Skip to main content

এ লাশ কোন ধর্মের, কোন জাতের?



লিখেছেন :
জাহিদুল জামি
বার্লিন,জার্মানি

(দিল্লীতে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা, ফেব্রুয়ারি ২০২০)

দাউ দাউ করে জ্বলছে মসজিদ,
মাদ্রাসা,বাড়ি-ঘর
রাস্তায় গাড়িতে আগুন,বাড়িতে আগুনের
লেলিহান শিখা শুধু ধর্মের অযুহাতে
ওরা উম্মত্ব, হিংস্র জানোয়ার
রক্তের হোলী খেলছে 'জয়শ্রী রাম'বলে।
বুদ্ধ,রাম,মহম্মদ, মহাবীর,যীশু সবার এক
অভিন্ন পবিত্র বানী,একি রক্তের ধারায়
অথচ নেই কোন ফারাখ।
ধর্মান্ধ ওই পশুরা কি জানে রাস্তায় যাকে
গুলি করে হত্যা করছে কিছুক্ষন পর লাশ হয়ে
নিথর দেহ জমিনে পড়ছে,
এখন তাকে কোন ধর্ম দিয়ে বিচার করবে?

দাঁড়িয়ে আছে
দিল্লীর রাস্তায় নারী-পুরুষের আর্তনাদ চারদিক
ভারী উঠছে করুন মিনতি বাঁচাও বাঁচাও
একটু পানি দাও কে আছ.........
২৭ বছরের যুবক শাহেদি তার
সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী রাজিয়া দাঁড়িয়েছিল
বাসার সামনে অনাগত সন্তান তার পেটে।
রাস্তায় দাংগা থামাতে কনেষ্টবল রতন মন্ডল
সবাইকে শান্ত থাকার চিৎকার
কিছুক্ষন পর সবাই তারা নিস্তব্দ বাঁচার জন্য।

এখন তারা সবাই লাশ কাটা ঘরে ধর্মহীন প্রাণ
পারলে খুঁজে বের করো কে মুসলিম, কে হিন্দু?

হাজার বছরের হিন্দু-মুসলিম বৌদ্ধ- খৃষ্টীয়
সভ্যতা ছিড়ে-বিড়ে খাচ্ছে ধর্মান্ধ শকুনেরা।
যে মসজিদের মিনার থেকে ধব্বনিত হোচ্ছে
কল্ল্যানের জন্য এসো,
যে মন্দির থেকে উলুধ্বনি হোচ্ছে ওঁম শান্তি
যে গীর্জার ঘন্টাতে শোনায় শান্তির বানী
যে প্যাগোডার শ্রুত বানী জগতের সকল প্রানী
সুখী জীবনের আশ্রয়

চেয়ে দেখো, দিল্লীর রাস্তায় ধর্মের নামে
পৈশাচিকতা কলুষিত আজ হাজার বছরের
সাম্য আর সম্প্রীতির বন্ধন।

যীশু,মহম্মদ,বৌদ্ধ,মহাবীর.....
স্বামী বিবেকানন্দের সাম্য আর সৌহার্দের বানী
খুলে দাও আজ ধর্মের বন্ধন
চেয়ে দেখো দিল্লীর রাস্তায় পড়ে থাকা লাশ
নারী-পুরুষের লাশের গায়ে হিন্দু,মুসলিম
বৌদ্ধ কিংবা খৃষ্টান নেই তাতে কিছুই লেখা।

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে