Skip to main content

জনপ্রতিনিধি এমনই হওয়া উচিৎ



লিখেছেন: হৃদয় দে আকাশ

ছবি তে যে লোকটিকে দেখছেন তিনি একজন জনপ্রতিনিধি কিছু দিন আগে উপ-নির্বাচনে তিনি ৩নং সদর ইউপির ২ নং ওয়ার্ডে জনগনের নিরঙ্কুস ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হন, ঘরিতে সময় তখন ১ টা আমার ছোট বেলার বন্ধু মেহেদীর ছোট বোন অসুস্হ হাসপাতালে,যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখনি রাস্তা থেকে রুবেল ভাইয়ের সাথে দেখা মেহেদীর, সে মেহেদীকে দেখে মেহেদীর সাথে হাসপাতালে গেল ডাক্তার ডাকলো মেডিসিন এর দোকান বন্ধ তখন, দোকানদার কে বাসা থেকে রুবেল ভাই নিয়ে এসে দোকান খুলিয়ে ঔসধ নিলো,ডাক্তার মেহেদীর বোন কে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বললো কিন্তু এতো রাতে কোন কিছুই তো পাওয়া যাচ্ছিলো না, রুবেল ভাই কলেজ মোর গেল কিছু পেলো না তারপর দৌরে দক্ষিণ বাজার, উপজেলা রাত তো অনেক কোথাও কিছু নেই, তখন দক্ষিণ বাজারে কার বাসার সামনে একটা ভ্যান দেখতে পেল, সে অনেক খোজার চেষ্টা করলো কিন্তু ভ্যানের মালিক পেল না, কি করার সে নিজেই ভ্যান টিকে নিয়ে একা একা হাসপাতালে গেল,তারপর মেহেদীর বোনকে সেই ভ্যানে করে বাসায় দিয়ে আসলো,আমি একজন জনপ্রতিনিধির সন্তান, আমার জায়গা থেকে আপনার জন্য নিরভ্যাজাল শুভ কামনা থাকবে, আপনার জন্য অনেক দোয়া রইলো।

ইতিপূর্বেও তিনি এমন কল্যানকর কাজ করেছেন।এ বিষয়ে তার কাছ থেকে উপকৃত আরো কয়েকজন মন্তব্য করেন।
দিপু খন্দকার বলেন,সে একদিন আমারও এরকম একটা উপকার করেছিলো।
হিমাদ্রি নামের আর একজন বলেন যে,
কাউখালিতে স্মার্ট কার্ড আন্তে গেছিলাম। অখানে কয়কটা নতুন ছেলে পেলে আমাকে চিনবে কি করে। অরা আমাকে বলছিল ভাই আপনার কার্ডটা পরে উপজেলা থেকে নিয়ে যেতে। এদিকে আমার অফিসের জন্য অইদিন ঢাকায় ফেরা দরকারি ছিল। পরে এই রুবেল ভাইয়ার সহযোগিতার জন্যই আমার কার্ডটি উদ্ধার করতে পেরেছিলাম তখন। ধন্যবাদ রুবেল ভাইয়া।।

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে