Skip to main content

প্রদর্শনী-২১



লিখেছেন: আজিজুল হাকিম আরজু

সুস্থ জাতি পেতে চাও যদি

মেধায় বিশ্বে সেরা,

সম্ভব নয় কোনোটিই, ভাই

প্রাণিজ পুষ্টি ছাড়া!

সঠিক মাপে প্রাণিজ পুষ্টি

নবজাতক পেলে,

বেড়ে উঠবে আগামীর জাতি

শক্তি, বুদ্ধি মিলে!

২৫০ মি.লি. দুধ খেতে হয়

মাসের প্রতিটি দিনে,

বছরে চাই ১০৪টি ডিম

সবাই রাখবেন মনে।

১২০গ্রাম মাংস চাই

প্রতিদিনের খাদ্যে,

মনে রেখে মেনে চলবেন

বলি গদ্যে আর পদ্যে!

প্রাণিজাত খাদ্য অনেক

খেতে স্বাদ ভারী,

এবার তবে ছন্দে ছন্দে 

তাদের গল্পই করি!

রেস্তোরাঁগুলো বড় অসহায় 

মাংস, ডিমের পণ্য ছাড়া,

কাচ্চি, তেহারি, মুগলাই এসব

খাদ্য তালিকায় সেরা!

দুধ থেকে হয় নানান পণ্য

পুষ্টিগুণে ভরা,

অনুষ্ঠানগুলো অপূর্ণ রয়

বুরহানি আর দই ছাড়া!

ঘি আর মাখন -

ভোজনরসিকের বড় প্রিয়,

মিষ্টি, ছানা, মন্ডা খেতে 

আমার কাছে অমিয়!

দুগ্ধজাত পণ্য, স্বাদে অনন্য

খাঁটি দুধের গুণে,

স্বদেশে-বিদেশে মূল্য অনেক

জ্ঞানী-গুণী জনে জানে!

খামার করার বিকল্প নাই

পুষ্টি চাহিদা মেটাতে,

বেকারদের স্বাগত জানাই

বেকারত্ব ঘোচাতে! 

 জৈব নিরাপত্তা মানতে হবে

 খামারী ভাইদের বলি,

 না মানলে সঠিকভাবে 

 আসলও যাবে চলি!

 নিয়মিত টিকা দিতে হয়

 রোগপ্রতিরোধের জন্যে,

 না দিলে রোগ ছড়াবে

 অযথাই হবে হন্যে!

 বাড়ির পাশে ঘাসের চাষ

 যদি করে বারোমাসই,

 সুস্থ-সবল গরু পাবে

 আমার দেশের চাষি।

 দুধ পাবে গাভীর বাটে

 পকেটে আসবে টাকা,

 ঘুরে যাবে আমার দেশের-

 অর্থনীতির চাকা!

 দূর হবে গাভী-বাছুরের

 ভিটামিন-এর অভাব,

 কমে যাবে অন্ধত্ব আর

 নানান রোগের প্রভাব।

এসবকিছু জানাতে হয়

সমাবেশের প্রয়োজন,

প্রাণিসম্পদ করলো তাই

বর্ণাঢ্য প্রদর্শনীর আয়োজন!

দেশবাসী জানলো ভালো 

খামার করণের গুরুত্ব, 

বেড়ে গেলো খামারিদের 

খামারজ্ঞানের পুরুত্ব!

Comments

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে