Skip to main content

Posts

Showing posts with the label ঘোরাঘুরি

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

নাজিরপুরের শেখ হাসিনা সেতু পর্যটনের আপার সম্ভাবনা

  লিখেছেন : ডা:সুদেব সরকার  ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা , নাজিরপুর  একসময় ভীষণ কোলাহল আর হাঁকডাকে মুখর ছিল তালতলা,দীর্ঘা সেতুর এপার ওপার! অথচ ছয় বছর ধরে নদীর বুক চিরে তিল তিল করে গড়ে ওঠা স্প্যানগুলোর উপর বসে আছে দানবাকার কিছু খন্ড রাস্তা!এপার-ওপারের মিলন ঠিক মধুর হলো কিনা নদীর কাছে জিজ্ঞেস করার ছিল৷ কখনো শোনা হয়নি৷ আজ দু পাড়ের বাজারে শূণ্যতা!এখন আর কেউ খেয়া পারাপারের জন্য অপেক্ষা করেনা৷ অনেক বেকার হাতে তুলে নিয়েছে গাড়ির স্টিয়ারিং৷ জীবন কখনো থেমে থাকে না৷আওয়ামীলীগ সরকারের টানা ৩য়  মেয়াদে নির্বাচনী ওয়াদা ছিল গ্রাম হবে শহর৷ সুতরাং উদ্যোগ নেয়া গেলে তালতলা শেখ হাসিনা সেতু  হতে পারে বেকারত্ব সমাধানের পথ৷ অভিশাপ হতে  পারে আশির্বাদ! অমিত সম্ভাবনার এই সেতু পর্যটন বিকাশের মাধ্যম হতে ঠিক কত দেরী জানতে ইচ্ছে করে! কাকে শুধাই এখানে প্যাডেল বোট আসবে কবে? হয়তো ব্রীজের নিয়ন আলোয় সন্ধ্যায় ভাসমান রেস্তোরায় বসে কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে এই মন অজান্তেই গেয়ে উঠতো ওওওরে নীল দরিয়া....আমায় দে রে দে ছাড়িয়া! সিলেটের ক্বীণ ব্রীজের মতো ঘন্টা বাজানো বিরাট ডায়ালের একটা ঘড়ি ব্রীজের প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে থাকতো আর জা

দৃষ্টিনন্দন সম্পুর্ণ কাঠের তৈরি মমিন মসজিদ

কাঠের তৈরি সবচেয়ে প্রাচীন ও ছোট আকৃতির মসজিদের একক নিদর্শন 'মমিন মসজিদ'। মসজিদটি এখন দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই, বিশ্বেরই একমাত্র কাঠের তৈরি দৃষ্টিনন্দন মুসলিম স্থাপত্যকলার অনুপম নিদর্শন।আর এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন তৎকালীন বরিশাল অঞ্চলের পিরোজপুরের ধর্মপ্রাণ যুবক মৌলভী মমিন উদ্দিন আকন। মমিন মসজিদের পেছনের গল্প: বুড়িরচর গ্রামের সম্ভ্রান্ত আকন বাড়ির মৌলভী মমিন উদ্দিন আকন অনন্যসুন্দর এ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা। তবে মমিন মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে দুই রকম তথ্য পাওয়া যায়। ১৯০০ সালে তৎকালীন বরিশালের রায়বাহাদুরের স্টেট থেকে স্থানীয় কচা ও পোনা নদীর জলকারের দায়িত্ব পান মমিন উদ্দিন আকন। মমিন উদ্দিন আকনের নাতি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ 'মমিন মসজিদ : স্মৃতি বিস্মৃতির কথা' গ্রন্থে  বলেছেন, ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা মহসিন উদ্দিন দুদু মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়ার অনুসারী ছিলেন মমিন উদ্দিন আকন। নিজ বাড়িতে কাঠ দিয়ে মসজিদ নির্মাণের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। এ লক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে  কাঠের নানা নকশা দেখে নিজেই সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্বজনদের আর্থিক সহায়তায় ১৯১৩ সালে নির্মাণক

ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক

পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলা অবস্থিত ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক (Bhandaria Shishu Park) একটি পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র। সব বয়সী দর্শনার্থীদের বিনোদনের উদ্দেশ্যে নির্মিত ভান্ডারিয়া শিশু পার্কে আছে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় রাইড এবং বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি। এটি ভান্ডারিয়া থানার সামনে অবস্থিত একটি শিশু পার্ক। এখানে বিভিন্ন ধরনের রাইড যেমন চরকি, বোট, দোলনা ইত্যাদি রয়েছে। এবং বিভিন্ন প্রাণী যেমন জিরাফ, উট, হাতি, সিংহ, হরিণ ইত্যাদির প্রতিকৃতি রয়েছে ।প্রায় ৩.৩৮ একর আয়তনের ভান্ডারিয়া শিশু পার্কে রয়েছে নানা প্রজাতির অসংখ্য গাছপালা ও ফুলের বাগান। সবুজে ঢাকা এই পার্কটি অতি অল্প সময়ে পিরোজপুর জেলার একটি অত্যাধুনিক শিশু পার্ক হিসাবে সর্বত্র পরিচিতি পেয়েছে। কিভাবে যাবেন ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ১৫ থেকে ২০ টাকা রিক্সা ভাড়ায় মাত্র ১.৫ কিলোমিটার দূরে ভান্ডারিয়া থানার সামনে অবস্থিত শিশু পার্কে যেতে পারবেন। লিখেছেন : জি,এম-আদল

হরিণপালা রিভার ভিউ ইকোপার্ক

পিরোজপুরে কঁচা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠছে দক্ষিণের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হরিণপালা রিভার ভিউ ইকো পার্ক। মনোরম এই পার্কে বিভিন্ন ধরনের রাইড ছাড়াও আছে চমৎকার পানির ফোয়ারা। রয়েছে কৃত্রিমভাবে তৈরি পশুপাখিও। ছুটির দিনগুলোতে এই ইকো পার্কে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। পিরোজপুর (Pirojpur) জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নে কঁচা নদীর তীরে ২০১৪ সালে ৬ একর জায়গার উপর হরিণপালা রিভার ভিউ ইকোপার্ক (Horinpala River View Eco Park) গড়ে তোলা হয়েছে। নদীর ঢেউ, কাশবন, পাখির কলকাকলীতে মুখর চমৎকার এই পার্কে রয়েছে নান্দ্যনিক ফোয়ারা, ওয়াচ টাওয়ার, পশুপাখির ভাস্কর্য, ঘোড়ার গাড়ি, টয় ট্রেন এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইড। আরও আছে সুবিশাল পুকুরে নৌকায় চড়ে বেড়ানোর সুযোগ। হরিণপালা রিভার ভিউ ইকোপার্কের পাশে ৭৪ একর জায়গা জুড়ে হরিণ ও পাখির অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়েছে, যা ইকোপার্কের সৌন্দর্য আরো বহুগুণ বাড়িয়ে তোলেছে। পার্কের রেস্টুরেন্টে আছে বাংলা চাইনিজ সহ বাহারি খাবারের আয়োজন। আর দর্শনার্থীরা চাইলে পার্কটিতে রাত্রিযাপন করতে পারেন। কিভাবে যাবেন ঢাকা থেকে সড়ক ও নৌপথে পিরোজপুর জেলায় যাওয়া যায়। গাবতলী

বলেশ্বর ব্রীজ

পিরোজপুরবাসীদের অবকাশ যাপনের অন্যতম স্হান বলেশ্বর ব্রীজ। ব্রীজের এক প্রান্তে পিরোজপুর ও অন্য প্রান্ত বাগেরহাট জেলা ছোয়া।বলেশ্বর নদীর উপর এই ব্রীজ অবস্হিত। এই ব্রীজটি  পিরোজপুর শহরের একটি দৃষ্টি স্হান। স্হানীয় জনসাধারণ বিকেলে অবসর সময় কাটাতে  যায়। কারণ সেখানে নগরের মানুষ কোলাহলহীন মুক্ত বাতাসে প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে পারে। লিখেছেন: জি,এম-আদল

পিরোজপুর ডিসি পার্ক

পিরোজপুরের বিনোদনের একমাত্র প্রাণকেন্দ্র ডিসি পার্ক। সামাজিক বন বিভাগের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে পার্কটি। পার্কটি পিরোজপুর রিভারভিউ ইকোপার্ক নামেও পরিচিত। বিনোদনে ভরপুর পার্কটিতে ঘুরতে গেলে সকলেরই অন্যরকম ভালো লাগা অনুভূত হবে। অবস্থানঃ পিরোজপুর জেলা সদর থেকে ২.৫ কিলোমিটার দূরে নামাজপুর গ্রামে অবস্থিত পার্কটি। নামকরণঃ সাবেক জেলা প্রশাসক মো. মনছুর রাজা চৌধুরী ২০০৭ সালে পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেন। তিনি ওই জায়গায় বালি ভরাট করেন। তবে অর্থাভাবে সে সময় আর কাজ না হলেও তখন থেকেই জায়গাটি ডিসি পার্ক বলে পরিচিতি পায়। বৈশিষ্ট্যঃ পার্কের পশ্চিমে গা ঘেঁষে বয়ে চলেছে বলেশ্বর নদী। বলেশ্বরের পানিতে রোদের ঝিকিমিকি আলোয় আরো এক ধাপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে পার্কটির। ঘন সবুজে বেষ্টিত চারপাশ আর মাঝখানে বাহারি ফুলের সমারোহ আপনাকে নিয়ে যাবে এক অজানা আনন্দলোকে। উপকরণঃ পার্কে রয়েছে কৃত্রিম ঝরনা আর পাহাড়ের নিদর্শন। চারদিকটা ঘুরে আপনি উঠতে পারেন সেখানে নির্মিত ৫তলা বিশিষ্ট টাওয়ারে। এখান থেকে নীল আকাশে পাখিদের ডানা মেলে উড়ে যাওয়ার সাথে বলেশ্বরে পালতোলা নৌকা আর জেলেদের মাছ ধরাও দেখতে পাবেন। রয়েছে নদীর কোল

পিরোজপুর এর ঐতিহাসিক মোক্তার বাড়ী ও একটি ঐতিহাসিক টেবিলের আত্মকাহিনী:সাদউল্লাহ লিটন

১৯৪৬ সালে ঐতিহাসিক নির্বাচনে গনতন্রের মানষ পুত্র জনাব হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মনোনীত প্রার্থী হিসাবে আমার দাদা বিশিষ্ট আইনজীবি,পিরোজপুর  আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম আঃছোবাহান পিরোজপুর সদরে এম পি প্রার্থী,দক্ষিণ অঞ্চলে তখন আলাদা একটা গুরুত্ব থাকায় কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের জি এস, ছাত্র ফেডারেশন এর নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বহর নিয়ে পিরোজপুর আসেন,নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে ২১দিন আমাদের বাড়িতে অবস্হান করেন,দক্ষিণ জনপদে সকল এলাকায় সফর করে নির্বাচনী  জনসভা করেন,গনতন্ত্রের মানষ পুত্র হোসেন শহীদ  সোহরাওয়ার্দী সাহেব ও গুরুত্বপূর্ণ জনসভা গুলিতে অংশগ্রহণ করেন,তখনকার সময় উল্লেখযোগ্য দুটি ঘটনা ঘটে পাড়েরহাট ও ভান্ডারিয়া জনসভা সফল করতে গিয়ে যেমন পাড়েরহাটে বড় ধরনের গন্ডগোল হয় সেখানে বঙ্গবন্ধু সামনে থেকে গন্ডগোল সামাল দিতে গিয়ে  কম বেশী আহত হন পরবর্তীতে জনসভা শেষে তারা পাড়েরহাটে নুরু খানের বাড়িতে  কর্মী দের নিয়ে ঘরোয়া বৈঠক করেন।ভান্ডারিয়া তখন প্রার্থী ছিলেন মরহুম আফতাব উদ্দিন আহমেদ (পিরোজপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান,৯নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার, বীর ম

পর্যটকে মুখরিত হতে যাচ্ছে পিরোজপুরের কঁচা নদীর মোহনা।

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর কঁচা নদীর মোহনায় গড়ে উঠেছে পর্যটন স্থান। উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের কঁচা নদীর মোহনায় ৫ একর জমিতে এর কাজ বাস্তবায়নের পথে। এতে পাড়েরহাট বন্দর, জমিদার বাড়ি, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, শুঁটকি পল্লি, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়া এখান থেকে সামুদ্রিক মাছ ও শুঁটকি কেনাসহ তাজা ইলিশের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এ নদীপথে যাতায়াত করে ব্রিটিশ আমলের প্যাডেল স্টিমার। এমনকি আন্তর্জাতিক নৌ-রুটের জাহাজও চলাচল করে এ নদীতে। এমন স্থানকে পর্যটকদের জন্য আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ইন্দুরকানী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, ‘এ এলাকাকে আরও পর্যটনমুখী করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ রোপণের কাজ শুরু হয়েছে। স্থাপনাগুলো সুপারি গাছ ও বিভিন্ন ধরনের কাঠের তৈরি। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া গেলে সম্ভাবনাময় এলাকাটিকে পর্যটনমুখী করে তোলা সম্ভব।’

অপরূপ স্বরূপকাঠি

আচ্ছা নদীতে হেঁটেছেন কখনো? না মানে শুধু নদীর তীরে পানিতে পা ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নয়, নয় শুকনো কোনো নদীতে পায়ে হাঁটাও। একদম ভরা আর গভীর নদীতে হেঁটেছেন কখনো? হেঁটে হেঁটে কখনো কি পার হয়েছেন কোনো নদী? এপার থেকে ওপার? চলুন আজকে তেমন একটা অদ্ভুত নদী আর স্বরূপে সেজে থাকা একটা তথাকথিত ট্যুরিস্ট স্পটের বাইরের গল্প করি। আমরা যারা বেড়াতে ভালোবাসি তাদের অধিকাংশই বেড়ানো বলতে শুধু পাহাড়বেষ্টিত বান্দরবান, লেক-পাহাড়ের রাঙামাটি, বর্তমান সময়ের ক্রেজ সাজেক সঙ্গে খাগড়াছড়ি, চিরাচরিত উচ্ছ্বাসের কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন আর সবুজ সমুদ্রের সিলেটকেই বুঝি। এর বাইরেও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে দেশের একদম অপরিচিত কোনো অঞ্চল আছে যেখানে প্রকৃতি তার পরিপূর্ণতা নিয়ে বসে আছে আপনাদের অপেক্ষায় যেটা অনেকেই জানেন না। বা জানার সুযোগ হয়নি। তবে আজকে না হয় তেমন একটা অঞ্চলের সঙ্গে পরিচিত হই, কী বলেন? আমরা সবাই বরিশাল বলতে শুধু ধান-নদী আর খালকেই বুঝি। কিন্তু না, পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে আসুন জেনে নিই, ধান-নদী আর খালের বাইরে আর কী কী আছে বরিশালে, যা পর্যটকদের জন্য উপভোগ্য হতে পারে? আপনারা অনেকেই হয়তো ভারতের কেরালায় গিয়ে থাকবেন বা ই

সাড়ে তিন শ’ বছরের জমিদার বাড়ি।

লিখেছেন :ব্যসাচী দাশ সাড়ে তিন শ’ বছরের জমিদার বাড়ি।  লিখেছে: সব্যসাচি দাস ফুরিয়ে আসছে শরতের আয়ু। হেমন্ত দুয়ারে দাঁড়িয়ে..বাংলার বিলাসী শীত তখনও একটু দূরে। লোকারণ্যের শহর থেকেই এসব অনুভব করছিলাম। ভাবতেই হৃদয়ের ভেতর প্রশান্তির পরশ ছুঁয়ে যায়! এমন সময় শৈশবের স্মৃতিগুলো রূপকথার গল্পের মতো হৃদয়ে গ্রন্থপুঞ্জের পৃষ্ঠা ওল্টাতে থাকে। পেছনে অবশ্য বিশেষ কারণ আছে, একে তো প্রকৃতিপাগল হৃদয় তার ওপর নতুন বউ নিয়ে পূজার ছুটিতে প্রিয়জনের সান্নিধ্য, শক্ত কারণ বটে! ঢাকায় অফিস ও অন্যান্য কাজের কারণে পূজার মাঝামাঝি সময়ে সস্ত্রীক বাড়ি রওনা হলাম। প্রতিবার ঢাকা থেকে বাড়িতে যাবার সময় এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করে। এবারের পূজায় এই অনুভূতি আরও একধাপ ওপরে ছিল, সঙ্গে সদ্য বিবাহিত স্ত্রী! সারা পথ পূজায় কোথায় কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায় তার হিসাব, সঙ্গে কোন্ কোন্ রঙের শাড়ি তার রূপের সাক্ষী হবে এসবের বিবিধ বর্ণনা। বাড়িতে যাবার অনুভূতি আর স্ত্রীর হৃদয় ব্যাকুল করা স্বপ্নের কথা আমাকে আরও বেশি মোহিত করে। প্রতিবার যাবার সময় বাসস্ট্যান্ড থেকে খবরের কাগজ কিনি, না লাগলেও কিনি। বলা যেতে পারে এটা আমার অভ্যাস।