একটি সিনেমা হলের আত্মকাহিনী

লিখেছেন : রবিউল হাসান রবিন


পরিবার নিয়ে একটা ছবি দেখার মধ্যে যে  আনন্দ ছিল, তার সাক্ষী থেকেছে কাউখালীর  মতো ছোট  একটা শহরে পলাশ  পরে নাদিম সিনেমা হল  । স্কুল   কলেজের পড়ুয়াদের কাছে  বিনোদনের এক মাত্র কেন্দ্র  ছিল এই সিনেমা হলটি । টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ক্লাস থেকে পড়ে পলাশ সিনেমা হলের বেঞ্চ, চেয়ারে বসে পায়ের উপরে পা তুলে ছবি দেখার মধ্যে ছিল স্বর্গীয় সুখ। আর সঙ্গে যদি আলুর চিপস আর বাদাম থাকত, তা হলে সেই দিন আর জামার কলার নামতো না।
এই সিনেমা হল শুধু ছবি দেখায়নি। বন্ধুত্বের ভাঙা-গড়া, দল বেঁধে সিনেমা দেখা, প্রথম প্রেমের ঝালমুড়ি সব কিছুর স্মৃতি ধরে রেখেছে।  রাজ্জাক -শাবানা থেকে মান্না সালমান শাহ সব অভিনেতার ভক্তদের পাগলামির সাক্ষী দেখেছে। পাগলামি, ঝালমুড়ি, পড়ুয়াদের পকেটে টান সবকিছু  ভারে চাপা পড়েছে। তাই হারিয়ে গেছে পলাশ(নাদিম) সিনেমা হল। এখন শুধু কাউখালী বাসীর স্মৃতি।

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post