Skip to main content

শেষ দেখা








লিখেছেন: প্রিতয় মাহামুদ

বহুদিন পরে দেখা,
না না একেবারেই প্রেমিকার সাথে নয় !!
ঘুরে ফিরে দেখছি আমার বর্তমান শহর ,রাস্তাঘাট ,চেনা ষ্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, চায়ের দোকান, লঞ্চঘাট এর চিরচেনা ব্যাস্ত মানুষ !
জানেন তো মানুষগুলি কেমনজানি ছুটছে দেখে মনে হচ্ছে বন্দী পাখিকে ছেড়ে  দেয়া হয়েছে !
তবে এই শহরের মানুষ গুলি বরাবরই ব্যাস্ত! খুব তাড়া তাদের ! যেন এবারের ট্রেনটা না ধরতে পারলে বা ১০ মার্কের ক্লাস টেস্ট না দিতে পারলে তার জীবনটাই বৃথা হয়ে যাবে !
তবে এত সত্যি , ব্যাস্ত মানুষগুলোকে দেখে আজ অন্যরকম লাগছে ,মনে হচ্ছে ঘরবন্দি থেকে মানুষগুলির মধ্যে ধৈর্য ধরার অভ্যাস তৈরি হয়েছে ! তাড়া যেমন ধৈর্য ধরে জেব্রা ক্রসিং /ফুট ওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পাড় হচ্ছে তেমনি ধৈর্য ধরে নিজেকেও ভালবাসতে শিখেছে !! শহর জুড়ে নেতাদের পোষ্টার খুব একটা চোখে পড়ছে না , মনে হচ্ছে উন্নয়নের জোয়ারে সবাই ভেসে গেছে !
তবে এইটুকু বুঝেছি শহরে নেমেছে ভালোবাসার সৈনিকেরা ,প্রতিটা মানুষের গা উমের মত জড়িয়ে আছে। খুব সত্যি খুব সত্যি আমি ঠিক এমনি চাই যেখানে এক ছাতাতে ,শহরের প্রতিটা মানুষ ভালবাসবে একে অন্যকে !ভালবাসবে তার শহরকে ,ভালবাসবে তার সম্পর্ককে ব্যাবসায়ীরা তার ব্যাবসার থেকেও  বেশি ভালবাসবে মানুষের প্রয়োজনকে ,রাজনীতিবিদরা নোংরামি করবে না !
 ধার্মিকরা ধর্মকে পুজি করে আর ব্যবসা করবে না ।
ভেবেছিলাম আজ সারাটা পথ হেটে হেটে শহর দেখবো তবে তার আগে একটু হাসপাতালে যেতে হবে ,আমার প্রেমিকার কাছে ! বহুদিন দেখা হয় নি !বন্দীত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার পর যাবো ভেবেছিলাম !
অতঃপর আমি উপস্থিত ! আমার সামনের দরজায় তিনটি ইংরেজি অক্ষর , ICU ! দরজার মাঝে ছোট কাঁচের মধ্যে দিয়ে দেখতে পেলাম সাদা কাপড়ের তিনজন ভগবান ওর পাশে  দাঁড়ানো!আমাকে দেখেছে কিনা জানি না তবে খুব জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছিল !
ঘড়িতে ঠিক তখন ১২ টা! হাতের casio model এর ঘড়িটা ১২ বার শব্দ করে জানিয়ে দিচ্ছিল !
হটাৎ দেখি মাঝের ভগবানের চোখে জল !
আর আমি নিরব !
হা হা হা !!!!


Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে