Skip to main content

গুরুজনদের পদধূলি : আশিক মাহমুদ রিয়াদ



লিখেছেন :আশিক মাহমুদ রিয়াদ

মাধ্যমিক জীবনে আমি মোট তিনটি স্কুলে পড়েছি৷ এই তিনটি স্কুলে পড়াটা সত্যি আমার জন্য সৌভাগ্যের ছিলো। আমার মাধ্যমিক জীবন শুরু হয় ইন্দুরকানী মেহেউদ্দিন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় দিয়ে।এই বিদ্যালয় আমার রক্তের সাথে মিশে আছে। আব্বু ছিলেন এই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক৷ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম স্যার ছিলেন খুবই শ্রদ্ধাবান মানুষ। তাকে দেখলে আপন মনে মাথা নিচু হয়ে যেত।
এই বিদ্যালয়ে সব থেকে কড়া শিক্ষক হালিম স্যার এবং আরিফ স্যার। এই দুজনকে বেশ ভয় পেতাম। এনাদের দেখলে শ্রদ্ধা বহুগুনে বেড়ে যেত।খুব করে চাইতাম যেন সামনে না পড়ি।

 হঠাৎ করে আমার জীবনে একটা ঝড় এসে ওলট পালট করে দিয়ে যায় সব৷ বাবা মারা যান। বড় খালু পিরোজপুরে এনে ভর্তি করেন কেয়ামউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। নতুন স্কুলে নতুন স্যার ম্যাডামদের স্নেহে লেখাপড়া শুরু করলাম, লেখাপড়ায় আনন্দ পেতে লাগলাম। কেয়ামউদ্দিন জয়নুল আবেদিন স্যার, বনানী ম্যাডাম,ইলিয়াস স্যার সহ আরো বিদ্যালয়ের স্যার ম্যাডামরা ছিলেন আমার দারুন পছন্দের এবং শ্রদ্ধার,তারা আমার জীবনে অত্যান্তু পছন্দের এবং শ্রদ্ধার গুরুজন।

পরবর্তি বছরে আবার আমাকে স্কুল পাল্টাতে হয়। শ্রদ্ধেয় সাইফুল স্যারের উপদেশে ভর্তি হই তার ই স্কুল পিরোজপুর টিএসসিতে৷ বলে রাখা ভালো,আব্বুরও ইচ্ছা ছিলো আমি কারিগরি বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করি। আমারো শখ ছিলো এ ব্যাপারে, আর আগ্রহ।

টেকনিক্যাল স্কুলের সাইফুল স্যার,আফিয়া ম্যাডাম ,অবিনাশ স্যার,আমিনূর স্যার
ফিরোজা ম্যাডম, সোহেল স্যার,ইন্দ্রানী ম্যাডাম সহ বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকা আমার ভালোবাসার এবং পরম শ্রদ্ধার।

পরিশেষে, এই তিনটি স্কুল আমাকে নতুন কিছু শিখিয়েছে। নতুন বন্ধুবান্ধবদের সাথে পরিচয় করিয়েছে৷ মাধ্যমিক জীবনটা গোটা জীবন স্মৃতির পাতায় উজ্জল হয়ে রইবে!

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে