Skip to main content

কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশন



কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশন বরিশাল বোর্ডেরর অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় অবস্হিত। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১ জানুয়ারি ১৯২৮ সালে । এ বিদ্যালয়ের  কোড(EIIN)  ১০২৭২৪  এবং এমপিও (MPO)নাম্বার  ৫৪০৫১১১৩০১। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছন মঠবাড়িয়ার তৎকালীন খাস মহল অফিসার জনাব খান বাহাদুর আব্দুল লতিফ চৌধুরি।তার নামেই বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে তিনটি বিভাগ রয়েছে : বিজ্ঞান বিভাগ, বানিজ্য বিভাগ এবং মানবিক বিভাগ। এ বিদ্যালয়ে দিবা শাখায় পাঠদান করা হয়। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত  শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।এ প্রতিষ্ঠানের গড় পাসের হার : জে এস সি ৯৬.৩৮%, এস এস সি ৯৫.০১%।শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়ে এই বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। নিয়মশৃঙ্খলা ,পাঠদান,  জ্ঞান ও বিজ্ঞান চর্চা, খেলাধুলা ও সহ - শিক্ষা কার্যক্রমে অনন্য বিদ্যালয়টি।এই বিদ্যালয়টি বরিশাল শিক্ষা বোর্ড প্রথম স্হান অর্জন করেছে বেশ কয়েকবার। বাংলাদেশের অনেক বিখ্যাত গুনিজন এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জনাব ফখরুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ ব্যক্তি বর্গ। এছাড়া দেশের যেকোন প্রতিযোগিতামূলক পরিক্ষায় এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রয়েছে সফল পদচারণা। সচিব পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারি বেসরকারি সেক্টর এই বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থীরা রয়েছে অগ্রগামী।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবেও এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাদৃত।
লিখেছেন:জি,এম-আদল

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে