Skip to main content

নাজিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে দেশী মুরগীর টিকাদান কর্মসূচী চালু


বাজারে দেশী মুরগীর চাহিদা ব্যাপক৷ ভোজন রসিক বাঙালির অন্যতম পছন্দ এই দেশী মুরগী যারা পালন করেন সময়মতো টিকা না দেয়া ও কৃমির ঔষধ না খাওয়ানোর কারণে মুরগীগুলো বেশিরভাগ মারা যায় বা বেঁচে থাকলেও কাঙ্খিত উৎপাদন হয়না৷ 

সচেতন খামারিদের জন্যই বর্তমানে দেশী মুরগীর জাতটি সগৌরবে টিকে আছে৷ দেশীয় এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে আরো বেশি বেশি দেশী মুরগী পালন আবশ্যক৷

দেশী মুরগী পালনের রয়েছে ব্যাপক সুবিধা। দেশী মুরগী সহজে রোগাক্রান্ত হয় না,ফ্রি রেঞ্জ অর্থাৎ ছেড়ে পালন করা যায়,জায়গা কম লাগে,বাজার মূল্য অন্য জাতের মুরগীর তুলনায় প্রায় দ্বিগুন থেকে তিনগুন,খেতে সুস্বাদু,রোগীর পথ্য হিসেবে কাজ করে,কমার্শিয়াল লেয়ারের তুলনায় ডিমের দাম প্রায় দেড়গুন বেশি,মাতৃত্ব বেশি থাকায় সহজে এদের বাচ্চা শিকারী প্রাণি দ্বারা আক্রান্ত হয় না,যে কোনো পরিবেশে মানানসই এবং দেশী মুরগী দিয়ে হাঁস সহ অন্যান্য প্রজাতির ডিম ফুঁটানো যায়।

এছাড়াও অসংখ্য সুবিধা রয়েছে৷ বেকারত্ব হ্রাস করতে গড়ে তুলতে পারেন দেশী মুরগীর খামার৷ সারাদেশে অর্গানিক দেশী মুরগীর চাষ সম্প্রসারণে ইতিমধ্যে শেরপুর বগুড়ার ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ রায়হান,পিএএ অন্যতম নজির স্থাপন করেছেন।তিনি সম্মাননা স্ব্ররুপ জনপ্রশাসন পদক পেয়েছেন৷ তাঁর উদ্ভাবিত 'স্বপ্ন ছোঁয়ার সিঁড়ি',শেরপুর,বগুড়া মডেল 
এখন সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে৷ 
নাজিরপুর পিরোজপুর জেলার অন্যতম একটি উপজেলা।এ উপজেলার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তার জন্য নাজিরপুরের প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় নাজিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুদেব সরকার ইতিমধ্যে এ উপজেলায় দেশী মুরগীর টিকাদান কর্মসূচী চালু করেছে।

দিনবদলের সঙ্গী হতে ফ্রি পরামর্শের জন্য আপনিও যোগাযোগ করতে পারেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর,নাজিরপুর,পিরোজপুরে৷
প্রয়োজনেঃ ডাঃ সুদেব সরকার (01722526294)

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে