Skip to main content

পিরোজপুর এর নাজিরপুরে প্রাণিসম্পদের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে-ডাঃ সুদেব সরকার

ডাঃ সুদেব সরকার পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা একজন সৃজনশীল ও স্বপ্নবাজ মানুষ।তাঁর বলিষ্ঠ  নেতৃত্বে নাজিরপুর প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এর ৩৪ তম ব্যাচের একজন সদস্য।

তাকে নিয়েই amarpirojpur.com এর আজকের আয়োজন। তার কাজের অভিজ্ঞতা,কর্মস্থলের নানা স্মৃতি এবং নাজিরপুর প্রাণিসম্পদ দপ্তর নিয়ে তার নানা ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে সাক্ষাৎকারটিতে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন  জেলা ব্রান্ডিং ওয়েবসাইট amarpirojpur.com এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জি.এম-আদল।সহযোগিতায় ছিলেন amarpirojpur.com এর আর এক সহ-প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুম মুনিরা।


জি,এম-আদলঃ স্যার আপনি নাজিরপুরে চার বছরের অধিক সময় কর্মরত আছেন, কর্মস্থল হিসেবে নাজিরপুরের পরিবেশ কেমন?
ডাঃ সুদেব সরকার : কর্মস্থল হিসেবে নাজিরপুর খুবই চমৎকার। সবাই খুব সহযোগিতা পরায়ন।

জি,এম-আদলঃ কাজ করতে গিয়ে নাজিরপুরে বিশেষ কোন স্মৃতি আছে কি?
ডাঃ সুদেব সরকার : স্মৃতি তো আছেই৷ প্রতিদিনই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে।এই মুহুর্তে আমার একটি ঘটনার কথা মনে পড়ছে।সেদিন সম্তবত ছুটির দিন ছিল।যেহেতু বাসা অফিসের ভেতরেই সেহেতু ছুটির দিনেও অনেক ভিজিটর আসে।সেদিন সকাল বেলা একজন খামারি এসেছিলেন, বয়স্ক মানুষ। আমার দরজায় টোকা দিচ্ছিলেন। আমি দরজা খোলার পর উনি বললেন, ওনার গরুটা রাত থেকে হাঁপাচ্ছে, বার বার ওঠা বসা  করছে।আমি  তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, গরুটা কি প্রেগন্যান্ট? তিনি (খামারি)বললেন, হ্যাঁ।আমি জিজ্ঞাসা করলাম, বাচ্চা হওয়ার সময় হয়েছে কি?তিনি(খামারি)যা বললেন তাতে বোঝা গেল বাচ্চা হতে নয়-দশ দিন বাকি।উনি আমাকে তার সাথে যাওয়ার অনুরোধ করলেন।আমার মটরসাইকেলটা তখন কাছে ছিলনা ।অগত্যা আমার বাই সাইকেলটা নিয়েই আমি সেখানে গেলাম।গিয়ে দেখলাম  গরুর শরীরের তাপ ,খাওয়া -দাওয়া সব ঠিক আছে । চেক আপ করে দেখলাম গরুর বেবিটা ঠিক আছে। তাকেও (খামারিকে)সেটা জানালাম।আরও জানালাম তার গরুটা দ্রুত বাচ্চা দিবে। কয়েকদিন পর গরুটা বাচ্চা দিয়েছে।তবে তিনি(খামারি) আর কোন কিছু আমাকে জানাননি। একদিন হঠাৎ তিনি ২ লিটার দুধ নিয়ে আমার বাসায় আসেন।যেহেতু আমার কাছে অনেক মানুষ আসে তাই ওই দিন প্রথমে আমি তাকে চিনতে পারিনি।আমি তার হাতে  দুধের বোতল দেখে বললাম, এটা নিয়ে আসছেন কেনো?উনি বললেন, স্যার ওই গরুটা বাচ্চা দিয়েছে।আপনার জন্য ২ লিটার দুধ নিয়ে আসছি৷আমি তার আন্তরিকতায় অনেক মুগ্ধ হয়েছি।কারন আমি ঐ দিন গিয়েছিলাম তাকে মানসিক সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য।এরকম আরও অনেক স্মৃতি আছে।

জি,এম-আদলঃ নাজিরপুরে প্রাণিসম্পদের কেমন বানিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে?
ডাঃ সুদেব সরকার: নাজিরপুরে প্রাণিসম্পদের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।যেহেতু নিচু এলাকা এখানে হাঁস চাষের একটা ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।এই অঞ্চলে বছরের সাত - আট মাসই পানি থাকে।নাজিরপুরে ইতিমধ্যে প্রচুর উন্নত জাতের গাভীর খামার, গরু মোটাতাজাকরণ খামার,ছাগলের খামার গড়ে উঠেছে৷এছাড়া শখের বশে ২ জন সাপের খামার করেছে, টার্কির খামার রয়েছে,রয়েছে রাজহাঁস , তিতিরের খামারও৷তবে পোল্ট্রি খামারের দিক দিয়ে পিরোজপুরে নেছারাবাদের পরেই নাজিরপুরেরর স্থান। আমাদের দেউলবাড়ি ইউনিয়নের গাওখালী  একটা বড় পোল্ট্রি জোন যেখানে লেয়ার ও ব্রয়লারের অনেক খামার গড়ে উঠেছে।এখান থেকে পার্শ্ববর্তী  এলাকায় মুরগীর মাংস ও ডিম রপ্তানি করা হয়।নাজিরপুরে মাংস ও ডিমের কোন ঘাটতি নেই।তবে   দুধের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে, যেটা লাঘব করার জন্য নাজিরপুর প্রাণিসম্পদ দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।

জি,এম-আদলঃ যারা বানিজ্যিকভাবে খামার করতে চায়, তাদের জন্য আপনারা কি কি সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন?
ডাঃ সুদেব সরকার: নাজিরপুর না শুধু সারা বাংলাদেশেই প্রচুর পরিমান উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে আমরা কাজ করছি।এখন  মানুষ অনেক টাকা ইনভেস্ট করছে কৃষি এবং প্রাণিসম্পদে। প্রাণিসম্পদ এমন একটা সেক্টর যেখানে এক টাকা ইনভেস্ট করলে এক টাকা রিটার্ন পাওযা যায়।এখানে আপনি যত ইনভেস্ট করবেন তত বেশী লাভবান হবেন।এক্ষেত্রে যারা বানিজ্যিকভাবে খামারের উদ্যোগ নিতে চায়, তাদের ক্ষেত্রে আমরা প্রথমে যায়গাটি পরিদর্শন করি।সেক্ষেত্রে আমরা যদি দেখি বড় জায়গা আছে, তবে আমরা তাদের দুইটা পরামর্শ দেই,এক ছাগল পালন, দুই গরু পালন। সেক্ষেত্রে  আমরা তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্টটা দেই।যার মধ্যে -->লিখিত পরিকল্পনা, ঘরের ডিজাইন,নিয়মিত পরামর্শ সেবা এবং পাশাপাশি এ সকল উদ্যোক্তাদের জন্য ভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ ফ্রি দিচ্ছি। বর্তমান মন্ত্রী মহোদয় আসার পরে করোনাকালীন সময়ে সরকার এ সকল খামারিদের জন্য ৪% হারে ব্যাংক লোনের সুবিধা দিচ্ছেন। পাশাপাশি খামারিদের ফ্রী ট্রেনিং এর সুবিধা রয়েছে।

জি,এম-আদলঃ নাজিরপুর  উপজেলা প্রাণিসম্পদ সেবার মান উন্নয়নে আপনি কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন?
ডাঃ সুদেব সরকার: আমার পেশা যেহেতু সেবাধর্মী পেশা কর্মদিবস ও ছুটির দিন নির্বিশেষেই কাজ করে থাকি।আমি এই কর্মস্থলে আসার পরে অনেক উদ্যোগই হাতে নিয়েছি।যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-->অফিস প্রাঙ্গন ও অফিসের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ সুন্দর করার চেষ্টা করেছি।পরিত্যক্ত ভবন গুলো সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছি। বাহিরের সিটিজেন চার্টার ব্যানার আকারে করেছি যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, যা আগে পেইন্ট করা হতো ও খুব তারাতারি নষ্ট হয়ে যেতো। পুরো অফিস সি সি ক্যামেরার আওতায় এনেছি, সাথে কর্মীদের জন্য দুটো টিভির ব্যবস্হা করেছি কারন আমি এখানে আসার পর দেখেছি কর্মচারীরা অনেকেই  অফিস আওয়ার শেষ হওয়ার আগেই চলে যেতে চাইত। তাই তাদের কর্মস্পৃহা বাড়াতে বিনোদনের ব্যবস্হা করেছি।এর ফলে তাদের কর্মস্পৃহা বেড়েছে।অফিস ইকুইপমেন্টগুলো চেইঞ্জ করেছি।উপসহকারীদের জন্য বসার জায়গা করে দিয়েছি৷খামারির জন্য সার্বক্ষনিক সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। 

জি,এম-আদলঃ তরুন উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার  পরামর্শ কি?
ডাঃ সুদেব সরকার: যে সকল তরুন উদ্যোক্তা খামারি হতে চায় তাদেরকে আমি পরামর্শ দেই যে নিজে খামার শুরু করার আগে অন্য যে কোনো খামারে যেখানে ৯০-১০০% উৎপাদন আছে সেখানে গিয়ে আপনি ফ্রি ১৫ দিন কাজ করেন, সেখানে সময় দেন। সেখানে সময় দিলে আপনি হাতে কলমে শিখতে পারবেন এবং এরপর নিজ উদ্যোগ শুরু করেন।সবচেয়ে বড় কথা কোনো কাজকে ছোট করে দেখা উচিৎ না, আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।খামারে নিজেকে সরাসরি যুক্ত রাখতে হবে নইলে খামারে চুরি ও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সেবার জন্য প্রাণিসম্পদ দপ্তর আপনার পাশেই আছে৷

জি,এম-আদলঃ সিটিজেন  চার্টারে উল্লেখিত সকল সেবা কি নাগরিকদের নিশ্চিত করতে পারছেন ?
ডাঃ সুদেব সরকার:হ্যাঁ,যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।

জি,এম-আদলঃ আপনি তো দেশের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পেশা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(বিসিএস) এ কর্মরত আছেন, যারা আপনার মত বিসিএস ক্যাডার হতে চায় তাদের জন্য আপনার পরামর্শ?
ডা: সুদেব সরকার: এটা যেহেতু অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক একটি পরীক্ষা, সেহেতু আপনাকে ক্যালকুলেশন করে আগাতে হবে।আমি স্টেপ বাই স্টেপ আগাতে পছন্দ করি। আমি আগে প্রিলির জন্য পড়েছি পরে রিটেনের পড়া পড়েছিলাম। যদিও এমসিকিউ বইয়ে অনেক সময় ভুল ভ্রান্তি থাকে। সেক্ষেত্রে আগে রিটেনের পড়া পড়লে ভালোভাবে জানা যায়। আমি আসলে গদবাধা পড়াশুনা করিনি।যখন পড়ার ইচ্ছা একটানা কয়েক ঘন্টা পড়বো আবার ব্রেক নিবো।পরে আবার পড়তে বসবো।আমি পরীক্ষার আগেও খেলাধুলা বাদ দেই নি।মন ভাল রাখা জরুরী৷আপনি অবসরে নিজেকে বিনোদন দিবেন,তাহলে পড়ার ইচ্ছেটা বাড়বে৷

জি,এম-আদলঃ স্যার আমাদেরকে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ডাঃ সুদেব সরকার: আপনাদেরকেও ধন্যবাদ।

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে