Skip to main content

নারীর বাড়ি কোথায়?




লিখেছেন: মৃদুল মিত্র

পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে সৃষ্টিকর্তা মানুষকে দুটা ভাবে সৃষ্টি করছেন। এদের মধ্যে কেউ হয়েছেন নারী কেউ হয়েছেন নর। নারী কে খুঁজে পাওয়া যায় নানান চরিত্রে। নারী যখন সন্তান জন্ম দেয় তখন হয়ে যায় মা, আবার নারী যখন কাউকে ভালোবাসে তখন হয়ে যায় প্রেমিকা, নারী যখন কারও সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তখন হয়ে যায় স্ত্রী। আবার এই নারী যখন শারীরিক গড়নের সাথে মানানসই ড্রেস পরে রাস্তায় হাঁটে তখন নরের কাছে হয়ে যায় মাল। আবার এই একই নারী যখন টাকার অভাবে পতিতা বৃত্তি বেছে নেয় তখন হয় বেশ্যা। আবার নারী যখন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে খদ্দের খোঁজে তখন হয়ে যায় কলগার্ল। এই সকল নাম কিন্তু আমাদের পুরুষ জাতির দেওয়া।তবে নারীকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন নারীরা তো মায়ের জাতি এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু যুগ যুগ ধরে এই নারীদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলে আসছে। দুঃখের বিষয় একটা মেয়ের আসলে নিজের কোন বাড়ি থাকে না। একটা বয়স পর্যন্ত নারী তার বাবার বাড়িতে মুক্ত পাখির মত ছুটে চলে। কিন্তু যখন মেয়েটার বিয়ে হয় তখনই তার হাতে পায়ে অদৃশ্য শিকল বেঁধে দেওয়া হয় তার শ্বশুর বাড়ি থেকে। তার যে স্বামী থাকে সে তাকে বাসর রাতেই নানাবিধ আইনের এক ফ্যামিলি সংবিধান তার হাতে তুলে দিয়ে দেয় এবং বলে দেন যেন এই সংবিধানের বাহিরে না যায়। এর পর পরিবারের অন্য সদস্যদের কথা তো আছেই। স্ত্রী যদি তার ননদের মন মত না হয় তবে বৌদি/ভাবী খারাপ আবার শ্বশুর /শাশুড়ির মন মত না চললে পুত্রবধু খারাপ। মনে হচ্ছে বিয়ে তো করে নাই সবার মন মত চলার এক সংকল্প করেছে।এতো সবার মন জয় করতে গিয়ে নিজের মধ্যে আর তিনি বেঁচে থাকেন না। তিনি হয়ে যায় খেলনা পুতুলের মতো। যে যখন যেমন নাচায় তেমনি নাচে। কিন্তু সেটা ও সমস্যা না। মাথা পেতে মেনেও নিবে। কিন্তু সমস্যা হলো মাঝে মধ্যেই আমরা ভুলেই যাই নারীদের অবদান।
🚫মনে করুন একটা মেয়ের বিয়ে হলো। হয়তো লাভ ম্যারেজ অথবা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ যে কোন টা হতে পারে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রী খেয়াল করলেন তার স্বামী অন্য কারও সাথে যোগাযোগ করে অথবা অন্য কারও সাথে প্রেম করে। হয়তোবা সেটা স্ত্রীর কাছে ধরাও পড়ে । কিন্তু স্ত্রী মুখ বন্ধ করে সব কিছু মেনে নেয়।কারণ তিনি চায় তার স্বামী যেন কোথাও কষ্ট না পায়। কিন্তু তারপরও স্বামী কিন্তু তার ঐ পথ থেকে ফিরে আসে না। এভাবে দিনের পর দিন সহ্য করে ই যাবে আর তথাকথিত পুরুষ এগুলো করেই যাবে। যদি কোন কিছু বলতে যায় তখন পরিবারের অন্য সবার কাছে খারাপ হয়ে উঠে এই স্ত্রী। তাই শুধু চোখের জল ফেলতে ফেলতে সারা জীবন পার করে দেয়। তারপরও আমাদের পুরুষদের বোধোদয় হয় না।
🚫আমি এমনও অনেক পুরুষ দেখেছি যারা তার স্ত্রী কে নিজের দাসী মনে করে। আবার এ ও বলতে শুনেছি " যে সংসারের কাজ শুধু নারীর জন্য। ও কাজ পুরুষ করলে সে পুরুষ কে কি আসল পুরুষ মানায়?"
🚫আমাদের আসলে একটা বড় সমস্যা আছে। সেটা হলো আমরা আমাদের নিজেদের মা, বোন কে যেভাবে ভাবি ঠিক অন্যদের প্রতি সে সন্মান দেখাতে পারি না।। আমরা কখনও আমাদের মা কে গালি দিয়েছি? দেয়নি তো? কিন্তু আমাদের স্ত্রীদের সাথে একটু পান থেকে চুন খসলেই তাকে গালি দিচ্ছি। এমনকি প্রহার করতেও মাঝে মাঝে দ্বিধা বোধ করি না। কিন্তু আমরা ভুলেই যাই যে এই নারী সেও তো কারও মেয়ে, কারও বোন কিংবা আমার অনাগত সন্তানের মা। তাহলে আমি যদি আমার মাকে শ্রদ্ধা করতে পারি, আমি যদি আমার বোন কে ভালোবসতে
 পারি। তবে স্ত্রী কে কেন নয়? 
🚫আমরা আমাদের পুরুষত্ব নিয়ে গর্ব করি। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে কতো জন পুরুষ আছেন যারা নারীর মাধ্যম ছাড়া পৃথিবীতে এসেছেন? আমার জানা মতে এটা সম্ভব নয়।
🚫আমাদের পুরুষের মধ্যে যে আমিত্ব ভাব বিরাজ করছে এই আমিত্ব ভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে। মুক্ত করে নিজেকে মানুষ ভাবতে হবে। কারণ আমাদের ও বোন আছে ওদেরকে ও কোন পরিবারের ছেলের সাথে পাত্রস্থ করতে হবে। আমরা যদি নিজের স্ত্রী কে শ্রদ্ধা, ভালবাসা দিয়ে আগলে না রাখতে পারি তবে এমনটা আমাদের বোনের সাথে হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। 
🚫আমরা সবাই মাঠে নেমে কিংবা সোস্যাল মিডিয়াতে ঝড় তুলি নারীর অধিকার নিয়ে। কিন্তু নিজের ঘরে ই যদি নারী নিরাপদে না থাকে তবে বাহিরের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা আর নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করা বোকামি ছাড়া আর কিছু না আমার মনে হয়। 
🚫একটা বিষয় স্পষ্ট করে বলতে চাই। যারা নিজের স্ত্রী থাকতে অন্য কোন মেয়ে বা অন্যের স্ত্রীর দিকে কুনজর দেন তারা ভাবুন তো আপনার বোনের সাথে এমন হলে কেমন লাগে? আমাদের পুরুষদের একটা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। এখান থেকে বের হতে হবে।এক্ষেত্রে অনেকে বলবে নারীরা তো পরকীয়া করে।কিন্তু নারীতো পুরুষের দুষ্ট চক্রে পরেই এই পরকীয়াতে লিপ্ত হয়। শুধু পুরুষ আপনাদের জন্য আপনার স্ত্রী সারা জীবন কান্না করে কাটায়। হয়তো ছেলে মেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে আপনাকে ছেড়ে দিয়ে যায় না। তার মানে এটা তার দুর্বলতা না।নারী আত্মসম্মানবোধ থেকেই আপনার সাথে থাকে। নারীর দুর্বলতার সুযোগ নেওয়ার আগে নিজের বোনের কথা ভাবুন।যদি এই একই বিষয় আপনার বোনের সাথে হয়? তখন কেমন লাগবে? জীবন শুধু কামে আর মোহে নয়। জীবন উপলব্ধিতে ও ভালোবাসায়। ভালোবাসার মানুষকে শ্রদ্ধা করা শিখতে হবে আমাদের। তাহলে জীবনে খুব সহজ হবে। 
🚫এবার দেখা যাক আমাদের ধর্মে নারীর মর্যাদা কেমন দেওয়া হয়েছে :
⛔ইসলাম ধর্মে:
নারীরা হচ্ছে মায়ের জাতি। মায়ের মর্যাদা সম্পর্কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত।” একজন সাহাবী নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন আমার নিকট খেদমত পাবার সবচেয়ে বেশি হকদার কে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- তোমার মা। সাহাবী বললেন-তারপর কে? রাসূল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- তোমার মা। সাহাবী বললেন- তারপর কে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- তোমার পিতা এবং তারপর পর্যায়ক্রমে তোমার আত্মীয়-স্বজন। (বুখারী , মুসলিম, তিরমিযী ও আবু দাউদ শরীফ)। রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের পূর্বে ধন-সম্পওিতে নারীদের কোন উওরাধিকার স্বীকৃত ছিল না। ইসলামই মৃতের পরিত্যক্ত সম্পওির হকদার পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও প্রধান করে। পবিএ আল-কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে- “পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পওিতে পুরুষদের অংশ আছে এবং পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পওিতে নারীদেরও অংশ আছে। অল্প হোক কিংবা বেশি হোক , এ অংশ নির্ধারিত।” (সূরা আন-নিসা , আয়াত নং-৭)।
⛔হিন্দু ধর্মে :
যত্র নার্য্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ।

যত্রৈতাস্তু ন পূজ্যন্তে সর্বাস্তত্রাফলাঃ ক্রিয়াঃ।। (মনুসংহিতা ৩/৫৬)

অর্থাৎ“যে সমাজে নারীদের যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করা হয় সেই সমাজ উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি লাভ করে। আর যারা নারীদের যোগ্য সম্মান করে না, তারা যতই মহৎ কর্ম করুক না কেন, তার সবই নিষ্ফল হয়ে যায়।”

🚫আমার আহবান নারীদের প্রতি। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার ভাষায় :

আপনারে আজ প্রকাশের তব নাই সেই ব্যাকুলতা
আজ তুমি ভীরু আড়ালে থাকিয়া নেপথ্যে কও কথা!
চোখে চোখে আজ চাহিতে পার না; হাতে রুলি, পায়ে মল, 
মাথায় ঘোমটা, ছিঁড়ে ফেল নারী, ভেঙে ফেল ও শিকল!
যে-ঘোমটা তোমায় করিয়াছে ভীরু ওড়াও সে আবরণ!
দূর করে দাও দাসীর চিহ্ন ঐ যতো আবরণ।’
 
➡️নারীর জয়গান শুনে আমাকে হয়তো অনেকে ভাববেন আমি নারীবাদী লেখক কিন্তু যে যাই বলুক আমি এই লেখাটা আশেপাশের অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছি। এবং একটা কথা মনে রাখতে হবে আমরা যদি নারীকে সম্মান করতে না পারি তবে আমার মা কিংবা বোনকে ও সম্মান করতে পারবো না।

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে