Skip to main content

মুজিববর্ষ ২০২০ এ এসিল্যান্ড কাউখালী এর ভূমিসেবা





সুখরঞ্জন বাবু একজন কৃষক। বসত ভিটা লাগোয়া ৫৭ শতক জমি ক্রয়সূত্রে মালিক। পানেরবরজ, সবজি, ফলদ ও কাষ্ঠল বৃক্ষের মাধ্যমে পঁচিশ বছরের নিরবিচ্ছিন্ন ভোগদখল। নিজ নামে বিএস রেকর্ডও বিদ্যমান।

এ পর্যন্ত ঠিক সব ঠিক আছে।

সুখরঞ্জনের প্রতিবেশী এক ভদ্রলোক ১৯৯৪ সালে দেওয়ানি আদালত থেকে বিবাদমান জমি নিজ নামে একতরফাসূত্রে আংশিক ডিক্রি প্রাপ্ত হন। কিন্তু নিজ নামে রেকর্ড করাননি। আসলে রেকর্ড হওয়ার শক্ত গ্রাউন্ডও নেই। কেটে গেছে ২৫/২৬ বছর।

এতবছর পর কোন এক উকিলের পরামর্শে ২৫ বছর আগের আংশিক ডিক্রি বলে বর্তমান বিএস রেকর্ডের মালিক ও ভোগদখলকার সুখরঞ্জনকে তার জমিতে যেতে বাঁধা দিচ্ছে। দুই পরিবারে মারামারি, কাটাকাটি। চিরাচরিত গ্রামীণ জমিজমার গিট্টু।

বরাবরের মতো স্হানীয় শালিস, মাতুব্বর, জনপ্রতিনিধি। পক্ষ-বিপক্ষ, স্বার্থ-দ্বন্দ্ব।
ফলাফল গিট্টু আরো লাগছে।

ইতোমধ্যে সুখরঞ্জন ডিক্রি বাতিলের মামলা করছে।
প্রতিবেশী রেকর্ড বাতিলের মামলা করছে।

আমাদের আইনী সমাধান:


বর্তমানে সর্বশেষ রেকর্ডের মালিক সুখরঞ্জন। জমি সুখরঞ্জনের দখলে আছে। আংশিক একটি ডিক্রী দিয়ে আদালতের নির্দেশনা ব্যতিত সুখরঞ্জনকে দখল থেকে নিজেরা জোর করে উচ্ছেদ করা যাবেনা। নিরবিচ্ছিন্ন ভোগদখলে তাকে বাধা দেওয়া যাবেনা।

দেওয়ানি আদালত থেকে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত যার পক্ষে এবং যেভাবে আসবে সেমতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ততদিন পর্যন্ত বিবাদমান জমি বরাবরের মতো সুখরঞ্জন ভোগদখল করবেন।

বি. দ্র. যে আইনজীবী ভদ্রলোকের পরামর্শে আংশিক ডিক্রী লাভের ২৫ বছর পরে সুখরঞ্জনের প্রতিবেশী তাকে এ হয়রানীর মধ্যে ফেললেন, তিনিও কিন্তু এ আইনী ব্যাখ্যা জানেন। নিজে সুখরঞ্জন হলে তিনি কি পরামর্শ দিতেন জানতে ইচ্ছে করে।

মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমার ইউএনও স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা। স্যার নিজে উপস্হিত থেকে এ সমস্যা সমাধানে সহায়তা করেছেন।

সুবিদপুর,শিয়ালকাঠি,কাউখালী।

সংগ্রহিত: শেখ রফিকুল হক, এসিল্যান্ড কাউখালী, পিরোজপুর এর ফেসবুক থেকে।

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে