Skip to main content

নাজিরপুরের শেখ হাসিনা সেতু পর্যটনের আপার সম্ভাবনা

 

লিখেছেন : ডা:সুদেব সরকার 

ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা , নাজিরপুর 

একসময় ভীষণ কোলাহল আর হাঁকডাকে মুখর ছিল তালতলা,দীর্ঘা সেতুর এপার ওপার! অথচ ছয় বছর ধরে নদীর বুক চিরে তিল তিল করে গড়ে ওঠা স্প্যানগুলোর উপর বসে আছে দানবাকার কিছু খন্ড রাস্তা!এপার-ওপারের মিলন ঠিক মধুর হলো কিনা নদীর কাছে জিজ্ঞেস করার ছিল৷ কখনো শোনা হয়নি৷ আজ দু পাড়ের বাজারে শূণ্যতা!এখন আর কেউ খেয়া পারাপারের জন্য অপেক্ষা করেনা৷ অনেক বেকার হাতে তুলে নিয়েছে গাড়ির স্টিয়ারিং৷ জীবন কখনো থেমে থাকে না৷আওয়ামীলীগ সরকারের টানা ৩য়  মেয়াদে নির্বাচনী ওয়াদা ছিল গ্রাম হবে শহর৷ সুতরাং উদ্যোগ নেয়া গেলে তালতলা শেখ হাসিনা সেতু  হতে পারে বেকারত্ব সমাধানের পথ৷ অভিশাপ হতে  পারে আশির্বাদ! অমিত সম্ভাবনার এই সেতু পর্যটন বিকাশের মাধ্যম হতে ঠিক কত দেরী জানতে ইচ্ছে করে! কাকে শুধাই এখানে প্যাডেল বোট আসবে কবে? হয়তো ব্রীজের নিয়ন আলোয় সন্ধ্যায় ভাসমান রেস্তোরায় বসে কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে এই মন অজান্তেই গেয়ে উঠতো ওওওরে নীল দরিয়া....আমায় দে রে দে ছাড়িয়া! সিলেটের ক্বীণ ব্রীজের মতো ঘন্টা বাজানো বিরাট ডায়ালের একটা ঘড়ি ব্রীজের প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে থাকতো আর জানান দিতো অনেক রাত হয়ে এলো এবার বাড়ি যাও আড্ডাবাজের দল! হতে পারতো দীর্ঘা টু কাশ্নীর ভ্রমনের জন্য সারি সারি ইঞ্জিন চালিত নৌকা দাঁড়িয়ে আছে সেতুর দুই পাড়ে! পর্যটন এখানেই৷ ভীষণ স্বপ্নবাজ মানুষদের জন্য বিলাসবহুল প্রমোদ তরীতে সুন্দরবন কিংবা কটকার রূপ দেখতে যাওয়ার ব্যবস্হা থাকতো! মানুষ আসতো প্রাইভেট কারে করে নাজিরপুরের নিভৃত এই পল্লীতে! আবার মেলা জমে উঠতো কালী দোসরার! ভীমরুলির পেয়ারার হাঁটে যেতে যেতে ডিজে পার্টি হতো!আহা সেসব আজ হয়তো গল্প কিংবা কল্পনা, সত্যি হতে কতক্ষন!


Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে