Skip to main content

পিরোজপুর এর তরুন উদ্যোক্তা মাসউদের "জামান ইলেকট্রনিক্স”




লিখেছেন:জি,এম-আদল

ব্যবসা করতে চাই উদ্যোম আর সাহস।এমনি এক উদ্যোমি তরুনের নাম আব্দুল্লাহ আল মাসউদ।বন্ধু মহলে যিনি হাজরা মাসউদ বিন জামান নামেই পরিচিত। মাসুদ এখন বি.এস.এস  তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
মাসউদ এর জন্ম তার
নানা বাড়ী পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার রাধানগর গ্রামে।বাবা মারা গেছে  ২০০০ সালে তাই নানাবাড়ীতেই বড় হওয়া।
মাফছার উল উলুম আলিম মাদরাসা থেকে ২০১২ সালে দাখিল এবং আমানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ২০১৪ সালে এইচ এস সি শেষ করে।
২০১৫ সালে দেশসেরা ইলেকট্রনিক্স কোম্পানী ওয়ালটনে কাজ করার সুযোগ পায় মাসউদ।
২০১৭ সালে নিজে ছোট একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করে।সেখান থেকে শুরু করে এখন তিনি একটি ওয়ালটন শোরুমের মালিক।শোরুমটি মূলত নাজিরপুর উপজেলার বাবুরহাট বাজারে"জামান ইলেকট্রনিক্স”নামে পরিচিত ।
ছোট বেলা থেকেই ব্যবসায় ঝোক ছিল এই তরুন উদ্যোক্তার।ব্যবসার প্রতি ঝোক কিভাবে জানতে চাইলে মাসউদ জানান,"ছোট বেলা খেলতে গিয়েও আমি দোকানদারের ভুমিকা পালন করতাম।আর আমাদের দেশের কোম্পানীগুলোর খবর  তো জানেন,পরিশ্রম করাবে ১২ ঘন্টা আর বেতন দিবে ৬ ঘন্টার।তাই চিন্তা করলাম এই পরিশ্রম আমার নিজের প্রতিস্ঠানে দিলে আরো বেশি ভালো করা সম্ভব এবং বলা যায় আমি মোটামুটি সফল।”
ব্যবসার শুরুর গল্পটা জানতে চাইলে মাসুদ বলেন,"আমি প্রথম ২০১৪ তে ব্যবসার জন্য মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিলাম
কিন্ত টাকা উড়িয়ে দিতে পারি বলে রিস্ক নেয়নি।
কারন ওই টাকাটা ছিল আমাদের শেষ সম্বল।
তারপর রাগ করে মাকে বলেছিলাম নিজে টাকা কামাই করে ব্যবসা করবো।তবে শেষবারে অনেক বাধা সত্ত্বেও মা টাকা ম্যানেজ করে দেয় এবং চাকুরী ছেড়ে ব্যবসাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমার জন্য।"
মাসউদ মনে করেন,সততা এবং পরিশ্রম থাকলে
এবং লক্ষ্য ঠিক থাকলে অবশ্যই জীবনে ভালো কিছু করা সম্ভব,সেটা যে কোন কাজ হোক।
কাজকে উপভোগ করতে হবে,  কাজকে কাজ মনে করলে কখনো আগানো যাবে না।

কাজের মধ্যে অনন্দ খুজে পেলে সফলতা দ্রুত ধরা দেবে।
তার মতে, ব্যবসা স্বাধীন পেশা।সুতরাং মানুষ হিসেবে ব্যবসাটা সব থেকে ভালো কাজ।পিরোজপুর জেলার বাবুরহাট বাজারের এই তরুণ উদ্যোক্তা স্বপ্ন দেখেন,একদিন তিনি  একটা গ্রুপ অফ কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করবেন,দেশের এবং জেলার বেকাদেরকে চাকরির ব্যবস্থা করবেন।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে