Skip to main content

প্রিয় শিক্ষক রিপন স্যার




লিখেছেন: নূর-ই হাফসা মুন

 শিক্ষা যদি আমাদের জীবনের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে থাকে তবে শিক্ষকরা  সব চাইতে মূল্যবান সম্পদ। জীবনে চলার পথে শিক্ষক নামে পরিচিত বিভিন্ন মানুষের সাথে আমরা পরিচিত হই যারা আমাদের কাছে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষা দেয় পুথিগত শিক্ষা যে বিষয় পাল্টালে শিক্ষকও বদলে যায়।কিন্তু আমাদের প্রতিটি মানুষের জীবনেই হয়ত একবার না একবার শিক্ষক রূপে এমন মানুষ আসে যে জীবনের শিক্ষা দেয়। যা আমরা চলার পথে বয়ে নিয়ে চলি। 
আমার জীবনের সেই মূল্যবান ব্যক্তিত্ব আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ আমার রিপন স্যার। আমার গনিতের শিক্ষক। তিনি যতটাই স্যার ততোটাই আমাদের পিতা, ততোটাই আমাদের বন্ধু। যার কাছে যেকোনো সমস্যা হোক গনিতের অথবা জীবনের আমরা সবাই অনায়েসে বলে ফেলতাম। আর যতটা না সহজে আমরা বলতাম তা থেকে অনেক সহজে সে সবাধান দিয়ে দিত। আমাদের মত কিছুটা দূর্বল  ছাত্র-ছাত্রী যারা তাদেরকে  অন্য স্যাররা যেখানে ৩৩ দিয়ে বিদ্রুপ করে বলতো তোমরা "বোদে খাটো"। সেই ৩৩ পাওয়া একই ছাত্র-ছাত্রীর অনেককেই তার কাছ থেকে শিক্ষা-দীক্ষা নিয়ে এ, এ প্লাস  এমনকি গোল্ডেন পযন্ত পেয়েছে। কারন রিপন স্যারের কাছে যেখানে পড়তে যেতাম ওটা আমাদের জন্য শুধু পড়ার জায়গা নয়, জীবনকে শেখার জায়গাও ছিল। কঠিন থেকে কঠিনতম জিনিস গুলোকে কেমন করে যেন কৌতুকের মালায় পেঁচিয়ে আমাদের মনে গেথে দিত। গরীব ধনী তার দর্জা দিয়ে কেউ খালি হাতে ফিরতো না। বিনা পয়সায় আবার কাউকে নিজে বই দিয়ে পড়ার ব্যবস্হা করতেন স্যার। আমরা যখন জিজ্ঞেস করতাম একটা কথাই বলতেন" আমি জীবনে কষ্ট করে বড় হয়েছি তাই যারা মন থেকে পরিশ্রম করতে চায় তাদের মধ্যে নিজেকে দেখি,কাউকে ফিরিয়ে দেই না"।শিক্ষা যেখানে জাতির মেরুদণ্ড সেখানে আমার মত হাজারো বা লাখো ছাত্রছাত্রীদের মেরুদণ্ড গঠনের কারিগর স্যার। যিনি আমার জীবনের প্রতিটি সাফল্যের অংশিদার, আমার জীবনের শিক্ষা গুরু,সত্যিকারের শিক্ষক। যে তার ছায়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে সে যেন পৃথিবীর সবচাইতে ভাগ্যবান শিক্ষার্থীদের একজন।যাকে আমরা কেউ কখনও ভুলতে পারি না কারন সে আমাদের আদর্শ।

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে