Skip to main content

পিরোজপুরের অর্গানিক মুগ ডাল


মুগ অন্যতম একটি সুপরিচিত ডাল।পিরোজপুরের স্থানীয় কৃষকরা প্রচুর মুগ ডাল চাষ করে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড ও উচ্চ মাত্রার প্রোটিন রয়েছে যা শরীরে আমিষের ঘাটতি পূরণ করে। কাজেই প্রতিদিনের ডায়েটে এই খাবারটি রাখা ভালো।  amarpirojpur.com এই মুগ ডাল সরাসরি পিরোজপুরের কৃষকদের থেকে সংগ্রহ করে মুগডাল প্রেমি ভোক্তাদের কাছে সরাসরি পৌছায়।যার ফলে পিরোজপুরের স্থানীয় কৃষকগন পাচ্ছেন ন্যায্য মূল্য এবং মুগডাল প্রেমিগন পাচ্ছেন নির্ভেজাল মুগ ডাল।

মুগ ডালের প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা :

হজমে সহায়তা করে: শরীরের পরিপাক নালীর মধ্যে যে বিষাক্ত পদার্থ আছে তা বের করে দেয় এই মুগ ডাল। ফলে হজম শক্তি বাড়ে। যকৃতের কাজের চাপ কমিয়ে আনতেও সাহায্য করে খাবারটি। এছাড়া এতে লেসিথিন নামে এমন এক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা যকৃতে চর্বি জমাতে বাধা দেয়।

কোলেস্টেরল কমায়:  মুগ ডাল রক্তে তিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ধমনীকে পরিষ্কার রাখায় হৃদরোগ ও স্ট্রকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে খাবারটি। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দিনে পাঁচ কিংবা তার বেশি বার এই ডাল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি শতকরা ২২ ভাগ কমে আসে।

ওজন কমায়: মুগ ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় ক্ষুধা কম লাগে। আর কম খেলে এমনিতেই ওজন কমে আসে। এছাড়া খাবারটিতে কম চর্বি এবং উচ্চ মাত্রার প্রোটিন থাকায় তা মাংসপেশীকেও চর্বিমুক্ত রাখে।

শক্তির জোগান দেয়: ডালটিতে কার্বোহাইড্রেড থাকায় তা শরীরে শক্তির জোগান দেয়। এই উপাদানটি শুধু রক্ত চলাচলকেই সক্রিয় রাখে না, একইসঙ্গে গ্লুকোজের মাত্রাকেও ঠিক রাখে।

ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে: ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের বেশি করে মুগ ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, এতে ভিটামিন বি১৭ নামে এমন একটি উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সারের কোষগুলো কার্যকরভাবে ধ্বংস করে।

ভিটামিন সি-এর উৎস: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় তা ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

ত্বকের জন্য ভালো: এই খাবারটি ত্বকের জন্য অনেক ভালো। এতে ভিটামিন সি থাকায় সহজেই শরীরে বার্ধ্যকের ছাপ পড়ে না।  এছাড়া এটি কোলাজেন এবং ইলাস্টিন উৎপাদন করে তা ত্বকের জন্য ভালো। শুধু ত্বক নয়, খাবারটি নখ এবং চুলের জন্যও উপকারী। প্রোটিনের পাশাপাশি এতে জিঙ্ক এবং মিনারেল রয়েছে, যা নখ এবং চুলকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো: হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি চমৎকার খাবার হলো মুগ ডাল। এটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচায়।

amarpirojpur.com থেকে মুগডাল কেন কিনবেন?:
আমরা বাজারে সচারাচর যে মুগ ডাল দেখে থাকি তা অত্যন্ত কালারফুল দেখা যায়।আপনি নিশ্চয়ই জানেন,বাজারে বেশির ভাগ মুগ ডাল চকচকে করার জন্য হলুদ রঙ এবং পানি ব্যাবহার করে থাকে। খাটি মুগ ডাল কোন ভাবেই বেশি কালারফুল হবে না। রং এবং মেডিসিন মিশ্রণের ফলে ডাল কিছুদিন ঘরে থাকলে ফাংগাস পরে যায় এবং এই রং এবং রাসায়নিক শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অন্যদিকে,amarpirojpur.com এর মুগ ডাল ভেজাল মুক্ত।
নিরাপদ বা অর্গানিক মুগ ডাল খেতে যারা আগ্রহী তাদের জন্য পিরোজুরের মুগডাল হতে পারে দারুণ সুযোগ।চাইলেই amarpirojpur.com থেকে সংগ্রহ করতে পারেন পিরোজপুরের অর্গানিক মুগ ডাল।অর্ডার করতে  আমার পিরোজপুরের ফেসবুক  পেজে ইনবক্স করুুন অথবা কল করুুুন ০১৫১৫২১৬২৭৫ এই হট লাইন নাম্বারে। 

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে