Skip to main content

প্রেমময় মহাপ্রস্থান



লিখেছেন : নুসরাত আহমেদ নিসা

কিছু প্রস্থানে ফিরে আসার আশা থাকে না,
আবেগের স্বরলিপিরা সুর বাঁধতেও ভুলে যায়,
দুঃসাহসিকতা হার মানতে বাধ্য হয় ভীষণ পালক স্পর্শে!
তবে জানিস তো?
কিছু শহরে কারফিউ জারি হলেও ভ্রমণবিলাসে ভয় থাকে না,
দুঃসাহসি প্রেমিকা হয়ে আমিও বারবার ছুটে যাই তোর শহরে,
যে শহরে দাবানলের ভয়াল উত্তাপে অলিন্দদ্বয় পুড়ে ছাই হয়ে যায়,
সুনামি সতর্কতা জারি থাকে শতাব্দীর পর শতাব্দী,
বিষাক্ত বাক্যে কারফিউ জারি হয় প্রতিটাদিন!
তবুও কায়ক্লেশে ঘেরা উর্ধ্ব গতিতে প্রচণ্ড বহ্নির পথ আগলে ধরে,
শত শত আলোকবর্ষ আমি হেঁটে চলবোই!
ভয়ানক পরিণাম হবে আমার? হোক!
পুড়ে ছাই হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক আমার নগ্নপদধুলি!
সেই শহরের কায়ক্লেশে ঘেরা উর্ধ্ব গতির প্রচণ্ড বহ্নিশিখার
সামর্থ্য যদি হয় আমার এ চরম দুঃসাহসিকতা উপেক্ষা করার,
তবে তাই হোক!

তোর শহরের নির্মম দাবানলের অগ্নিতাপে আমার অলিন্দদ্বয় পুড়ে যাক,
সুনামি সতর্কতা উপেক্ষার চরম দুঃসাহসিকতার দরুন
আমার শরীর নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক,
জারিকৃত কারফিউ উপেক্ষা করার দায়ে আমার মৃত্যুদন্ড হোক!
তবুও আমি ভয় পাই না রে প্রিয়,
সকলকিছু উপেক্ষা করে...
আমি বারবার তোর ওই অসুখী শহরেই ছুটে যাবো!
তোর শহর জানে না,
যারা ভালোবাসে,তারা ভালোবেসে মৃত্যুও ভালোবাসে।
লুটিয়ে পড়ে থাকা অসাড় গ্রন্থির সুপ্তকথা লুটে নিয়ে মঞ্চস্থ মৃত্যুদণ্ডের দড়িটা,
নিজ গলায় জড়িয়ে নেবো সযত্নে!
আমার বেওয়ারিশ লাশটা অযত্নেই পড়ে থাকুক তোর শহরে...
তবে যেদিন তোর সাধ্য হবে এই পবিত্র অপরাধের সংজ্ঞা আয়ত্তের,
সেদিন ভালোবেসে তুই এর নাম দিস, "প্রেমময় মহাপ্রস্থান"!

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে