Skip to main content

Posts

Showing posts with the label মঠবাড়িয়া

মঠবাড়িয়া উপজেলার কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.  মঠবাড়িয়া ডাক বাংলার পাশে গাজীর হোটেলের মোগলাই, সিংগাড়া শরিসা দিয়ে খেতে অসাধারণ।  ২. মঠবাড়িয়া বি.এন.পি অফিসের পিছনে নবী ভাইয়ের দুধ চা এবং  আওয়ামী লীগের অফিসের পাশে  নজরুলের চায়ের দোকান  মঠবাড়িয়ায় জনপ্রিয়তা রয়েছে। ৩. কে এম সুপার মার্কেট আফজাল হোটেলের সন্ধ্যায় তন্দুর রুটি আর গরুর মাংস ভুনা।  ৪.সোনাখালী বাজারের ঝাল মুড়ী  ৫. মিরুখালী বাজারের ব্রীজের পাশে রসগোল্লা এতো বড় সাইজ রসগোল্লা মঠবাড়িয়ায় দেখা যায় না। ৬। গুলিশাখালী বাজারের গরম গরম রসগোল্লা মুখে অমৃত মনে হবে। ৭.মাঝেরপোলে একটা দোকান আছে সকালে খিচুড়ি ও বিকেলে হালিম এর সাথে চপ আার বিরিয়ানি পাওয়া যায় এগুলো খুবি ভালো ও এলাকার বাসিন্দাদের খুব প্রিয় খাবার। ওই দোকান হালিমের দোকান নামে পরিচিত।সকালে খিচুড়ি পাওয়া যায় আর বিকেলে হালিম ও বিরিয়ানি পাওয়া যায়।  খিচুড়ি ==১০/২০ টাকা হালিম ==১০/২০ টাকা চপ====৫ টাকা বিরিয়ানি =৪০/৫০টাকা ৮.তুষখালী বাজারের লাভু ভাই এর চায়ের দোকানের চা,তুষখালী বাজারের ইদ্রিস ভাইয়ের চায়ের দোকানের চা।তুষখালীর তোফেল আকন স্কুলের সামনের চটপটি।তুষখালীর জানখালি নতুন বাজারের খোকন ভাইয়ের চা,ইউনুস ভাইয়ের মোগলাই সুস্বাদু ও জনপ্রিয়।

স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন শহীদের কথা বলছি

(১৯৭১ সালে স্বাধীনতার উষালগ্নে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মঠবাড়িয়া উপজেলায় প্রথম শহীদ জিয়াউজ্জামান)  দিন আসে দিন যায়, কিন্তু সব দিনের আর তো ইতিহাস হয় না। ইতিহাস রচে যায় কিছু ক্ষনের,কিছু দিনের। তেমনি একটি দিন ১০ ই মে ১৯৭১ সাল সেই স্বাধিনতার প্রাক্কালে পিরোজপুরে মেধাবি ৭জন  #জিয়াউজজামান_গনপতি_মোস্তফা_মালেক_অমল_বিরেন_আনোয়ারুলকাদির_শ্যামবেপারী তরতাজা যুবককে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল স্বাধিনতা বিরোধী পাকিস্তানী বাহিনী।  ওরা আসবে বলে আজো ফিরে আসেনি। ওদের লাশ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজো  এই প্রতিক্ষায় সেই মহান মে মাস।  মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির পর্বে সবাই দিক বিদিক হোয়ে ছুটাছুটি।  বংগবন্ধুর ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ভাষন পশ্চিমারা মেনে নিতে পারেনি। শুরু হয় বাংলার আকাশে দূর্যোগের ঘণঘটা... কন্ট্রোল রুমের মুক্তিযোদ্ধা ফখরুদ্দিনের বিশ্বাসঘাতকার ফলে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত যে যেখানে আছো সবাই মুক্তি যুদ্ধের জন্য সুন্দরবনে সমেবেত হতে হবে। যাত্রা পথে ধরা পড়লেন দুই সহোদর ভাই  ফারুকউজ্জান এবং জিয়াউজ্জামান। ধরিয়ে দিলেন চিরচেনা স্বাধিনতা বিরোধী ওই সাকু রাজাকার ছেলে বজলু রাজাকার। মঠবাড়িয়ার থানায় আরো কয়েকজন তরুনের

দৃষ্টিনন্দন সম্পুর্ণ কাঠের তৈরি মমিন মসজিদ

কাঠের তৈরি সবচেয়ে প্রাচীন ও ছোট আকৃতির মসজিদের একক নিদর্শন 'মমিন মসজিদ'। মসজিদটি এখন দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই, বিশ্বেরই একমাত্র কাঠের তৈরি দৃষ্টিনন্দন মুসলিম স্থাপত্যকলার অনুপম নিদর্শন।আর এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন তৎকালীন বরিশাল অঞ্চলের পিরোজপুরের ধর্মপ্রাণ যুবক মৌলভী মমিন উদ্দিন আকন। মমিন মসজিদের পেছনের গল্প: বুড়িরচর গ্রামের সম্ভ্রান্ত আকন বাড়ির মৌলভী মমিন উদ্দিন আকন অনন্যসুন্দর এ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা। তবে মমিন মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে দুই রকম তথ্য পাওয়া যায়। ১৯০০ সালে তৎকালীন বরিশালের রায়বাহাদুরের স্টেট থেকে স্থানীয় কচা ও পোনা নদীর জলকারের দায়িত্ব পান মমিন উদ্দিন আকন। মমিন উদ্দিন আকনের নাতি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ 'মমিন মসজিদ : স্মৃতি বিস্মৃতির কথা' গ্রন্থে  বলেছেন, ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা মহসিন উদ্দিন দুদু মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়ার অনুসারী ছিলেন মমিন উদ্দিন আকন। নিজ বাড়িতে কাঠ দিয়ে মসজিদ নির্মাণের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। এ লক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে  কাঠের নানা নকশা দেখে নিজেই সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্বজনদের আর্থিক সহায়তায় ১৯১৩ সালে নির্মাণক

সূর্যমুখী ক্ষেত

স্থান:পাতাকাটা,মঠবাড়ীয়া,পিরোজপুর ছবি তুলেছেন:নিজস্ব ক্ষেত থেকে আহাদ আহসান

টিয়ারখালী মজিদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়

টিয়ারখালী মজিদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়টি মঠবাড়িয়া উপজেলার টিয়ারখালী গ্রামে অবস্হিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার কিছুকাল পরে টিয়ারখালীর জনগন এলাকায় একটি  বিদ্যালয়ের অভাব অনুভব করে।তারই ধারাবাহিকতায় ১ জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে টিয়ারখালী মজিদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়।জনাব আব্দুর রব হাওলাদার এবং জনাব আব্দুল হক হাওলাদার এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেড় একর জমি দান করেন এবং তাদের পিতার নাম অনুসারে এ বিদ্যালয়ের নামকরন করা হয় টিয়ারখালী মজিদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়।বিদ্যালয়টি ১জানুয়ারি  ১৯৮১ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়  হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।এই নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম  প্রধান শিক্ষক ছিলেন জনাব হারুন অর রসিদ।পরবর্তীতে  ১ জানুয়ারি ১৯৯০ সালে  পূর্নাঙ্গ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। জনাব এম এ ওহাব এই পূর্নাঙ্গ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত এই পদে কর্মরত আছেন।বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাসের হার  জে এস সি ৮৯.৮২%, এস এস সি ৮০.৬৯%। এটি একটি সংযুক্ত বিদ্যালয় : ছেলে মেয়ে উভয়কেই পাঠদান করা হয়। এ বিদ্যালয়ে শুধু  দিবা সিফটে পাঠদান করা হয়। এ বিদ্যালয়ে  তিনটি

কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশন

কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশন বরিশাল বোর্ডেরর অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় অবস্হিত। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১ জানুয়ারি ১৯২৮ সালে । এ বিদ্যালয়ের  কোড(EIIN)  ১০২৭২৪  এবং এমপিও (MPO)নাম্বার  ৫৪০৫১১১৩০১। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছন মঠবাড়িয়ার তৎকালীন খাস মহল অফিসার জনাব খান বাহাদুর আব্দুল লতিফ চৌধুরি।তার নামেই বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে তিনটি বিভাগ রয়েছে : বিজ্ঞান বিভাগ, বানিজ্য বিভাগ এবং মানবিক বিভাগ। এ বিদ্যালয়ে দিবা শাখায় পাঠদান করা হয়। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত  শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।এ প্রতিষ্ঠানের গড় পাসের হার : জে এস সি ৯৬.৩৮%, এস এস সি ৯৫.০১%।শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়ে এই বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। নিয়মশৃঙ্খলা ,পাঠদান,  জ্ঞান ও বিজ্ঞান চর্চা, খেলাধুলা ও সহ - শিক্ষা কার্যক্রমে অনন্য বিদ্যালয়টি।এই বিদ্যালয়টি বরিশাল শিক্ষা বোর্ড প্রথম স্হান অর্জন করেছে বেশ কয়েকবার। বাংলাদেশের অনেক বিখ্যাত গুনিজন এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধ

আত্ম কাহিনী ১ম পর্ব : এইচ এম আকরামুল ইসলাম

পেশার জীবন প্রায় শেষ আর মাত্র ২০ মাস ২০ দিন।পরে মুক্ত হব।এ সময়ের অর্জিত অভিজ্ঞতা কিছু লিখে রাখলে ভাল হয়।চাকুরী শুরু ১৯৮০ সালে ২২০ টাকায় কৃষি ডিপ্লোমা পড়ি। বলা হত প্রশিক্ষন ভাতা।১৯৮২ সালের ১৫ডিসেম্বর যোগদান করেছিলাম ঝালোকাঠি সদর থানায় ব্লক সুপারভাইজার হিসেবে ৩৭০ টাকার স্কেলে।নেতার চরিত্র থাকায় প্রাইমারী থেকেই শুরু হয় নেতামি।হাই স্কুলে ভর্তি হলাম ১৯৭২ সালে। প্রাইমারীতে বৃত্তি পেলাম সে কারণে প্রধান শিক্ষক স্যার রিলিফের একটি জামার কাপড় দিলেন। হল খাটো। কোন মতে জামা বানালাম।সেই থেকেই স্কুলে পরিচিত।১৯৭৪ সালে এইটে বৃত্তি দিতে গেলাম পিরোজপুর।সাথে কোন স্যার গেল না।স্কুলেও কেউ পড়াতে চাইল না,কোন রকম লতীফ স্যার কে ধরে ৩ মাস পড়েছিলাম।বৃত্তি পাব আশাছিল। হলে যারা দায়িত্ব পালন করেছে তারা আমাকে সাহস দিয়েছিল আমি বৃত্তি পাব কিন্তু পাই নি।অনেক পরে জানতে পারলাম আমার এক সহপাঠির কাছে। সেও আমার সাথে একত্র বৃত্তি দিয়েছিল। পরে সে বরিশালে পড়েছিল।সে জানালো আমি বৃত্তি পেয়েছিলাম।তা প্রভাব শালী একজনের ছেলের নামে কেটে নিয়েছে।এই হল আমাদের অবস্থা। লিখেছেন: এইচ এম আকরামুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক,তুষখালী আদর্শ বালিকা

আত্মকাহিনী ২য় পর্ব : এইচ এম আকরামুল ইসলাম

আজ শৈশবের স্মৃতিতে যাই মাকে হাড়িয়েছি ১৯৬১ সালের নভেম্বরে তখন আমার বয়স আর কত১০/১১ মাস।কিছুই তার স্মৃতি মনে নেই।আজও তার ছবি বুকে জড়িয়ে নীরবে কাঁদি।ছবিটি রেখছিল দাদী। আমাকে দিয়ে বলেছিল, নে তোর মায়ের ছবি।দেখিস নাইতো।সে দিন কিছু বুঝি নাই। মা কি? দাদীই সব।সকল চাওয়া পাওয়ার স্থান।তাকে হাড়ালাম ১৯৯০ সালে।যার আদর আর স্নেহমাখা ভালবাসা পেয়েছিলাম সেই দাদা হাড়াতে হয়েছে শৈশবেই তখন সবে মাত্র ১ম শ্রেনী থেকে ২য় শ্রেনীতে উঠছিলাম ১৯৬৮ সালের ২১ফেব্রুয়ারীর সকাল বেলা।স্কুল থেকে কেঁদে বাড়ি ফেরা। বাবার মার খেয়ে সেই যে স্কুলে যাওয়া আর কোন দিন স্কুল কামাই দেই নি লেখা পড়ার জীবনে।সে দিন বাবাকে দাদী কি যে বকেছিল আজও মনে পড়লে কান্না আসে।সে দিন বুঝতে পারি নি দাদীর ভালবাসার কথা।মায়ের মৃত্যুর  ৫ বছর পর বাবা আবার বিয়ে করেছিলেন।সে বিয়ে বর যাত্রী হয়ে নানা বাড়ি গিয়েছিলাম। বাবা কোথায় থাকত?  কি করত? কিছুই জানা ছিল না।সেই বাবাকে হাড়ালাম ২০০৬ সালে যে দিন শিক্ষক আন্দোলনে লঞ্চে ঢাকা যাচ্ছিলাম।যখন লঞ্চ মুন্সীগঞ্জ পৌছে মাত্র সকাল ৬ টায় মোবাইলে খবর পাই।দিশেহারা হয়ে কিছুক্ষন নীরবে কেঁদে সভাপতি ফজলুল হক স্যার জানিয়ে ঢাকা থেকে একা

প্রিয় নদী বলেশ্বর

স্থান:বলেশ্বর নদী,তুষখালী,মঠবাড়িয়া ছবি তুলেছেন:সিহাব পারভেজ

খেয়াঘাটের সূর্যাস্ত

স্থান:মঠবাড়িয়ার বড় মাছুয়া খেয়া ঘাট থেকে তোলা ছবি মাধ্যম:আহাম্মেদ রুবেল

মঠবাড়িয়ায় বয়সে কনিষ্ঠ জনপ্রতিনিধির বলিষ্ঠ উদ্যোগ

আর্ত মানবতার সেবার জন্য কিছু মানবিক মনের মানুষের বেশ প্রয়োজন।দেশ নয় বরং পৃথিবীর এই ক্রান্তী লগ্নে রাজনীতির চোখ থেকে না দেখে মনবতার চোখে বিষয়গুলোকে বিবেচনার সময় এসে গেছে।মঠবাড়িয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ জনপ্রতিনিধি  আরিফুর রহমান সিফাত বয়সের দিক দিয়ে পিরোজপুর জেলার কয়েকজন কনিষ্ঠ জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে  অন্যতম একজন। বয়সে কনিষ্ঠ হলেও মানবতার দিক দিয়ে তিনি এই মুহুর্তে বলিষ্ঠ উদ্যোগ নিয়েছেন।তিনি প্রমাণ করেছেন যে অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বয়সের সীমা কোন বাধা নয় একটি বিশাল হৃদয়ই যথেষ্ট। প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চলছে  লকডাউন এর মত কার্যক্রম। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশাচাল, ভ্যান চালক, হোটেল বয়, চায়ের দোকানি, হকারদের মতো মানুষরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন। যারা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে খাবার সংগ্রহ করেন। আর এ ধরনের খেটে খাওয়া মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন  তরুণ জননেতা জনাব আরিফুর রহমান সিফাত পায়ে হেটে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এমন পরিস্থিতিতে গরীব অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেন । ২৯ মার্চ রবিবার সকাল থেক

অনেক সৃতি ঐতিহাসিক ও বেদনার

এলব্যাম থেকে তারই একটি কে এম লতিফ ইনিস্টিউটের ম্যাগাজিন থেকে ১৯৬৭ইং। শহীদ গোলাম মোস্তাফা ২ সারির বামে প্রথমে বসা। আজ মনে পড়ে ১৯৬৯ইং জানুয়ারির শেষে  আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবুর রহমান কারার অন্তরালে (রাস্ট্র বনাম শেখ মুজিব) মামলা বাতিল সহ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১১দফা দাবি নিয়ে রাজপথে, আন্দোলন সংগ্রামে সারা পূর্ব পাকিস্তান উত্তাল। মঠবাড়ীয়ায়ও আন্দলোন সংগ্রামের কমতি নেই, ঢাকার সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিটি কর্মসূচিতে। কে এম লতিফ ইনিস্টিউটের ছাত্ররা আন্দলোন সংগ্রামের অগ্রভাগে, আমরা ছুটে চলেছি মঠবাড়ীয়ার প্রতিটি বিদ্যালয়ে গঠন করেছি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, বিদ্যালয় শাখা। আমরাও রাস্তায় ঢাকার সাথে তাল মিলিয়ে জেলের তালা ভাংবো শেখ মুজিবকে আনবো,তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, পিন্ডি না ঢাকা ঢাকা, তোমার আমার ঠিকানা পদ্দা মেঘনা যমুনা স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত মঠবাড়ীয়ার হাট বাজার। এমনি একটা দিনে ধর্ম ঘটের ডাক দিল কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এবং আমরাও ব্যাপক প্রস্তুতি নিলাম কিন্তু বাদ সাধলো উভয়(খান সাহেব হাতেম আলী জমাদ্দার গ্রপ ও নব্য জব্বার ইন্জিনিয়ারিংএর ক্রপ)  মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দ, বৈঠক কর

সৃতি তে গাথা না বলা কথা আজও হৃদে অনুভব ১৯৬৯

শীতের আগামনে মা শীতের কাপড় ও গায়ের খাতার টিনের ট্রাংক উঠানে নামাতে বললেন, রোদরে গরম করবেন। মায়ের কথা শুনে আমার শরীর থর থর করে কাপছে, কারণ ট্রাংকে ছোট কৌটার মধ্যে ৪ বোন সহ মায়ের কানের দুল। মায়েরটা ব্যাতিরেকে ৪ বোনের ছোট দুল এক এক করে কবেই বিক্রি করে দিয়েছি। ১৯৬৯ইং আাউব বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম সহ শহীদ মিনার নির্মান, মশাল মিছিল বা বিভিন্ন হাই স্কুলে কর্মী সভার কর্মসূচী সহ না না বিঁধো টাকার যখনই দরকার হতো বন্ধু মনোজ কর্ম কারের সরান পন্ন হতাম,তার কাছেই বিক্রি আজ এক জোরা আবার প্রয়োজনে ৩/৪ মাস পরে আর এক জোরা, এমনি ভাবে। সাং গোপনে বিক্রি, তাই সেও আমাকে সঠিক মুল্য দিত না,অর্থাত সুযোগে বাটপারি। মা আমার আজ বেঁচে নেই, আমার বড় বোন সহ সবাই আজ-ও আমার পাশে। আরো মনে পরে ১৯৭৪ সালে বাজারের বাসার পিছনে গুনার উপরে কাপড় চোপড় সুকাতো কিন্তু সুকাবার আগেই আমার দুই বোন আনোয়ারা মনোয়ারা, তাদের রুমের মধ্যে আমার ভয়ে নিয়ে নিত কারন, সে-সময় দেশে দুর্ভিক্ষ মানুষের খাবার সহ কাপড় চোপড়ের অভান।সৃতি তে গাঁথা না বলা কথা, মায়ের কথা বা বোনদের সাথে দেখা হলেই হৃদয়ে নাড়া দেয় সে না বলা। লিখেছেন : এমাদুল হক খান একজন বীর মুক্ত

মঠবাড়ীয়া উপজেলা নামকরণের ইতিহাস।

মঠবাড়িয়ার প্রাচীন ইতিহাস মূঘল আমলে থেকেই গ্রোথিত । সুবেদার মুর্শিদ কুলি খাঁ আগা বাকের খাঁ কে পাঠিয়েছিলেন কির্তন খোলা নদীর তীর ঘেষে চন্দ্রদ্বীপের এলাকায় যা আগাঁ বাকের তাঁর নামানুসারে বাকের গঞ্জে নাম করন করা হয় । এই বাকের গঞ্জের মৌজায় আরো নিচূ এলাকায় মঠবাড়িয়ার হিন্দু অধ্যুষিত মঠ সমারোহে এর নামকরণ করা হয় মঠবাড়িয়া । মঠবাড়িয়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৪ সালে।মঠবাড়িয়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে।এগুলো হচ্ছে -মঠবাড়িয়া পৌরসভা,আমড়াগাছিয়া,টিকিকাটা,তুষখালী,দাউদখালী,ধানীসাফা,বড় মাছুয়া,বেতমোর রাজপাড়া,মঠবাড়িয়া,মিরুখালী,শাপলেজা এবং হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়ন। কৃতি সন্তানদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শহীদ নূর হোসেন (১৯৬১ - ১০ নভেম্বর ১৯৮৭) - রাজনৈতিক কর্মী। মহিউদ্দিন আহমেদ (১৯২৫-১৯৯৭) - রাজনীতিবিদ; খান সাহেব হাতেম আলী জমাদার (১৮৭২-১৯৮২) - বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য; মেজর (অবঃ) মেহেদী আলী ইমাম (মৃত্যুঃ ১৯৯৬) - স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর সেনানী, বীরবিক্রম; করপোরাল আব্দুস সামাদ (মৃত্যু ২০১৮) - আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ৮ নং আসামী; গনপতি হালদার- ১৯৭১ সালের শহীদ। কালে