Skip to main content

প্রাণফোঁটা পিরোজপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা সংগঠন




প্রাণফোঁটায় রক্ত পাওয়া যায় না কিন্তু রক্তদাতা পাওয়া যায়। এটি BLOOD BANK নয় বরং BLOOD DONOR GROUP যার কাজ হাসপাতাল/ ক্লিনিকে অবস্থানরত মূমুর্ষূ রুগীদের নিরাপদ রক্তের প্রয়োজনে রোগী এবং রক্তদাতাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া।


পিরোজপুর একটি উন্নয়নশীল জেলা। অতীতে জরুরী রক্তের প্রয়োজনে রুগীদের বিভিন্ন জেলা/বিভাগে যেত হত। মফস্বল থেকে শুধুমাত্র রক্তের প্রয়োজনে শহরে যাওয়া কতটা কষ্টের সেটা আমরা নিজেদের চোখে দেখেছি এবং উপলব্ধি করেছি। চিন্তা করেছি কিভাবে অসহায়-গরীব রুগীদের সেবা করা যায়। অবশেষে আমরা ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪ তারিখ মাত্র ৫ জন স্বেচ্ছাসেবক/রক্তদাতা মিলে ( Moshiour Shant,Naim Mahmud, Abir KKhan চেনা অপরিচিত এবং ম. শহিদুল্লাহ) 'প্রাণের পাশে সবসময়' শ্লোগান নিয়ে 'প্রাণফোঁটা' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংগঠনটি
#৩টি_মূলনীতি_বা_3_NO
#NO_MONEY
#NO_FREEZING(long)
#NO_PARCEL)
এর ভিত্তিতে কাজ় করে যাচ্ছে।

কোন একক ব্যক্তির নামে বা পরিচালনায় সংগঠন পরিচালিত হবে না বিধায় আমরা সংগঠনটির আলাদা একটি নাম এবং সাংগঠনিক সকল কাজ পরিচালনার জন্য আলাদা যোগাযোগার নাম্বার ব্যবহার করা হয় (০১৭৯০২২৫৫৫৫) যেই নাম্বারের মাধ্যমে মূমুর্ষূ রোগীর সেবা প্রদানের জন্য একজন সমন্বয়ক ২৪ ঘন্টা কান পেতে রয়েছেন প্রাণফোঁটার বর্তমান বয়স ছয় বছর। ইতোমধ্যে সপ্তম বছরে পদার্পণ করেছে। প্রাণফোঁটায় স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা প্রায় ৩০ জন এবং রক্তদাতা সংখ্যা প্রায় ৩৫০০ জনের মত। । গত ছয় বছরে আমরা পিরোজপুর শহর,পিরোজপুরের বিভিন্ন উপজেলা অন্যান্য জেলায় প্রায় ৫৫০০ ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করেছি।পিরোজপুর ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা/উপজেলায় অন্য সমমনা সংগঠনের মাধ্যমে রুগীদের রক্ত পাইয়ে দেবার ব্যবস্থা করছি। একদম বিনামূল্যে। এমনকি কোন ধরনের সার্ভিস চার্জ ছাড়াই। এবং ভবিষ্যতেও আমাদের পরিকল্পনার কোনো পরিবর্তন হবে না।  সবসময় আপনাদের পাশে পাবো সেই কামনাই করছি।



Comments

  1. প্রাণফোঁটা পিরোজপুর, যেভাবে অসহায় মানুষের সাথীহয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমি দোয়া করি সংগঠনটি যেন হাজার বছর তাদের এই কার্যক্রম করে মানুষককে সাহায্য সহোযোগীতা করে যেতে পারে। শুভ কামনা প্রাণফোঁটার জন্যে।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে