Skip to main content

'সেবার নৌকা’ কাউখালী ইউএনও খালেদা খাতুন এর উদ্যোগ



গন্তব্যে এগিয়ে চলেছে ‘সেবার নৌকা। কাউখালী খেয়াঘাট, কাউখালী, পিরোজপুর, ২৮ মার্চ। ছবি: প্রথম আলো
গন্তব্যে এগিয়ে চলেছে ‘সেবার নৌকা। কাউখালী খেয়াঘাট, কাউখালী, পিরোজপুর, ২৮ মার্চ। ছবি: প্রথম আলো
সন্ধ্যা নদীর বুক চিরে চলছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। নৌকার সামনে ব্যানারে লেখা ‘সেবার নৌকা’। নৌকায় আছে চাল, ডাল, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। আছেন চিকিৎসক, পশুচিকিৎসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. খালেদা খাতুন নদীতীর ও চরের শ্রমজীবী মানুষের বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী ও চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার কাউখালী খেয়াঘাট থেকে সেবার নৌকা নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ইউএনও খালেদা খাতুন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস শহিদ, কাউখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শহিদুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপকমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা শাকিল তালুকদার, উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা সাইদা খাতুন ও কাউখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আবদুল লতিফ।
বিকেল পাঁচটায় উপজেলার সন্ধ্যা নদীর তীরে সোনাকুর গ্রামে নৌকা নোঙর করে। সেখানে ৫০টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয় খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। পাশাপাশি মানুষকে দেওয়া হয় চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ। এ সময় তথ্যসেবা কর্মকর্তা ডায়াবেটিক ও রক্তচাপ মেপে দিয়েছেন কয়েকজনকে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শ্রমজীবী পরিবারের জন্য নৌকায় খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটি প্যাকেট রয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে থাকছে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি লবণ, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ২৫০ গ্রাম টোস্ট, ২টি মাস্ক, ১টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ১ প্যাকেট হুইল পাউডার, ১টি সাবান, প্যারাসিটামল ওষুধ। পাশাপাশি মানুষের চিকিৎসার জন্য রয়েছে চিকিৎসক। প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবার জন্য এ দলে রয়েছেন উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা। গৃহপালিত পশুর চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য রয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
কাউখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আবদুল লতিফ বলেন, উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন সন্ধ্যা নদীর তীরে বসবাস করা শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছেন। তিনি নৌপথে ঘুরে ঘুরে মানুষের কাছে খাদ্য ও সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। তাঁর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে মানুষ ঘরে থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত হচ্ছে। সোনাকুর ও আমরাজুড়ি চরের মানুষ খাদ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে খুব খুশি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় ইউএনও খালেদা খাতুনের নানা উদ্যোগ ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি এর আগে স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের বই উপহার দিয়েছেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ বাজার, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের খাদ্যসহায়তাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।
ইউএনও খালেদা খাতুন বলেন, যেখানে যোগাযোগব্যবস্থা ভালো, সাধারণত সেখানের মানুষ সহায়তা ও সেবা বেশি পায়। নদীতীরের দুর্গম এলাকার মানুষ সুবিধাবঞ্চিত। এ কারণে তিনি নদীতীর ও চরের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য খাদ্যসহায়তা ও সেবা নিয়ে তাঁদের বাড়িতে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। মানুষ যাতে এই কয়টা দিন ঘরে বসে সেবা নিতে পারে, সে জন্যই এই ‘সেবার নৌকা’ কার্যক্রম।
তথ্য :প্রথম আলো

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে