লিখেছেন: কে. এম. রাসেল
রাত বাড়ছে
হাজার বছরের পুরোনো রাত।
একজন "করোনা রোগী" শুয়ে আছে বিছানায়,
তার কাছাকাছি বসে আর কেউ নেই।
বিষময় শরীর, অসাড় দেহ,
একটি মমতার হাত দরকার কপালে;
সবাই দূরে দাঁড়িয়ে, নিরুপায়।
নেই কোন মায়া, নেই কোন স্নেহ।
সারাদিন ক্লান্তি শেষে ঘরে ফেরার পর-
শরীরের ঘাম মুছে দেয়া
নেই প্রিয়তমা স্ত্রীর হাত।
সত্য জন্ম নেয়া শিশুটি কোলে উঠে
দিচ্ছেনা বাবা বলে ডাক।
রক্তের বাঁধন-নারী ছেড়া ধন
সন্তানের কাছে যেতে পারছে না বৃদ্ধ মা।
মা কাঁদে, বউ কাঁদে, সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটি
বাবার দিকে চেয়ে চেয়ে রয়,
তুলতুলে হাত দুটি বাড়িয়ে দেয় বাবার দিকে।
বাবা সায় দেয় না, কোলে তুলে নেয় না,
চুমো খায় না নরম গালে; একি দৃশ্য, হায়!
নিষ্পাপ শিশুটির আহবান,
প্রিয়তমার ছলছলে চোখের জল কিংবা
বৃদ্ধ মায়ের আর্তনাদ সব কিছুই ব্যর্থ
তাকে কাছে টানতে।
কাছাকাছি কেউই নেই, দূর থেকেই আলাপন;
কতোটা ভয়াবহ, কতোটা করুণ,
কি মর্মান্তিক এ দৃশ্য!
হয়তো বেঁচে ফিরলে আবার
ফিরে পাওয়া যাবে জীবনে সব; নয়তো
এখানেই শেষ এই অমূল্য জীবন।
জানাজায়ও পাওয়া হবেনা আপনজন,
পূরণ হবে না কাউকে এতোটুকু ছুঁয়ে দেয়ার ইচ্ছা।
ফিরে পাওয়া হবে না আর কোন
সুখের দিন কিংবা মায়াবী রাত ।
![]() |
বিজ্ঞাপন |
Comments
Post a Comment