ নীলাকাশ। যে আকাশে উড়ে বেড়ায় শেকল ছেঁড়া পাখি। মুক্ত আকাশে ডানা মেলে দেয় আর নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে নেয় স্বাধীনতার স্বাদ। যে পৃথিবীর বুকে মানুষ বসবাস করে। যাদের মাঝে নেই দুঃখ, দুর্দশা আর প্রিয়জন হারানোর বেদনার আর্তনাদ। যে পৃথিবীর বুকে প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে, নানা আয়োজনে। প্রকৃতি হয়ে ওঠে চির সবুজ, ফুলে ফুলে শোভিত।

নারীর ভূষণ লজ্জা, বাঙালির ভূষণ কৃষি

লিখেছেন:কে.এম.রাসেল একজন কৃষক হচ্ছেন বিধাতার সন্তান। তিনি মাঠে সোনা ফলান। পৃথিবীর মানুষেরা সে সোনা পেটে পুরে তৃপ্তি পায়, কাজ করার শক্তি পায়। কৃষি হচ্ছে মানুষের আদি পেশা। আপনার বাবা বা তার বাবা অথবা তার বাবা কিংবা তার বাবা একসময় ঠিক কৃষক ছিলেন। সে হিসেবে আমরা কৃষক পরিবারেরই সন্তান। একজন কৃষক পরিবারের সন্তান পরিচয়টা পৃথিবীতে সবচেয়ে গর্বের পরিচয়। কৃষকই মূলত পুরো পৃথিবীতে খাদ্যের যোগান দিয়ে থাকে। কৃষক না থাকলে কিভাবে আমরা খাদ্যের যোগান পেতাম? পৃথিবীতে এতো এতো জিনিসের গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়, ঘটা করে প্রতিটা থানা কিংবা জেলা থেকে সেরা কৃষককে টিভিতে প্রচার করে সম্মান সহকারে অভ্যর্থনা দেয়া যায় না? একজন কৃষক হেসে উঠলে হেসে উঠে পুরো পৃথিবী। যারা পুরো পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তারা তো এটুকু সম্মান পেতেই পারে।

বিচার হবে

লিখেছেন: আরিফুল ইসলাম গরিবের পেটে লাথি মেরে আর কতকাল খাবে? গরিবের দেয়া অভিশাপে ধ্বংস হয়ে যাবে। ভোটের সময় চাপাবাজী নেতারা করে ধান্ধাবাজি এটা,ওটা, আরও কত কি! পরে দেখা যায়  সবই ফাঁকি। আজকে তোমরা সুযোগ পেয়ে খাচ্ছ সব লুটেপুটে ভেবেছো কি সময় হলে হাজির হবে প্রভূর দ্বারে। তখন ওহে,বাবুমশাই কি জবাব দিবে প্রভূর কাছে? ভেবে দেখো তুমি তবে, তখন তোমার  কি যে হবে! গরিবের পেটে লাথি মারো ক্ষমতার বলে তোমরা যারা জেনে রেখো আজকে তবে রোজ কেয়ামত বিচার হবে।

মূর্খ সমাজ

লিখেছেন : আলিমুজ্জামান ইমন আমি লাজুক নই, চোখে রুমাল দিয়ে কথা বলবো। আমি স্পষ্টভাষী, চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি। আমি খাবার চোর নই, পালিয়ে খাবার খাবো। আমি মানুষ, সবাইকে নিয়ে খেতে ভালোবাসি। আমি গীবতকারী নই, যে সমালোচনা করবো। আমি মুসলমান,সম্মুখে বলতে পছন্দ করি। আমি অত্যাচারী নই, আমি সহনশীল। আমি বিত্তবান নই, আমি সৌখিন। আমি গরীব না, আমি মধ্যবিত্ব। আমি নির্লজ্য না, আমি লাজুক। আমি উন্মাদ না, আমি চঞ্চল। আমি দাম্ভিক না, আমি নির্ভীক। আমি বেয়াদব না, আমি আদব। আমি ক্রিমিনাল নই, লুকিয়ে থাকবো। আমি নেশাখোর নই, লুকিয়ে সিগারেট খাবো। আমি চরিত্রহীন নই, যে আড়ালে দাড়িয়ে কথা বলবো। আমি মানুষ, আল্লাহর গোলাম।

এটি নারী নির্যাতনের অন্যতম ধারক ও বাহক বলে আমার ধারণা

লিখেছেন:সাবরিনা শারমিন বাঁধন বিশেষত বাঙালী জাতির একটা বদ্ধমূল ধারণা আছে যা নারী নির্যাতনের অন্যতম ধারক ও বাহক বলে আমার ধারণা - মেয়েদেরকে বাবা-মায়েরা বলে থাকেন বিয়ের পরে লাল শাড়িতে শশুর বাড়ি যাবি আর সাদা শাড়িতে বের হবি অর্থাৎ স্বামীর মৃত্যু ছাড়া ও বাড়ি থেকে ফেরত আসা যাবেনা।বাপের বাড়ি আসলে স্বামীর সাথে আসতে হবে কমপক্ষে স্বামীর অনুমতি লাগবে।এবং স্বামী কিংবা শশুর বাড়ির বিপক্ষে কোনরকম নালিশ বা সমস্যা শোনা হবেনা।আরও আছে,বাবা-মায়ের জন্য কোনকিছু নিতে চাইলে স্বামীর অনুমতি থাকা জরুরি। এবার বাঁচো মরো আল্লাহ ভরসা। এইযে এই কথাটা যে কতটা কঠিন কথা, তা কেউ ধারণা করতে পারবেন? একটা এ্যাড দেখেছিলাম টেলিভিশনে- যেখানে বাবা বলছেন বিয়ের দিন তাঁর মেয়েকে (কথাটা এইরকম অনেকটা) যে জীবনে যাই ঘটুক এই বাড়িটা তার জন্য আছে।এই কথাটা যে কতটা শক্তিশালী সেটা কেউ বোঝেন? মেয়ের কথা শুনবেন না।শশুড়বাড়িতে সকালে চা ভাল না হওয়ায় শশুড়ের মুক ঝাম্টা,রান্নায় নুন কম হওয়ায় শাশুড়ির খুন্তির ছ্যাকা,ননদের হিংসা,দেওরের গা হাতানি সহ্য করতে হয়,এই সমাজের অনেক মেয়েদেরই। আর রাত্রে বরের পিটানি তো আছেই। সেখানে দোষ গয়না কম দেওয়া,ফার্নিচ

গোধূলির শেষ আলো

গল্পটি লিখেছেন: সোহেল রানা রাসেল           বসন্তের আগমনে চারপাশে সজীবতার ছোঁয়া লেগে গেছে। প্রকৃতি তার সব রঙ দিয়ে সাজিয়ে নিতে ব্যস্ত। বৃক্ষরাজি বিরহে দগ্ধ ডানা ছেটে নতুন স্বপ্নের সবুজ ডানার ফাঁকে ফাঁকে এঁটে দিয়েছে সুরভিত ফুল, কলি। সু-সময় বুঝে কোকিল ও তার মিষ্টি সুর নিয়ে হাজির। সাদা-কালো জীবনে নিজেকে রাঙিয়ে নেওয়ার এইতো সময়। বসন্ত নাকি হৃদয়ে ভালোবাসা নিয়ে আসে। প্রেমিক মনের তপ্ত ভালোবাসা প্রেয়সীর কাছে বিলীন হতে হতে শত সংকোচ ঝরে পড়ে।         সাদাবের দীর্ঘ আটাশ বসন্তের শেষে একঘেয়ে জীবনে প্রথমবার বসন্তের উষ্ণতা তাকে ছুঁয়ে দিল ঊনত্রিশে। রবীন্দ্র সরোবরে দেখা হয় আদিবার সাথে। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের আলাপ চলছে। মা বাবার পছন্দে সাদাবের কোন আপত্তি ছিল না। তবুও দুই পরিবারের ইচ্ছেতে তাদের দেখা করা। জীবনে এতো গভীরভাবে কাউকে উপলব্ধি করা হয়নি তার। প্রথম দেখাতেই মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়েছে তার মন জুড়ে। নিজের মুগ্ধতা আটকে রাখতে না পেরে আদিবাকে বললো- আমি কখনো কারো প্রেমিক হইনি। আমাকে কি আপনার সারা জীবনের প্রেমিক হওয়ার অধিকার দিবেন? আদিবা চুপচাপ। নিরবতা ভেঙে দিতে সাদাব মুখ খুললো। "মৌনতা সম্মতির লক্ষণ

সোনামনিদের প্রতি চিঠি

লিখেছেন :আব্দুল লতিফ খসরু প্রিয় সোনামনিরা তোমাদের জন্য রইলো আদর আর অফুরান ভালবাসা।আশা করি তোমারা ভালো আছ। তোমাদের ভালোবাসি তোমাদের নিয়ে সপ্ন দেখি আর সেই সপ্ন আকাশ ছোয়া। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারনে তোমাদের স্কুল বন্ধ।তাইতো তোমরা আছো ঘরে।তোমাদের ঘরে সময় কাটাতে তোমাদের দিয়েছিলাম খেলনা ও ছড়ার বই তোমাদের ঘরে বসে ছবি আকতে দিয়েছিলাম রংপেন্সিল আর আর্ট পেপার। হয়তো এতদিনে ছবি অংকন করেছো। কথাছিলো তোমাদের পুরস্কার দেবো কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার কারনে তোমাদের ভালো রাখতে কাছে যেতে পারিনা তোমাদের সাথে গল্প করতে পারিনা।তাইতো তোমাদের জন্য মন কাঁদে। সোনামনিরা মন খারাপ আর কিছু দিন অপেক্ষা করো করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার তোমাদের কাছে আসবো তোমাদের নিয়ে গল্প হবে গান হবে সন্ধা নদীর সূর্য অস্ত দেখাবো সন্ধা নদীতে নৌকায় ঘুরতে যাবো। ততোদিন সাবধানে থাকবে। মা বাবার কথা শুনবে একদম ঘর থেকে বের হবে না।সাবান দিয়ে নিয়ম মেনে হাত ধোবে। আল্লাহ চাহেন তো করোনার ভাইরাস সংক্রমণের থাবা থেকে আমরা রক্ষা পাবো।

যদি এই যুদ্ধে বেঁচে যাই

লিখেছেন: মৃদুল মিত্র যদি এই যুদ্ধে বেঁচে যাই, মনের মধ্যে মস্ত একটা প্রাসাদ গড়ে তুলবো যে প্রাসাদে পৃথিবীর  সকল মা-বাবা রাখা যায় বৃদ্ধ বয়সে যারা বৃদ্ধাশ্রমে মাথা গুঁজার ঠাঁই খুঁজতে বাধ্য হয়। যদি এই যুদ্ধে বেঁচে যাই , নীলনদ, আমাজন নদী কিনে নিবো যেখানে অনায়াসে সাঁতরাতে পারে মৎস্যকূলসহ সকল জলজ প্রাণী। যদি এই যুদ্ধে বেঁচে যাই, পুরোটা আমাজন অরণ্য আমার নামে লিখে নিবো যেখানে সকল পশু পাখির অভয়ারণ্য  তৈরি করা যায়। যদি এই যুদ্ধে বেঁচে যাই, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরী কারখানা গুলো ভেঙে হাসপাতাল তৈরি করব যাতে ধনী-গরীব নির্বিশেষে চিকিৎসা পায়। যদি এই যুদ্ধে বেঁচে যাই, লাস ভেগাসে ওদের জন্য আশ্রয়স্থল করে দিবো যারা রাস্তার পাশে থাকে বছরের পর বছর তবুও মাথার উপর জুটে না ছাদ। বন্ধ করে দিব ওখানের মদ কিংবা জুয়ার আসর। সারাদিন সেখানে হবে প্রার্থনা স্রষ্টার। যদি এই যুদ্ধে হেরেই যাই, তবে তোমার কোলে মাথা রেখে মাগো শেষ ঘুম, ঘুমিয়ে যেতে চাই।

মধ্যবিত্ত

                     লিখেছেন:এইচ অরূপ       দেখেছেন নিশ্চয়ই- আলুসিদ্ধ;       যেমন মাখেন-তেমনি বিস্তৃত,       নীরবতা ছাড়া নেই কোন শব্দ!!        হাত পেতে নিবে না;        ধার-দেনাও চাইবে না,        নীতিতে তারা বড়ই শক্ত!!         মূলতঃ যারা- সম্মানে বদ্ধ;        পকেট সংরক্ষণ- নিজ দায়িত্ব,         লোভ-লালসা খুবই সীমিত!         কার্য সিদ্ধিতে- তেল মাখা;        ইহা সম্ভব না- তাদের দ্বারা,        ভবিষ্যৎ কল্পনাতে থাকেন মত্ত!!         মোটা কাপড়, মোটা ভাত         এই নীতিতে- বার মাস,         থাকেন সদা চাপাবাজি মুক্ত!           ত্রান নয়, অনুদান নয়;           এসব তারা- কখনই না লয়,           এরই নাম মধ্যবিত্ত!!

চলো যাই নামাজে

              লিখেছেন : মাওঃ মাহমুদুল হাসন খন্দকার এসো মুসলিম ওযু করে চলো যাই নামাজে, ব্যস্ত থাকিস সবসময়ই দুনিয়ার সব কাজে। মাতা পিতা দাদা দাদী চলে গেলেন কবরে , কি জবাব দিবে তুমি কঠিন দিবস হাশরে। ঘুমের চেয়ে নামাজ ভাল মুয়াজ্জিনে কয়, নামাজী  মৃত্যুর পরে নেই যে কোন ভয়। বুলবুলিরা মধূর সুরে গাইছে আল্লাহর গান, বেনামাজি হয়েও তোদের, দাবী মুসলমান। এই দূনিয়ায় বাহাদুরি করবি কতকাল , হিসেব যে দিতেই হবে,আসছে পরকাল। পাপাচার-গুনাহের কাজে নামাজ অন্তরায়, তবে ঈমানদার হইতে পারিস খাঁটি তওবায়। পিতা মাতা কেমন আছে অন্ধকার কবরে, ক্ষমাকরে দিও তাদের কঠিন দিবস হাশরে। আল্লাহ কবুল কর নামজীদের মোনাজাত, রহমাতে ভরে দিও আমাদেরই  দুটি হাত।