Skip to main content

সাড়ে তিন শ’ বছরের জমিদার বাড়ি।










লিখেছেন :ব্যসাচী দাশ
সাড়ে তিন শ’ বছরের জমিদার বাড়ি। 



লিখেছে:





সব্যসাচি দাস

ফুরিয়ে আসছে শরতের আয়ু। হেমন্ত দুয়ারে দাঁড়িয়ে..বাংলার বিলাসী শীত তখনও একটু দূরে। লোকারণ্যের শহর থেকেই এসব অনুভব করছিলাম। ভাবতেই হৃদয়ের ভেতর প্রশান্তির পরশ ছুঁয়ে যায়! এমন সময় শৈশবের স্মৃতিগুলো রূপকথার গল্পের মতো হৃদয়ে গ্রন্থপুঞ্জের পৃষ্ঠা ওল্টাতে থাকে। পেছনে অবশ্য বিশেষ কারণ আছে, একে তো প্রকৃতিপাগল হৃদয় তার ওপর নতুন বউ নিয়ে পূজার ছুটিতে প্রিয়জনের সান্নিধ্য, শক্ত কারণ বটে! ঢাকায় অফিস ও অন্যান্য কাজের কারণে পূজার মাঝামাঝি সময়ে সস্ত্রীক বাড়ি রওনা হলাম। প্রতিবার ঢাকা থেকে বাড়িতে যাবার সময় এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করে। এবারের পূজায় এই অনুভূতি আরও একধাপ ওপরে ছিল, সঙ্গে সদ্য বিবাহিত স্ত্রী! সারা পথ পূজায় কোথায় কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায় তার হিসাব, সঙ্গে কোন্ কোন্ রঙের শাড়ি তার রূপের সাক্ষী হবে এসবের বিবিধ বর্ণনা। বাড়িতে যাবার অনুভূতি আর স্ত্রীর হৃদয় ব্যাকুল করা স্বপ্নের কথা আমাকে আরও বেশি মোহিত করে। প্রতিবার যাবার সময় বাসস্ট্যান্ড থেকে খবরের কাগজ কিনি, না লাগলেও কিনি। বলা যেতে পারে এটা আমার অভ্যাস। আমরা যখন লঞ্চে করে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছি তখন আকাশের হতচ্ছাড়া রূপ আমাকে ক্ষাণিক উদাসী করে তোলে। কাউকে কোন কিছু না বলে শরতের শেষ বিকেলের মায়াবী ইন্দ্রজালে আমি হারিয়ে যাই... হঠাৎ নুপূরের উচ্চৈঃস্বর, এই দেখ পূজার ছুটিতে বেড়াতে যাবার খবর। ইন্দ্রজাল থেকে বেরিয়ে বললাম ঠিকই তো আছে আমরাও তো পূজার ছুটিতে বেড়াতে যাচ্ছি- তাই না? নুপূর বলল, বাড়ি না কোন বিশেষ জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলছি। তাহলে তুমি বল, বিশেষ কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়? বিশেষ আর কোথায়? সবই তো চিরচেনা। এই বলে হাতের পত্রিকা খুলে আবার খবরের শিরোনামে নুপূরের দৃষ্টি; এর মধ্যে আমাদের লঞ্চ মূল নদী পাড় হয়ে তীরের কাছে ছোট ছোট দ্বীপের মতো জেগে ওঠা চরের পাশ থেকে ধীর গতিতে ঘাটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পড়ন্ত বিকেলে শান্ত নদী, আশি^নের মৃদু হাওয়া সঙ্গে কাশফুলের মাতলামি দেখে আমি আবারও লাপাতা। এর মধ্যে নুপূর আমার হাত ধরে বলল ওঠ লঞ্চ ঘাটে চলে এসেছে। আমি তাকিয়ে দেখলাম আমাদের লঞ্চ ঘাট থেকে এখনও মিনিট দুয়েক দূরে। বুঝতে পারলাম পূজার ছুটিতে বাড়ি যাবার উত্তেজনা আমার স্ত্রীর ওপর ভীষণভাবে ভর করেছে। লঞ্চ ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টার্মিনালে নেমে পড়লাম। ব্যাগের হাতল ভাগাভাগি করে বাসের দিকে এগোচ্ছি.. হঠাৎ নুপূর বলে উঠল পেয়েছি! কি পেয়েছ? বেড়াতে যাবার বিশেষ জায়গা। আমাদের বাড়ির খুব কাছে। তুমি অনেকবার গেলেও আমি আজ পর্যন্ত যাইনি। আমার আর বুঝতে বাকি রইল না। স্ত্রী কোথায় বেড়াতে যাবার কথা বলছে, কলেজ জীবন থেকে শুরু করে আজ অবধি সুযোগ পেলে যেখানে বন্ধু-বান্ধবসহ বেড়াতে যাই। রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি। প্রায় সাড়ে তিন শ’ বছরের পুরনো জমিদার বাড়ি সঙ্গে একাধিক মন্দির, বিশাল উঁচু উঁচু মঠ। ভারি সুন্দর আর দৃষ্টিনন্দন জমিদার বাড়ির চারপাশ। মুহূর্তেই বলে ফেললাম চমৎকার! কাল-ই যাব। বাস ছুটতে শুরু করল..সন্ধ্যা নাগাদ আমরা পিরোজপুর শহরে নামলাম। আমাদের বাড়ি শহরতলীতে। রাতে নতুন পোশাক পরে পূজা দেখতে বের হলাম। আসলে নতুন পোশাক আর ম-পে ম-পে পূজা দেখার থেকে শারদীয় উৎসবের যে আমেজ ওটাই আমাকে ছোট বেলা থেকে ভীষণভাবে মোহিত করে। পূজা দেখার এক ফাঁকে স্ত্রী বলে উঠল মনে আছে তো কাল আমরা জমিদার বাড়ি যাব। আবারও আমি উত্তেজনার সঙ্গে উত্তর দিলাম অবশ্যই!
আমাদের বাড়ি থেকে রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ির দূরত্ব ছয় থেকে সাত কিলোমিটার হবে। বাড়িতে গেলে রিক্সা বা অটোরিক্সায় চড়ার থেকে মোটরসাইকেলে চড়তে বেশ ভাললাগে। যানজটের শহরে থেকে থেকে হাত পায়ে জং ধরে গেছে। খোলা রাস্তায় মোটরসাইকেলের দুর্বার গতি হৃদয়টা হালকা করে দেয়। সুতরাং জমিদার বাড়ি যাবার যান মোটরসাইকেল। আমার ছোট ভাই সৌরভের লাল রঙের সুন্দর একটা মোটরসাইকেল আছে। দুপুরে খেয়ে আমরা তিনজন রওনা হলাম রাজা রুদ্র রায়ের বাড়ি..
মোটরসাইকেলের গতি ঘণ্টায় পঞ্চাশ কিলোমিটার আমার তাতেই মনে হচ্ছিল আমরা বুঝি কোন হাওয়াই জাহাজে চড়ে বসেছি। শরতের বিকেল। দুই ধারে ঘন সবুজ বন। বিস্তীর্ণ মাঠে মধ্য বয়সের ধান গাছ মৃদু হাওয়ায় শরীর ছেড়ে দিয়েছে.. কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে আমি শরত স্বপ্নে হারিয়ে গেলাম। এর মধ্যে সৌরভ বলল, দাদা এই পাশটা দেখেন। সৌরভ জানে প্রকৃতির রূপলীলায় হারিয়ে যাবার আমার বহুদিনের অভ্যাস। ছোট একটা সরু খালের ওপাশে সারি সারি নারিকেল গাছের দল। সবার বয়স প্রায় সমান। শরতের পড়ন্ত বিকেলে সূর্যের হেলানো রশ্মি পুরো পরিবেশটা ঐন্দ্রজালিক করে তুলেছিল। বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে এর মধ্যে লীন হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় দেখছি না। স্ত্রী, সূর্যের এমন নিভে যাওয়া প্রদীপের মতো হঠাৎ জ¦লে ওঠার রূপ দেখে বিমোহিত! একটু এগিয়ে হাতের বামে মোড় ঘুরে বড় রাস্তার পাশ থেকে নেমে গেছে রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ির মন্দির এবং মঠের এলাকা। সৌরভকে বললাম আগে মন্দিরে ঢোক। গাড়ির গতি কমিয়ে আমরা মন্দিরের রাস্তায় ঢুকে পড়লাম.. শুরুতেই শতবর্ষের প্রকান্ড বটবৃক্ষের দেখা। গাছটার দিকে খুব খেয়াল করলে এক ধরনের সৌজন্যতা উপলব্ধি করা যায়। সে যেন আমাদের মত দর্শনার্থীর অপেক্ষায়.. জিজ্ঞেস করতেই শত বছরের শত কথা বলতে শুরু করবে। যাগ্যে! গাছকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করে বউয়ের কাছে নতুন খেতাবের দরকার নেই। সৌরভ গাড়ি রাখল। আমরা মূল মন্দিরের এলাকায় প্রবেশ করলাম। ডান পাশে সারি সারি বিশাল আকৃতির কারুকার্য খচিত মঠ। বাম পাশে কেবল অবকাঠামোর অংশ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে প্রচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। আরও একটু এগিয়ে মূল কালীমন্দির। মন্দিরের ওপরে লেখা ‘সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির’ মুঘল আমলে স¤্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনকালে প্রতিষ্ঠিত। মন্দির প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে খুব ভাল করে আকাশ বাতাস এবং শত শত বছরের পুরনো স্থাপত্য দেখে নিজের ভেতর এক বিস্ময় বোধ অনুভূত হলো। জীবন সত্যিই সুন্দর! সঙ্গে মনে পড়ে গেল বইতে পড়া এখানকার পূর্বের ইতিহাস- ঐতিহ্যের কথা। এক সময় ভারত বিভাগের পূর্ব পর্যন্ত এখানে মহাধুমধামের সঙ্গে প্রত্যেক বাড়িতে দুর্গাপূজা হতো। রায়েরকাঠির রাজা রাজকুমার রায় দোলযাত্রা উপলক্ষে রায়েরকাঠিতে একটি বিশাল মেলার আয়োজন করতেন এবং এখানে বর্তমান ফুটবল খেলার মাঠে প্রতিবছর সেই মেলা হতো। আমার স্ত্রী বাড়ির কাছে এত সুন্দর রূপনগরী দেখে এক রকম আত্মহারা। দেখ কি চমৎকার আর বিস্ময়ে ঘেরা এলাকাটা, পিরোজপুরের পর্যটন এলাকা হিসেবে এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ দরকার।
প্রতিটা মঠের একেবারে চূড়ার দিকে। ছোট ছোট অসংখ্য ছিদ্র। প্রথমে বুঝতে না পারলেও কিছু সময়ের মধ্যে আমার স্ত্রী বুঝতে পেরেছে। কিসের ছিদ্র! বেলা গড়িয়ে সূর্য যখন পাটে, তখন এক ঝাঁক শালিক কিচির-মিচির শব্দ করতে করতে প্রথমে মঠের গায়ে আশ্রিত গাছের ডালে তারপর যে যার বাসায় ঢুকতে শুরু করল। একটু বলে রাখি এখুনি সন্ধ্যা নামেনি। মঠে বসবাসরত পাখিরা সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার আগে বেলা থাকতে থাকতে একবার এসে ঘুরে যায়। এরমধ্যে আমাদের সামনের মঠটিতে এক ঝাঁক গাঢ় সবুজ টিয়াপাখি এসে পড়ল! সঙ্গে তাদের নিজস্ব শব্দের বাক্যবিনিময়। আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে পাখিদের কোলাহল দেখছি। আমার স্ত্রীর চোখে-মুখে প্রশান্তির ছায়া। সৌরভ বলল দাদা এদিকে আসেন বৌদিকে নিয়ে। মন্দির এলাকার সব থেকে উঁচ মঠের ভেতরে স্থাপিত ২৫ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির সেতপাথরের শিবলিঙ্গ। হিন্দুদের প্রভাবশালী দেবতাদের মধ্যে শিব অন্যতম। যে কারণে প্রতিবছর শিব চতুর্দশীতে দুধ দিয়ে শিবের পূজা-অর্চনা করা হয়। মঠের ভেতর শিবলিঙ্গটি সত্যি বিশাল আকৃতির। কথিত আছে উপমহাদেশের বিশাল আকৃতির শিবলিঙ্গের মধ্যে রায়েরকাঠি মঠের শিবলিঙ্গ অন্যতম। সন্ধ্যা নামতে কিছু বাকি। আমার স্ত্রী বলল চল জমিদার মশায়ের বাড়িটা দেখে যাই । এখানে একটু বলে রাখি। মন্দির এবং মঠ থেকে রাজা রুদ্র রায়ের বাড়ি পায়ে হাঁটলে পাঁচ মিনিট! সৌরভও বলল চলেন রাজাসাহেবের বাড়িতে। মোটরসাইকেলে খুব তাড়াতাড়ি রাজার বাড়িতে পৌঁছে যাই। বাইরে থেকে পুরনো দালানের ধ্বংসাবশেষ দেখা গেলেও ভেতরে জনমানুষের বসতি রয়েছে। রয়েছে রাজার বংশধররা। প্রবীণ এক ভদ্র লোকের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাত হয়। তিনি আমাদের জানান, প্রায় সাড়ে তিন শ’ বছর আগে এখানে জমিদার বংশ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বার ভূঁইয়াদের অন্যতম মহারাজ কিংকর রায়ের বংশধর রুদ্রনারায়ণ স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে সুন্দবনের এই এলাকায় এসে বসতি স্থাপন করেন। এই রায় বংশ জঙ্গল কেটে আবাদ শুরু করে। ফলে তাদের নামানুসারে এর নাম রাখা হয় রায়েরকাঠি। এই জমিদার বাড়িতে নির্মিত হয় রাজভবন, অতিথিশালা, নাট্যশালা এবং অসংখ্য মন্দির এমন সব অশ্চর্যজনক স্মৃতি মন্থনের ভেতর সন্ধ্যা নেমে আসে ভাঙ্গা বাড়ি অন্ধকার হতে থাকে, নুপূর বলে চল সন্ধ্যা ঘোর হওয়ার আগে বাড়ি ফিরে যাই।

সুত্র-দৈনিক জনকণ্ঠ

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে