Skip to main content

Posts

Showing posts with the label নামকরণের ইতিহাস

ইন্দুরকানী উপজেলার নামকরণের ইতিহাস

বলেশ্বর এবং কচা নদীর তীর ঘেষে ইন্দুরকানী উপজেলার অবস্হান। ইন্দুরকানী উপজেলার একসময় নাম ছিল সেউতিবাড়িয়া। এ নামটি এসেছে সেউতিবাড়িয়া নামক গ্রাম থেকে।সেউতিবাড়িয়া নামে একটি ভারানি খাল ছিলো। যেটি সেউতিবাড়িয়া ঘোষের হাট হয়ে হোগলাবুনিয়া থেকে মোরেলগঞ্জ বিস্তৃত ছিলো।  এই  ভারানি খালের  নামানুসারে সেউতিবাড়িয়া নামের উৎপত্তি। প্রথমদিকে কয়েকটি ছোট দোকান ছিলো পরবর্তীতে দোকানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে একটি হাট হয় এবং পরে তা রূপ নেয় বাজারে। এই সেউতিবাড়িয়ার নাম পরিবর্তন করে পরবর্তীতে ইন্দুরকানি নামকরণ হয়। দুটি নদীর মোহনায় অবস্হিত বর্তমান ইন্দুরকানি স্হানটির আকৃতি ইঁদুরের কানের মতো হওয়ায় এর নামকরণ হয় ইন্দুরকানি। ইন্দুরকানী উপজেলার আয়তন : মোট আয়তন ৯২.৫৫ বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা : ৭৭.২১৭ জন।(২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী) লিখেছেন: সিরাজুম মুনিরা 

নাজিরপুর উপজেলার নামকরণের ইতিহাস

নাজিরপুর উপজেলা পিরোজপুর জেলার তৃতীয় বৃহত্তম উপজেলা।১৯৮৩ সালে নাজিরপুর উপজেলা সৃষ্টি হয়। ববর্মানে ভাসমান কৃষিকাজ করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছে এ এলাকার কৃষকগোষ্ঠী। মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরেরর শাসনামলে দক্ষিণ বাংলার সেলিমাবাদ পরগনা সৃষ্টি হয়েছে। বর্ধিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে সেলিমাবাদ পরগনার উত্তর পূর্বাংশের বিশাল বিস্তৃত এলাকা নিয়ে নাজিরপুর সৃষ্টি হয়েছে।মোঘল আমলে রাজকর্মচারীদের উপাধি ছিল উজির,নাজির,দেওয়ান,কোতোয়াল, নায়েব, ফৌজদার ইত্যাদি।সে সময় নাজির পদমর্যাদার জনশ্রুতিও আছে। নাজির পদের নাম অনুসারে এ পরগনার নাম নাজিরপুর হয়েছে বলে ধারনা করা হয়।নাজিরপুর উপজেলার আয়তন : ২৩৩.৬৩ বর্গকিলোমিটার নদীসহ বা ৯০.২১ বর্গমাইল। লিখেছেন: সিরাজুম মুনিরা 

নেছারাবাদ উপজেলার নামকরণের ইতিহাস

পিরোজপুর জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা বা থানা নেছারাবাদ। ১৭৯০ সালে পিরোজপুর থানার উত্তরাংশে কাউখালী গ্রাম সংলগ্নে কালীগঙ্গা নদীর তীরে কেওয়ারী গ্রামে কেওয়ারী নামে একটি থানা স্থাপিত হয়। কালের প্রবাহে কেওয়ারী গ্রাম কালীগঙ্গা নদীতে বিলীন হয়। পরবর্তীতে সময়ে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ১৯০৬ সালে কেওয়ারী থানা স্থানান্তরিত হয় এবং স্বরূপকাঠীতে উহা পূনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৮৩ সালের ২ জুলাই নেছারাবাদ উপজেলা সৃষ্টি হয়। বাংলা-বিহার উড়িষ্যার নবাব আলীবর্দী খানের কাছ থেকে এক সনদ গ্রহণের মধ্য থেকে বাংলা ১১৪৯ সালে (ইংরেজি ১৭৪২ সাল) রতনদি কালিকাপুর পরগনার সৃষ্টি হয়। এ পরগনাটিতপ্পে নাজিরপুরের অংশসহ অন্যান্য অঞ্চল নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে গঠিত হয়। জনৈক রত্নেশ্বরের পুত্র কৃষ্ণ রাম এ পরগনার সঙ্গে সংযুক্ত হন। নাজিরপুর এবং সেলিমাবাদ পরগনার বিচ্ছিন্ন অংশ থেকে এ পরগনার জন্ম। স্বরূপকাঠী থানা সংশ্লিষ্ট অঞ্চল রতনদি কালিকাপুর পরগনার অর্ন্তগত ছিল। মূল জমিদার এপরগনার রাজস্ব যথাসময়ে পরিশোধ করতে না পারলে, এ জমিদারীর অংশ তিন জনে খরিদ করেন। তারা হলেন, স্বরূপ চন্দ্র গুহ, বৃন্দাবন চক্রবর্তী এবং চন্দ্রনাথ সেন। স্বরূপকা

ভান্ডারিয়া উপজেলার নামকরণের ইতিহাস

কচা নদীর পলিবিধৌত এবং প্রচুর ফলন সমৃদ্ধ এ অঞ্চলটি ধান ও রবি শস্যের ব্যাপক ফলনের ফলে এলাকাটি শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।শস্যভান্ডারের কেন্দ্রস্থল ছিলো ভান্ডারিয়া ও তার পার্শ্ববর্তী গ্রামসমূহ। এ শস্যের বাজারজাতকরণেরর লক্ষ্যে পোনা নদীর তীরে বহু গুদাম বা ভান্ডার বিশিষ্ট বাজার ও জনপদেরর সৃস্টি হয়। ব্যবসা ও বানিজ্যেরর অন্যতম কেন্দ্র হওয়ায় এখানের দোকান গুলো ভান্ডারে পরিনত হতো। ভান্ডার ও প্রচুর শস্য মজুদেরর কারনে এ অঞ্চল '' ভান্ডারিয়া " হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।এই উপজেলার আয়তন : ৬৩.১৫ বর্গমাইল বা ১৬৩.৫৬ বর্গকিলোমিটার। লিখেছেন:সিরাজুম মুনিরা

কাউখালী উপজেলা নামকরণের ইতিহাস

কাউখালী  পিরোজপুর জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ছোট উপজেলা। নদী বিধৌত  এলাকা হওয়ার কারনে  নদী কেন্দ্রিক হাট - বাজার ও ব্যবসার প্রচলন সেই প্রাচীন আমল থেকেই। এই অঞ্চলেরর নামকরণে ও প্রভাব রয়েছে ব্যবসা ও ব্যবসায়ীর। ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জুন লন্ডনের কমন্স সভায় লবন রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, আর্মেনিয়ার অধিবাসী জনৈক খাজা কাওয়ার্ক নামের জনৈক ব্যবসায়ী ১৭৭৩ খ্রিষ্টাব্দে পরগনার লবণ শিল্পের মালিক ছিলেন। স্হানীয় জনগন খাজা কাওয়ার্কে 'কাও' সাহেব বলে সম্বোধন করতেন। এই কাও সাহেবের নামের ভিত্তিতে এলাকাটির নাম কাউখালী  হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এছাড়াও এ অঞ্চলে এক সময় ব্যাপক কাউগাছ ছিলো। জনশ্রুতি আছে, এই কাউ গাছের নাম থেকে এলাকার নাম কাউখালী হয়েছে। অথবা কাক বা কাউয়ার অবাধ বিচরন ছিলো কাউখালীর চরাঞ্চলে। তা থেকেও কাউখালী নামের উৎপত্তি হতে পারে বলে স্হানীয় জনসাধারণ বিশ্বাস করে। কাউখালী উপজেলার মোট আয়তন ৭৯.৬৫ বর্গকিলোমিটার বা ৩০.৭৫ বর্গমাইল। লোক সংখ্যা ৭০,১৩০ জন।পুরুষ ৩৪,৮৯৩ জন মহিলা ৩৫,২৩৭ জন। মুসলমান ৮১.৩৫% হিন্দু ১৮.৫৯% অন্যান্য ০.০৬%( ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)। এর উত্তরে নেছারাবাদ উপজেলা, 

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে