Skip to main content

পিরোজপুরের ফরমালিন মুক্ত মিষ্টি মাল্টা



মাল্টা পিরোজপুর জেলার সরকার স্বীকৃত ব্রান্ড। পিরোজপুরকে বলা হয় মাল্টার সুবর্নভূমি।
বিদেশি মাল্টার চেয়ে পিরোজপুরের মাল্টা রসালো ও বেশ সুস্বাদু।এর ইংরেজি নাম সুইট অরেঞ্জ।
এই মাল্টা ফরমালিন ছাড়া বাজারজাত করা হয় বলে এটি খাওয়া সম্পুর্ণ নিরাপদ । কাঁচা অবস্থায় এই মাল্টা গাড় সবুজ এবং পাকলে হালকা হলুদ রং ধারণ করে। একটি মালটা ওজনে দেড় থেকে ২শ গ্রাম হয়ে থাকে।
এই মাল্টা ফল হিসেবে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর আছে নানা গুণাগুণ। সর্দিজ্বর কমাতে মাল্টা বেশ উপকারী। মাল্টায় অতি সামান্য ক্যালরি থাকে তাই খেতে পারেন ইচ্ছামতো। চিনি দিয়ে বানানো শরবতের থেকে এটি একদিকে যেমন আপনাকে পুষ্টি দিচ্ছে বেশি, তেমনি ইচ্ছামতো খাবারের স্বাধীনতাও দিচ্ছে।এই মাল্টা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘সি’র সব অভাব পূরণে বেছে নিতে পারেন এটি।মাল্টা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিস রোগ আছে যাঁদের তাঁরা এটি কিন্তু নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। মাল্টার হেসপেরিডিন এবং ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই এ ধরনের রোগীর জন্য এটি উপকারী ফল।এটি ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সম্পন্ন। ভিটামিন ‘সি’ রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়ায়, যা দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করে। তাই মাল্টা রক্তশূন্যতায় ভুগছে এমন মানুষের জন্য বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মাল্টায় পেকটিন নামের একধরনের ফাইবার আছে, যা কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।নিয়মিত এই মাল্টা খেলে ত্বকে সজীবতা বজায় থাকবে এবং এটি আপনাকে মুক্তি দেবে ত্বকের বলিরেখা থেকে। সে সঙ্গে লাবণ্য ধরে রাখার কাজটিও করবে।
এ জেলায় উৎপাদিত মাল্টা এখন রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের খাদ্য সচেতন মানুষের মৌসুমী ফলের চাহিদা পূরণ করছে। ফলের দোকানে বিদেশি ফলের সাথে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এ ফলটি বিক্রি হচ্ছে বেশ কদরের সাথে। ক্রেতা-দোকানীর কাছে আমদানিকৃত হলুদ মাল্টার চেয়ে পিরোজপুরের সবুজ মাল্টার কদর বেশি। দাম বিদেশি অন্যান্য ফলের চেয়ে সস্তা বলে অনেক ক্রেতারা এ ফলটির দিকে ঝুঁকছেন। নিয়মিত ফল ক্রেতারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন পিরোজপুরের মাল্টা বাগান থেকে সদ্য তুলে এনে বিক্রি করা হয় তাই পচন ঠেকাতে ফরমালিনের স্পর্শ লাগেনা। তাই নিরাপদ ফল জেনেই খাদ্য সচেতন ভোক্তারা দোকানে গিয়ে পিরোজপুরের মাল্টা খোঁজেন।
নিরাপদ বা বিষমুক্ত ফল খেতে যারা আগ্রহী তাদের জন্য পিরোজুরের মাল্টার বিকল্প নেই।
চাইলেই বাজার থেকে সংগ্রহ করতে পারেন পিরোজপুরের বিষমুক্ত সুস্বাদু মালটা।অর্ডার করতে  আমার পিরোজপুরের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করুুন অথবা কল করুুুন ০১৫১৫২১৬২৭৫ এই হট লাইন নাম্বারে। 

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে