Skip to main content

পিরোজপুরের নাজিরপুরে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন পশুর হাঁট চালু



 
 অনলাইন পশুর হাঁট বিষয়টি বেশ কয়েক বছর ধরেই ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে৷শহর কিংবা গ্রামে দেশের সেরা সেরা পশু বিশেষ করে গরু,ছাগল,উট,দুম্বাসহ বিভিন্ন প্রকারের কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যম হয়ে উঠছে ফেসবুক৷ করোনাকালীন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পিরোজপুরের নাজিরপুরে তৈরী হয়েছে ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন পশুর হাঁট৷ ফেসবুক ব্যবহার করে করোনাকালীন খামারীদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন পিরোজপুর—১ আসনের সাংসদ,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব শ ম রেজাউল করিমের নিজ জন্মস্হান নাজিরপুরের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুদেব সরকার৷ জানতে চাইলে তিনি জেলা তথ্য ভিত্তিক ওয়েবসাইট আমার পিরোজপুর.কম কে  বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও নাজিরপুরসহ সারাদেশে কোরবানিযোগ্য পশু সংখ্যার দিক দিয়ে উদ্বৃত্ত্ব রয়েছে৷ তাছাড়া করোনার কারনে পাশ্ববর্তী উপজেলাসমূহে এবার গরু ছাগলসহ অন্যান্য পশুপাখি রপ্তানির সম্ভাবনা অনেকটা ক্ষীন মনে হচ্ছে৷এমতাবস্হায় খামারীদের সামান্য সাহায্য করার জন্য তিনি এই মার্কেটপ্লেস খোলেন৷নাজিরপুরে এবার পবিত্র ঈদুল আযহায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী বানিজ্যিক ও পারিবারিক মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজারের কিছু বেশী হৃষ্টপুষ্ট গরু, সাড়ে তিন হাজার ছাগল, শত খানেক মহিষসহ উল্লেখযোগ্য পরিমান কোরবানির পশু রয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোরবানির হাঁট বসানোর ব্যাপারে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়নি৷ তিনি অনলাইন পশুর হাঁট খোলার ব্যাপারটিকে স্বাগত জানান৷ইতিপূর্বে এই দক্ষ প্রশাসক করোনাকালীন জনবান্ধব বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে সারাদেশে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন এবং নাজিরপুরবাসী মানববন্ধন করে তাঁর অন্যত্র বদলী রুখে দেন৷

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে