Skip to main content

Posts

Showing posts with the label কাউখালি

একটি সিনেমা হলের আত্মকাহিনী

লিখেছেন : রবিউল হাসান রবিন পরিবার নিয়ে একটা ছবি দেখার মধ্যে যে  আনন্দ ছিল, তার সাক্ষী থেকেছে কাউখালীর  মতো ছোট  একটা শহরে পলাশ  পরে নাদিম সিনেমা হল  । স্কুল   কলেজের পড়ুয়াদের কাছে  বিনোদনের এক মাত্র কেন্দ্র  ছিল এই সিনেমা হলটি । টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ক্লাস থেকে পড়ে পলাশ সিনেমা হলের বেঞ্চ, চেয়ারে বসে পায়ের উপরে পা তুলে ছবি দেখার মধ্যে ছিল স্বর্গীয় সুখ। আর সঙ্গে যদি আলুর চিপস আর বাদাম থাকত, তা হলে সেই দিন আর জামার কলার নামতো না। এই সিনেমা হল শুধু ছবি দেখায়নি। বন্ধুত্বের ভাঙা-গড়া, দল বেঁধে সিনেমা দেখা, প্রথম প্রেমের ঝালমুড়ি সব কিছুর স্মৃতি ধরে রেখেছে।  রাজ্জাক -শাবানা থেকে মান্না সালমান শাহ সব অভিনেতার ভক্তদের পাগলামির সাক্ষী দেখেছে। পাগলামি, ঝালমুড়ি, পড়ুয়াদের পকেটে টান সবকিছু  ভারে চাপা পড়েছে। তাই হারিয়ে গেছে পলাশ(নাদিম) সিনেমা হল। এখন শুধু কাউখালী বাসীর স্মৃতি।

কাউখালী উপজেলার কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.কাউখালী দক্ষিণ বাজার মন্ডলের হোটেলের  ২ টাকা প্রতি পিচ সিংগারা।  ২.মাদক দার দোকানর এক নম্বর ছানা, কাউখালী কৃষি ব্যাংক রোড।  ৩.দেশব্যাপী বিখ্যাত  কাউখালীর ঐতিহ্যবাহী নিশি কুন্ডুর  মিষ্টি, কাউখালী উত্তর বাজার। ৪.মাওলাদের বিখ্যাত গরুর দুধের চা কাউখালী দক্ষিণ বাজার।  তথ্য সংগ্রাহকঃ সৈয়দ বশির আহম্মেদ 

সন্ধা নদীতে সুর্যাস্ত

স্থান: সন্ধা নদী,কাউখালী ছবি তুলেছেন:আব্দুল লতিফ খসরু

আশোয়া গ্রাম

স্থান:আশোয়া গ্রাম,কাউখালী(দুই পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী, মাঝখানে গ্রাম) ছবি তুলেছেন:রবিউল হাসান রবিন

কাউখালী চিরাপাড়া ব্রীজ

স্থান:কাউখালী চিরাপাড়া ব্রীজ ছবি তুলেছেন:সৈয়দ বশির আহম্মেদ

কাউখালী উপজেলা নামকরণের ইতিহাস

কাউখালী  পিরোজপুর জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ছোট উপজেলা। নদী বিধৌত  এলাকা হওয়ার কারনে  নদী কেন্দ্রিক হাট - বাজার ও ব্যবসার প্রচলন সেই প্রাচীন আমল থেকেই। এই অঞ্চলেরর নামকরণে ও প্রভাব রয়েছে ব্যবসা ও ব্যবসায়ীর। ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জুন লন্ডনের কমন্স সভায় লবন রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, আর্মেনিয়ার অধিবাসী জনৈক খাজা কাওয়ার্ক নামের জনৈক ব্যবসায়ী ১৭৭৩ খ্রিষ্টাব্দে পরগনার লবণ শিল্পের মালিক ছিলেন। স্হানীয় জনগন খাজা কাওয়ার্কে 'কাও' সাহেব বলে সম্বোধন করতেন। এই কাও সাহেবের নামের ভিত্তিতে এলাকাটির নাম কাউখালী  হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এছাড়াও এ অঞ্চলে এক সময় ব্যাপক কাউগাছ ছিলো। জনশ্রুতি আছে, এই কাউ গাছের নাম থেকে এলাকার নাম কাউখালী হয়েছে। অথবা কাক বা কাউয়ার অবাধ বিচরন ছিলো কাউখালীর চরাঞ্চলে। তা থেকেও কাউখালী নামের উৎপত্তি হতে পারে বলে স্হানীয় জনসাধারণ বিশ্বাস করে। কাউখালী উপজেলার মোট আয়তন ৭৯.৬৫ বর্গকিলোমিটার বা ৩০.৭৫ বর্গমাইল। লোক সংখ্যা ৭০,১৩০ জন।পুরুষ ৩৪,৮৯৩ জন মহিলা ৩৫,২৩৭ জন। মুসলমান ৮১.৩৫% হিন্দু ১৮.৫৯% অন্যান্য ০.০৬%( ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)। এর উত্তরে নেছারাবাদ উপজেলা, 

মগডালে পাখি

কাউখালী উপজেলা সদর থেকে তোলা ছবি: মো:রেদোয়ান হোসেন

'সেবার নৌকা’ কাউখালী ইউএনও খালেদা খাতুন এর উদ্যোগ

গন্তব্যে এগিয়ে চলেছে ‘সেবার নৌকা। কাউখালী খেয়াঘাট, কাউখালী, পিরোজপুর, ২৮ মার্চ। ছবি: প্রথম আলো গন্তব্যে এগিয়ে চলেছে ‘সেবার নৌকা। কাউখালী খেয়াঘাট, কাউখালী, পিরোজপুর, ২৮ মার্চ। ছবি: প্রথম আলো সন্ধ্যা নদীর বুক চিরে চলছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। নৌকার সামনে ব্যানারে লেখা ‘সেবার নৌকা’। নৌকায় আছে চাল, ডাল, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। আছেন চিকিৎসক, পশুচিকিৎসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. খালেদা খাতুন নদীতীর ও চরের শ্রমজীবী মানুষের বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী ও চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার কাউখালী খেয়াঘাট থেকে সেবার নৌকা নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ইউএনও খালেদা খাতুন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস শহিদ, কাউখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শহিদুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপকমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা শাকিল তালুকদার, উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা সাইদা খাতুন ও কাউখালী

কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের জন্য কাউখালীর ইউএনওর সৃজনশীল উদ্যোগ

করোনাভাইরাস অত্যন্ত ছোঁয়াচে। তাই এই রোগ ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর প্রথম উপায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়ানো। বাংলাদেশে এই রোগ এসেছে বিদেশ থেকে। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁরা নিজের অজান্তে নিজের দেহে এই ভাইরাস বহন করে এনেছেন, তাঁদের সংখ্যা কত, তা কারোরই জানা নেই। গত দুই সপ্তাহে প্রায় দুই লাখ মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। তাঁরা সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছেন। এভাবে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই অবস্থায় বিদেশফেরত ব্যক্তিদের নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে নির্দেশনা অনেকেই মানছেন না; পাড়ার চায়ের স্টলে আড্ডা দিচ্ছেন বা হাটবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের কেউ কেউ প্রশাসনের লোকজনের হাতে ধরা পড়ে জরিমানা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। দুই-একটি জায়গায় কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। আবার সংখ্যায় কম হলেও অনেকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার চেষ্টা করছেন। তাঁদের জন্য এক সৃজনশীল উদ্যোগ নিয়েছেন পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার উপজ